প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন-পুরোনো জাহাজ আমদানি
ভাঙার উদ্দেশ্যে দুটি পুরোনো জাহাজ বিদেশ থেকে আমদানি করেছে দুটি জাহাজভাঙা শিল্পপ্রতিষ্ঠান। জাহাজ দুটি ভাঙার জন্য প্রস্তুত, সীতাকুণ্ডের জাহাজভাঙা ইয়ার্ডে গত সপ্তাহ থেকে অপেক্ষমাণ। আমরা জানি না, ওই পুরোনো জাহাজ দুটি ভাঙার জন্য নিরাপদ কি না। কারণ, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই এগুলো আমদানি করা হয়েছে।
তার চেয়েও বড় সংবাদ হলো, জাহাজ দুটির বিষয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দুটি আদালতের আদেশ গোপন করেছে। এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশে পুরোনো জাহাজভাঙা শিল্পের কাজ পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক কাজের তালিকাভুক্ত। অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের সরকার, আদালত, সংবাদমাধ্যম ও কিছু স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি সংস্থা এই কাজের ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে তৎপর রয়েছে। কিন্তু পুরোনো জাহাজ আমদানি করে সেগুলো ভাঙার ব্যবসায় নিয়োজিত শিপ ব্রেকার প্রতিষ্ঠানগুলোর একাংশের মধ্যে বিপরীত প্রবণতা দৃশ্যমান। তারা দেশের প্রচলিত আইনকানুন ও সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান ভঙ্গ করে বা পাশ কাটিয়ে, কখনো বা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং তথ্য গোপন করে পুরোনো, বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদানসমৃদ্ধ জাহাজ আমদানি করে।
পুরোনো জাহাজ আমদানি ও ভাঙার বিষয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক বেশ কিছু আইনকানুন রয়েছে। সময়ে সময়ে আদালতও এ বিষয়ে কিছু সাধারণ আদেশ জারি করেছেন, যেগুলো মেনে চলা বাধ্যতামূলক; কিন্তু মানা হচ্ছে না। গ্রিন পিস নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বিপজ্জনক জাহাজের একটি তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করে। হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন, ভাঙার উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে পুরোনো জাহাজ আমদানি করতে হলে সেই জাহাজটি যে রপ্তানিকারক দেশেই বিষাক্ত ও বিপজ্জনক বর্জ্যমুক্ত করা হয়েছে, এই মর্মে সে দেশের সরকারের সনদপত্র নিতে হবে। বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরে ঢোকার আগেই নিশ্চিত করতে হবে, জাহাজটি বিষাক্ত বর্জ্যমুক্ত। এই মর্মে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছ থেকেও ছাড়পত্র নিতে হবে। কিন্তু উল্লিখিত দুটি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়নি, উপরন্তু আদালতের আদেশ গোপন করে দুটি জাহাজ আমদানি করে ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশে পুরোনো জাহাজভাঙা শিল্পের কাজ পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক কাজের তালিকাভুক্ত। অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের সরকার, আদালত, সংবাদমাধ্যম ও কিছু স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি সংস্থা এই কাজের ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে তৎপর রয়েছে। কিন্তু পুরোনো জাহাজ আমদানি করে সেগুলো ভাঙার ব্যবসায় নিয়োজিত শিপ ব্রেকার প্রতিষ্ঠানগুলোর একাংশের মধ্যে বিপরীত প্রবণতা দৃশ্যমান। তারা দেশের প্রচলিত আইনকানুন ও সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান ভঙ্গ করে বা পাশ কাটিয়ে, কখনো বা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং তথ্য গোপন করে পুরোনো, বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদানসমৃদ্ধ জাহাজ আমদানি করে।
পুরোনো জাহাজ আমদানি ও ভাঙার বিষয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক বেশ কিছু আইনকানুন রয়েছে। সময়ে সময়ে আদালতও এ বিষয়ে কিছু সাধারণ আদেশ জারি করেছেন, যেগুলো মেনে চলা বাধ্যতামূলক; কিন্তু মানা হচ্ছে না। গ্রিন পিস নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বিপজ্জনক জাহাজের একটি তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করে। হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন, ভাঙার উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে পুরোনো জাহাজ আমদানি করতে হলে সেই জাহাজটি যে রপ্তানিকারক দেশেই বিষাক্ত ও বিপজ্জনক বর্জ্যমুক্ত করা হয়েছে, এই মর্মে সে দেশের সরকারের সনদপত্র নিতে হবে। বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরে ঢোকার আগেই নিশ্চিত করতে হবে, জাহাজটি বিষাক্ত বর্জ্যমুক্ত। এই মর্মে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছ থেকেও ছাড়পত্র নিতে হবে। কিন্তু উল্লিখিত দুটি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়নি, উপরন্তু আদালতের আদেশ গোপন করে দুটি জাহাজ আমদানি করে ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
No comments