বিএনপিকেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে-মতৈক্যের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন
বিশেষ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সংবিধান সংশোধনে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে যে মতৈক্য হয়েছে, তা কেবল ইতিবাচক নয়, জরুরিও। সংবিধান সমগ্র জাতির পবিত্র আমানত হলেও সময়ের চাহিদা মেটাতে এর সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রয়োজনীয়তাও অস্বীকার করা যায় না।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকেই সংসদীয় বিশেষ কমিটি গঠিত হয়েছে। আশা করা গিয়েছিল, সব দলের প্রতিনিধি এতে থাকবেন। কমিটির কো-চেয়ারপারসন বলেছেন, এখনো বিএনপির জন্য দুয়ার খোলা আছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের কাজটি সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। গত বৃহস্পতিবার বিশেষ কমিটির বৈঠকে যোগদানকারী আইন বিশেষজ্ঞরাও জাতীয় মতৈক্যের ওপর জোর দিয়েছেন। ব্যক্তি বা দলবিশেষকে খুশি বা আঘাত করার জন্য সংবিধান সংশোধিত হতে পারে না। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণই এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেতে হবে। বর্তমান সংবিধানে যেসব ঘাটতি আছে, তাও কাটিয়ে উঠতে হবে। এ প্রসঙ্গে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়টিও আমলে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিশেষ কমিটির আলোচনাকে অনেকেই ফলপ্রসূ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁদের মধ্যে সরকার ও বিরোধী দলের আস্থাভাজন ব্যক্তিও ছিলেন। বিএনপিকে কমিটিতে আনতে তাঁরাও উদ্যোগী ভূমিকা নিতে পারেন। বিএনপি থেকে আশঙ্কা করা হয়েছে, সংশোধনের নামে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হতে পারে। কমিটির কর্তব্য হবে তাদের সংশয় দূর করা এবং কাজের পরিধি জনগণকে জানিয়ে দেওয়া। আদালত যে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন, সেটিও ব্যক্তি বা দলকে লক্ষ্য করে নয়। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের শাশ্বত সত্যই প্রতিফলিত হয়েছে। আজ যে গণতন্ত্র আমরা পেয়েছি, তাতে সবারই অবদান আছে। তাই সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে সব পক্ষ খোলা মনে আলোচনা করে একটি মতৈক্যে পৌঁছাবে, এটাই প্রত্যাশিত। এ প্রসঙ্গে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর কথা উল্লেখ করা যায়। রাজনৈতিক ভিন্নতা সত্ত্বেও সে সময়ে সব রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারের বদলে সংসদীয় ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছেছিল।
ভবিষ্যতে যাতে কেউ অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেই জন্য অবৈধ শাসকদের শাস্তির বিধান করারও তাগিদ দিয়েছেন আদালত। এটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য একটি সতর্কসংকেতও। সেই সঙ্গে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, সামরিক শাসকেরা সংবিধান পড়ে ক্ষমতায় আসেন না। গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর ব্যর্থতা ও দুর্বলতার সুযোগেই দেশে অসাংবিধানিক শাসন জাঁকিয়ে বসে। এ ব্যাপারেও সরকার, বিরোধী দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সজাগ থাকতে হবে। দল ও গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে তারা দেশ ও বৃহত্তর জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিলে কেউ গণতন্ত্রের জয়যাত্রা রুদ্ধ করতে পারবে না।
আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিশেষ কমিটির আলোচনাকে অনেকেই ফলপ্রসূ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁদের মধ্যে সরকার ও বিরোধী দলের আস্থাভাজন ব্যক্তিও ছিলেন। বিএনপিকে কমিটিতে আনতে তাঁরাও উদ্যোগী ভূমিকা নিতে পারেন। বিএনপি থেকে আশঙ্কা করা হয়েছে, সংশোধনের নামে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হতে পারে। কমিটির কর্তব্য হবে তাদের সংশয় দূর করা এবং কাজের পরিধি জনগণকে জানিয়ে দেওয়া। আদালত যে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন, সেটিও ব্যক্তি বা দলকে লক্ষ্য করে নয়। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের শাশ্বত সত্যই প্রতিফলিত হয়েছে। আজ যে গণতন্ত্র আমরা পেয়েছি, তাতে সবারই অবদান আছে। তাই সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে সব পক্ষ খোলা মনে আলোচনা করে একটি মতৈক্যে পৌঁছাবে, এটাই প্রত্যাশিত। এ প্রসঙ্গে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর কথা উল্লেখ করা যায়। রাজনৈতিক ভিন্নতা সত্ত্বেও সে সময়ে সব রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারের বদলে সংসদীয় ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছেছিল।
ভবিষ্যতে যাতে কেউ অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেই জন্য অবৈধ শাসকদের শাস্তির বিধান করারও তাগিদ দিয়েছেন আদালত। এটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য একটি সতর্কসংকেতও। সেই সঙ্গে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, সামরিক শাসকেরা সংবিধান পড়ে ক্ষমতায় আসেন না। গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর ব্যর্থতা ও দুর্বলতার সুযোগেই দেশে অসাংবিধানিক শাসন জাঁকিয়ে বসে। এ ব্যাপারেও সরকার, বিরোধী দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সজাগ থাকতে হবে। দল ও গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে তারা দেশ ও বৃহত্তর জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিলে কেউ গণতন্ত্রের জয়যাত্রা রুদ্ধ করতে পারবে না।
No comments