স্মরণ-মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী মোল্লা by বাঁধন হায়দার
একজন ১৪ বছরের বালক বাসা থেকে পালাচ্ছে, পেছনে মা-বাবা ডাকছেন। কে শোনে মা-বাবার কথা। দৌড়ে পালাল ছেলেটি। সঙ্গে আরো কয়েকজন। চলে গেল ভারতের কল্যাণীতে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য। প্রশিক্ষক প্রথমে এ ছোট বালককে প্রশিক্ষণে নিতে চাননি।
পরে এই ছেলেটিই বীরত্ব, অসীম সাহস, কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ়চেতা মন নিয়ে শুরু করল মুক্তিযুদ্ধ।
এ ছেলেটিই পরবর্তী জীবনে মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী মোল্লা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৫৫ সালের ২২ ডিসেম্বর। অনেক অপারেশন তিনি নিজ হাতে করেছেন। যুদ্ধের সময় তিনি আহত হয়েছেন। কিন্তু থেমে থাকেননি। অসুস্থ শরীর নিয়েও যুদ্ধ করেছেন। তাঁকে ধরার জন্য কয়েকবার তাঁর বাড়িতে হামলা করেছে পাকিস্তানি সেনারা। কিন্তু ধরতে পারেনি। যুদ্ধের পর ভর্তি হলেন স্কুলে। এসএসসি, এইচএসসি, সম্মান ও দুই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। শিক্ষাজীবনে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওতপ্রোতভাবে। ফরিদপুরের রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র সংসদের এজিএস, জিএস নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি মুহসীন হলের নাম পরিবর্তন করে জয় বাংলা হল রাখার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
আজ ৬ মে এই কনিষ্ঠতম গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। অর্থাভাবে তাঁর সঠিক চিকিৎসা হয়নি। তবে তিনি রেখে গেছেন স্মৃতি। আর আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছেন আমরা কে এবং কী আমাদের পরিচয়? এভাবে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় কত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যে মৃত্যুবরণ করছেন তাঁদের খবর আমরা রাখি না। এখনো এমন অনেক অসহায় মুক্তিযোদ্ধা আছেন, যাঁরা অনাহারে, অর্থাভাবে জীবনযাপন করছেন, তাঁদের আমরা চিনি না, জানি না। আসুন, আমরা সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করি এবং তাঁদের প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিই।
বাঁধন হায়দার
এ ছেলেটিই পরবর্তী জীবনে মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী মোল্লা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৫৫ সালের ২২ ডিসেম্বর। অনেক অপারেশন তিনি নিজ হাতে করেছেন। যুদ্ধের সময় তিনি আহত হয়েছেন। কিন্তু থেমে থাকেননি। অসুস্থ শরীর নিয়েও যুদ্ধ করেছেন। তাঁকে ধরার জন্য কয়েকবার তাঁর বাড়িতে হামলা করেছে পাকিস্তানি সেনারা। কিন্তু ধরতে পারেনি। যুদ্ধের পর ভর্তি হলেন স্কুলে। এসএসসি, এইচএসসি, সম্মান ও দুই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। শিক্ষাজীবনে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওতপ্রোতভাবে। ফরিদপুরের রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র সংসদের এজিএস, জিএস নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি মুহসীন হলের নাম পরিবর্তন করে জয় বাংলা হল রাখার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
আজ ৬ মে এই কনিষ্ঠতম গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। অর্থাভাবে তাঁর সঠিক চিকিৎসা হয়নি। তবে তিনি রেখে গেছেন স্মৃতি। আর আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছেন আমরা কে এবং কী আমাদের পরিচয়? এভাবে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় কত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যে মৃত্যুবরণ করছেন তাঁদের খবর আমরা রাখি না। এখনো এমন অনেক অসহায় মুক্তিযোদ্ধা আছেন, যাঁরা অনাহারে, অর্থাভাবে জীবনযাপন করছেন, তাঁদের আমরা চিনি না, জানি না। আসুন, আমরা সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করি এবং তাঁদের প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিই।
বাঁধন হায়দার
No comments