অগ্রগতির স্বীকৃতি, লক্ষ্যপূরণে আরও পথ বাকি-এমডিজি পদকপ্রাপ্তি
শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনায় সাফল্যের জন্য বিশেষ পদক পেয়েছে বাংলাদেশ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এ পদক গ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এ স্বীকৃতি সামাজিক খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতিরই স্বীকৃতি।
তবে, শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) আটটি সূচকের মধ্যে একটি মাত্র। আরও সাতটি ক্ষেত্রে লক্ষ্যপূরণে এখনো ঘাটতি রয়ে গেছে। তার পরও এ ক্ষেত্রের অগ্রগতির সঙ্গে সরকার, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবারই অভিনন্দন প্রাপ্য।
২০০০ সালে সহস্রাব্দ পূরণ উপলক্ষে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত ১৯২টি দেশ এবং ২৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থা একমত হয়ে মানবজাতির সামনে ২০১৫ সালের মধ্যে কিছু লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে একমত হয়। এই লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বের যে ছয়টি দেশ এগিয়েছে, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার গ্রহণ উপলক্ষে বলেছেন, ‘এ পুরস্কার আমাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক।’ এখানে উল্লেখ্য, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দুর্নীতি সত্ত্বেও গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো সামাজিক ক্ষেত্রগুলোতে উন্নতি হয়েছে। ১৯৯০ সালে যেখানে প্রতি হাজারে ১৫১ জন শিশু মারা যেত, এখন তা কমে হয়েছে প্রতি হাজারে ৬৫ জন। সারা দেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির বাস্তবায়ন অজস্র শিশুর জীবন বাঁচানোয় ভূমিকা রেখেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন। দেশময় ছড়িয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্য অবকাঠামোর মাধ্যমে সরকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর সমন্বিত চেষ্টাই এই সাফল্যের গোড়ার কথা।
তবে যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের নিরিখে এই সাফল্যের পরিমাপ হচ্ছে, তার অন্য সাতটি মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে। সেই লক্ষ্যগুলো হলো, চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষার শতভাগ বিস্তার, মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি, নারী-পুরুষ বৈষম্য হ্রাস, পরিবেশের স্থিতিশীলতা এবং এইচআইভি/এইউস, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য মহামারি নির্মূল করা। এসব ক্ষেত্রে এখনো সন্তোষজনক সাফল্য আসেনি।
তার পরও, মানে না হলেও পরিমাণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ভারতকে ছাপিয়ে গেছে। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষায় নারী-পুরুষ বৈষম্য কমছে। বাংলাদেশে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার ভারত বা চীনসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে কম। কিন্তু আলাদা করে মাতৃমৃত্যুর হার এখনো হাজারে ৩২০—৩৪৮ জন। দারিদ্র্য প্রতিবছর এক শতাংশ করে হলেও কমছে। ষাটের দশকের ৮০ ভাগ আর আশির দশকের ৬০ ভাগ চরম দরিদ্রের জায়গায় এখন ৩৭ ভাগ হলেও ১৯৯০-৯১ সালে যত মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত সেই সংখ্যা এখনো কমেনি। ৯০ শতাংশ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও তাদের অর্ধেকেরই ঝরে পড়া মোটেই আশাবাদী হওয়ার মতো ঘটনা নয়। ২০১৫ সালের মধ্যে এসব ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জনের জন্য বর্তমানের চেয়ে আরও ব্যাপক সরকারি তৎপরতা প্রয়োজন।
শিশুমৃত্যুর ক্ষেত্রে গড় হার কমে এলেও দেশের অনেক এলাকায় এখনো এই হার উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু স্বাস্থ্যসেবা খাতের একটি সূচকের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট হলেই চলবে না, প্রতিটি ক্ষেত্রে এর সফলতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রয়াস।
২০০০ সালে সহস্রাব্দ পূরণ উপলক্ষে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত ১৯২টি দেশ এবং ২৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থা একমত হয়ে মানবজাতির সামনে ২০১৫ সালের মধ্যে কিছু লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে একমত হয়। এই লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বের যে ছয়টি দেশ এগিয়েছে, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার গ্রহণ উপলক্ষে বলেছেন, ‘এ পুরস্কার আমাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক।’ এখানে উল্লেখ্য, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দুর্নীতি সত্ত্বেও গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো সামাজিক ক্ষেত্রগুলোতে উন্নতি হয়েছে। ১৯৯০ সালে যেখানে প্রতি হাজারে ১৫১ জন শিশু মারা যেত, এখন তা কমে হয়েছে প্রতি হাজারে ৬৫ জন। সারা দেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির বাস্তবায়ন অজস্র শিশুর জীবন বাঁচানোয় ভূমিকা রেখেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন। দেশময় ছড়িয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্য অবকাঠামোর মাধ্যমে সরকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর সমন্বিত চেষ্টাই এই সাফল্যের গোড়ার কথা।
তবে যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের নিরিখে এই সাফল্যের পরিমাপ হচ্ছে, তার অন্য সাতটি মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে। সেই লক্ষ্যগুলো হলো, চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষার শতভাগ বিস্তার, মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি, নারী-পুরুষ বৈষম্য হ্রাস, পরিবেশের স্থিতিশীলতা এবং এইচআইভি/এইউস, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য মহামারি নির্মূল করা। এসব ক্ষেত্রে এখনো সন্তোষজনক সাফল্য আসেনি।
তার পরও, মানে না হলেও পরিমাণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ভারতকে ছাপিয়ে গেছে। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষায় নারী-পুরুষ বৈষম্য কমছে। বাংলাদেশে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার ভারত বা চীনসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে কম। কিন্তু আলাদা করে মাতৃমৃত্যুর হার এখনো হাজারে ৩২০—৩৪৮ জন। দারিদ্র্য প্রতিবছর এক শতাংশ করে হলেও কমছে। ষাটের দশকের ৮০ ভাগ আর আশির দশকের ৬০ ভাগ চরম দরিদ্রের জায়গায় এখন ৩৭ ভাগ হলেও ১৯৯০-৯১ সালে যত মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত সেই সংখ্যা এখনো কমেনি। ৯০ শতাংশ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও তাদের অর্ধেকেরই ঝরে পড়া মোটেই আশাবাদী হওয়ার মতো ঘটনা নয়। ২০১৫ সালের মধ্যে এসব ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জনের জন্য বর্তমানের চেয়ে আরও ব্যাপক সরকারি তৎপরতা প্রয়োজন।
শিশুমৃত্যুর ক্ষেত্রে গড় হার কমে এলেও দেশের অনেক এলাকায় এখনো এই হার উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু স্বাস্থ্যসেবা খাতের একটি সূচকের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট হলেই চলবে না, প্রতিটি ক্ষেত্রে এর সফলতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রয়াস।
No comments