চারদিক-সেদিনের অপেক্ষায় আজকের নাটক শেষ করলাম by নেয়ামতউল্যাহ
মেঘনার মাঝে জেগে ওঠা চর। চর বলতে শুধু চর নয়, একটি ইউনিয়ন। নাম মদনপুর, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার অংশ। বছর বিশেক হলো ভাঙনকবলিতরা বসত গড়ছে। সেখানে শুধু ধান হয়, সব ফসলই ফলে। বসতি বাড়ছে, কিন্তু বাড়েনি গাছ। শীতের সময় চাষ হয় শাক-সবজি।
সে চরে বসেছে কৃষি মেলা আর কৃষকদের মাঠ দিবস। কোনো নামজাদা কোম্পানির স্টল নয়, গরিব কৃষকের চাল-চুলোহীন স্টল।
প্রথম দৃশ্য
কৃষক জাহাঙ্গীর চৌকিদার ‘একটি বাড়ি—একটি খামার’-এর প্রদর্শনী করেছেন। সবাইকে সে খামারবাড়ি দেখাচ্ছেন আর বলছেন, তার ইচ্ছে চরে এ রকম একটি বাড়ি তৈরি করবেন। যেখানে কোনো অভাব থাকবে না। মেলায় এসেছে ইউনিয়নের প্রথম নারকেলগাছের নারকেল। অন্য কৃষকেরা এনেছেন তাঁর ক্ষেতের সবচেয়ে বড় উত্পাদিত ফসলটি। এগুলো কোনোটি হাইব্রিড নয়। সবই দেশি। মারফুজা খাতুন (৩৬) নামের এক কিষানি এনেছেন ৩০টি মুরগির বাচ্চা, একটি মা মুরগি ও একটি আধুনিক হাজল (যেখানে মুরগি ডিমে তা দেয়) প্রদর্শন করতে। এটি কেন এনেছেন? জানতে চাইলে মারফুজা জানান, তাঁর মুরগিটি ৩৫টি ডিম দিয়েছিল। তিনি বাচ্চার জন্য ত্রিশটি ডিম ওমে (তা) বসানোর ইচ্ছা করেন। মুরগি যাতে বারবার খাবার খেতে না যায়, পানি খেতে না যায় এ জন্য তিনি একটি আধুনিক হাজল তৈরি করলেন। কারণ এ হাজলের সঙ্গেই পানি এবং খাবার সংগ্রহের ব্যবস্থা রাখা আছে। মা মুরগিটি খেতে ইচ্ছে করলেই ওমে বসা অবস্থায় খেতে পারবে। ফলে তিনি ৩০টি বাচ্চাই পেয়েছেন। যে কৃষক ১৭ কেজি ওজনের লাউ এনেছেন, তিনি অন্য কৃষকদের বোঝাচ্ছেন কী করে সে লাউ তিনি চাষ করেছেন। কৃষকই কৃষক ভাইকে তাঁর সফলতার ইতিহাস শুনিয়েছেন কৃষি মেলায়।
মাঝের চরের মানুষের বিনোদন বলতে রেডিও আর বাজারের হোটেলের ভিসিডি। তাও শুধু পুরুষের জন্য। কিন্তু কৃষি মেলায় তো এসেছেন শত গৃহিণী ও কিষানি। পুরুষ ও শিশুরা তো আছেই। এ জন্য আয়োজক গোষ্ঠী ‘মদনপুর সমন্বিত চাষি কল্যাণ সমিতি’ চরবাসীর জন্য সচেতনতামূলক গান আর নাটক মঞ্চায়নের ব্যবস্থা রেখেছেন।
দ্বিতীয় দৃশ্য
নাটক মঞ্চায়ন শুরু। কুসুম ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। সে স্কুলে যাওয়ার পথে পাড়ার বখাটেরা উত্ত্যক্ত করে। মক্তবে গেলে আজেবাজে কথা বলে। পুকুরে পানি আনতে গেলে গায়ে হাত দেয়, কটূক্তি করে। কুসুম একদিন কাঁদতে কাঁদতে সে কথা বাবা রহমত মিয়াকে জানায়। রহমত মিয়া গ্রামের পঞ্চায়েতকে বিষয়টি জানিয়ে বিচার দাবি করে। গ্রামের পঞ্চায়েত সফি মাঝি ও মাতব্বর লুত্ফুর রহমান গ্রামসুদ্ধ সালিসের সামনে রহমত মিয়াকে উল্টো দোষারোপ করে, এক মাসের মধ্যে শিশু কুসুমকে বিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্য করে, নইলে তার পরিবারকে গ্রামছাড়া করা হবে। গ্রামের দু-একজন এ অন্যায় সালিসের প্রতিবাদ করলেও তা মাতব্বরের হুঙ্কারে স্তব্ধ হয়। বাধ্য হয়ে রহমত মিয়া জমি বিক্রি করে, যৌতুক দিয়ে মেয়ে কুসুমের বিয়ে দেয় মাতব্বরের এক চামচার ছেলের সঙ্গে। কিছু দিন না যেতেই বাল্যবিবাহ, অসময়ে সন্তান নেওয়া ও শ্বশুর-শাশুড়ির চরম অত্যাচারে কুসুম অকালে প্রাণ হারায়। আমাদের সমাজের প্রতিদিনের কাহিনী নিয়ে তৈরি নাটকের এখানেই যবনিকা। দর্শক শ্রোতা দু হাতের তালুতে তালি দিয়ে অভিনেতাদের অভিনন্দিত করলেন। শুরু হলো নাটকের।
তৃতীয় দৃশ্য
নাটকে যিনি ছিলেন সূত্রধর, তিনি এলেন মঞ্চে। শত শত দর্শক-শ্রোতার উদ্দেশে প্রশ্ন করলেন, এ নাটকে কুসুম কেন মারা গেল?
‘মাইয়্যাগারে শ্বশুর-শাশুড়ি কি কষ্ট না দিল!’, ‘পোলাইনডা (সন্তান) কিয়ারে নেওনের দরকার আছিল’, ‘ওই কুত্তা শ্বশুর-শাশুড়ি গো লাইগ্যাই তো পোলাইন লইছে’, ‘ব্যাডাডাও (স্বামী) আস্তা হারামি’ ইত্যাদি সব মন্তব্য আসছিল দর্শক সারি থেকে।
সূত্রধর আবার প্রশ্ন করেন, ‘এর জন্য কে দায়ী?’
দর্শক (সমস্বরে): ‘ওই মাতবর লুত্ফুরের লাইগ্যা! ’
সূত্রধর: ‘তার কি শাস্তি হওয়া উচিত?’
দর্শক সারি থেকে আবার নানা মন্তব্য। কেউ বলে, ‘অরে পুলিশে দেন।’ কেউ বলে, ‘ফাঁসি’, কেউ বলে, ‘অরে আমগো আতে (হাতে) ছাইড়্যা দেন, দ্যাহেন কী করি’।
সূত্রধর মাতব্বরকে ডাকলেন। বললেন, ‘দর্শকের রায়ে আপনি অপরাধী। আপনার শাস্তি হবে।’
মাতব্বর বলেন, ‘মাইয়্যা সেয়ানা অইলে বিয়া দেওয়া ফরজ। আমি ভালা কাম করছি, কোনো অপরাধ করি নাই।’
দর্শক বললেন, ‘না, অপরাধ করছেন। মাইয়্যা সেয়ানা অইলে বিয়া দিত অইব ঠিকই, তয় আঠারো বছর অইত অইব। আমনে (মাতব্বরকে উদ্দেশ করে) বার বছরেই বিয়া দিতে বাইধ্য করছেন।’
মাতব্বর: ‘আমি বাইল্য বিয়া দিলে দোষ, আর আমনেরা দিলে দোষ না? আমনেরা আমনেগো মাইয়্যাগোরে বাইল্য বিয়া দেন নায়? (দর্শক চুপ) যদি আমনেরা আর বাইল্য বিয়া না দেন তবে আমি আর এই কাম করুম না, তওবা করলাম।’
দর্শক (সমস্বরে): ‘না, আমরা আর মাইয়্যাগোরে বাল্য বিয়া দিমু না।’
সূত্রধর: দ্বিতীয় অপরাধী কে?
দর্শক (সমস্বরে): শ্বশুর-শাশুড়ি।
সূত্রধর: তাদের অপরাধ?
দর্শকদের (সমস্বরে) নানা মন্তব্য: ‘যৌতুক নিছে’। ‘কুসুমরে অত্যাচার করছে।’ ‘ডাক্তার দ্যাখায়নয়।’ ‘অল্প বয়সে দাদি অইত চায়, শখ কত!’
সূত্রধর শ্বশুর-শাশুড়িকে মঞ্চে ডাকে। বলে, ‘দর্শকের রায়ে আপনারা তো অপরাধী। এখন আপনাদের শাস্তি হবে।’
শাশুড়ি বলে, ‘দর্শকদের ইচ্ছেমতো বিচার হবে নাকি? দর্শকদের মধ্যে কোন শাশুড়ি বৌকে জ্বালায় না? (দর্শক চুপ) কী এখন চুপ কেন? যদি তারা বৌকে না জ্বালায়, তবে আমি আমার অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি মাথা পেতে নেব।’
শেষ দৃশ্য
এমনিভাবে দর্শক, শ্রোতা ও চরের মানুষদের সচেতন হওয়ার শর্তে নাটকের ভিলেন চরিত্রগুলো সুন্দর হওয়ার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় দর্শক-শ্রোতাদের কাছে। তাঁরা বলেন, ‘ওই দিন পর্যন্ত এ দৃশ্য মঞ্চায়ন হবে সমাজের মঞ্চে, যত দিন প্রতিটি পরিবারে, প্রতিটি মানুষ সচেতন না হবে। আমরা চাই না আর একটি কুসুমের বাল্যবিবাহ হোক! আমরা সেই দিনটির অপেক্ষায় আজকের নাটক শেষ করলাম।’
প্রথম দৃশ্য
কৃষক জাহাঙ্গীর চৌকিদার ‘একটি বাড়ি—একটি খামার’-এর প্রদর্শনী করেছেন। সবাইকে সে খামারবাড়ি দেখাচ্ছেন আর বলছেন, তার ইচ্ছে চরে এ রকম একটি বাড়ি তৈরি করবেন। যেখানে কোনো অভাব থাকবে না। মেলায় এসেছে ইউনিয়নের প্রথম নারকেলগাছের নারকেল। অন্য কৃষকেরা এনেছেন তাঁর ক্ষেতের সবচেয়ে বড় উত্পাদিত ফসলটি। এগুলো কোনোটি হাইব্রিড নয়। সবই দেশি। মারফুজা খাতুন (৩৬) নামের এক কিষানি এনেছেন ৩০টি মুরগির বাচ্চা, একটি মা মুরগি ও একটি আধুনিক হাজল (যেখানে মুরগি ডিমে তা দেয়) প্রদর্শন করতে। এটি কেন এনেছেন? জানতে চাইলে মারফুজা জানান, তাঁর মুরগিটি ৩৫টি ডিম দিয়েছিল। তিনি বাচ্চার জন্য ত্রিশটি ডিম ওমে (তা) বসানোর ইচ্ছা করেন। মুরগি যাতে বারবার খাবার খেতে না যায়, পানি খেতে না যায় এ জন্য তিনি একটি আধুনিক হাজল তৈরি করলেন। কারণ এ হাজলের সঙ্গেই পানি এবং খাবার সংগ্রহের ব্যবস্থা রাখা আছে। মা মুরগিটি খেতে ইচ্ছে করলেই ওমে বসা অবস্থায় খেতে পারবে। ফলে তিনি ৩০টি বাচ্চাই পেয়েছেন। যে কৃষক ১৭ কেজি ওজনের লাউ এনেছেন, তিনি অন্য কৃষকদের বোঝাচ্ছেন কী করে সে লাউ তিনি চাষ করেছেন। কৃষকই কৃষক ভাইকে তাঁর সফলতার ইতিহাস শুনিয়েছেন কৃষি মেলায়।
মাঝের চরের মানুষের বিনোদন বলতে রেডিও আর বাজারের হোটেলের ভিসিডি। তাও শুধু পুরুষের জন্য। কিন্তু কৃষি মেলায় তো এসেছেন শত গৃহিণী ও কিষানি। পুরুষ ও শিশুরা তো আছেই। এ জন্য আয়োজক গোষ্ঠী ‘মদনপুর সমন্বিত চাষি কল্যাণ সমিতি’ চরবাসীর জন্য সচেতনতামূলক গান আর নাটক মঞ্চায়নের ব্যবস্থা রেখেছেন।
দ্বিতীয় দৃশ্য
নাটক মঞ্চায়ন শুরু। কুসুম ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। সে স্কুলে যাওয়ার পথে পাড়ার বখাটেরা উত্ত্যক্ত করে। মক্তবে গেলে আজেবাজে কথা বলে। পুকুরে পানি আনতে গেলে গায়ে হাত দেয়, কটূক্তি করে। কুসুম একদিন কাঁদতে কাঁদতে সে কথা বাবা রহমত মিয়াকে জানায়। রহমত মিয়া গ্রামের পঞ্চায়েতকে বিষয়টি জানিয়ে বিচার দাবি করে। গ্রামের পঞ্চায়েত সফি মাঝি ও মাতব্বর লুত্ফুর রহমান গ্রামসুদ্ধ সালিসের সামনে রহমত মিয়াকে উল্টো দোষারোপ করে, এক মাসের মধ্যে শিশু কুসুমকে বিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্য করে, নইলে তার পরিবারকে গ্রামছাড়া করা হবে। গ্রামের দু-একজন এ অন্যায় সালিসের প্রতিবাদ করলেও তা মাতব্বরের হুঙ্কারে স্তব্ধ হয়। বাধ্য হয়ে রহমত মিয়া জমি বিক্রি করে, যৌতুক দিয়ে মেয়ে কুসুমের বিয়ে দেয় মাতব্বরের এক চামচার ছেলের সঙ্গে। কিছু দিন না যেতেই বাল্যবিবাহ, অসময়ে সন্তান নেওয়া ও শ্বশুর-শাশুড়ির চরম অত্যাচারে কুসুম অকালে প্রাণ হারায়। আমাদের সমাজের প্রতিদিনের কাহিনী নিয়ে তৈরি নাটকের এখানেই যবনিকা। দর্শক শ্রোতা দু হাতের তালুতে তালি দিয়ে অভিনেতাদের অভিনন্দিত করলেন। শুরু হলো নাটকের।
তৃতীয় দৃশ্য
নাটকে যিনি ছিলেন সূত্রধর, তিনি এলেন মঞ্চে। শত শত দর্শক-শ্রোতার উদ্দেশে প্রশ্ন করলেন, এ নাটকে কুসুম কেন মারা গেল?
‘মাইয়্যাগারে শ্বশুর-শাশুড়ি কি কষ্ট না দিল!’, ‘পোলাইনডা (সন্তান) কিয়ারে নেওনের দরকার আছিল’, ‘ওই কুত্তা শ্বশুর-শাশুড়ি গো লাইগ্যাই তো পোলাইন লইছে’, ‘ব্যাডাডাও (স্বামী) আস্তা হারামি’ ইত্যাদি সব মন্তব্য আসছিল দর্শক সারি থেকে।
সূত্রধর আবার প্রশ্ন করেন, ‘এর জন্য কে দায়ী?’
দর্শক (সমস্বরে): ‘ওই মাতবর লুত্ফুরের লাইগ্যা! ’
সূত্রধর: ‘তার কি শাস্তি হওয়া উচিত?’
দর্শক সারি থেকে আবার নানা মন্তব্য। কেউ বলে, ‘অরে পুলিশে দেন।’ কেউ বলে, ‘ফাঁসি’, কেউ বলে, ‘অরে আমগো আতে (হাতে) ছাইড়্যা দেন, দ্যাহেন কী করি’।
সূত্রধর মাতব্বরকে ডাকলেন। বললেন, ‘দর্শকের রায়ে আপনি অপরাধী। আপনার শাস্তি হবে।’
মাতব্বর বলেন, ‘মাইয়্যা সেয়ানা অইলে বিয়া দেওয়া ফরজ। আমি ভালা কাম করছি, কোনো অপরাধ করি নাই।’
দর্শক বললেন, ‘না, অপরাধ করছেন। মাইয়্যা সেয়ানা অইলে বিয়া দিত অইব ঠিকই, তয় আঠারো বছর অইত অইব। আমনে (মাতব্বরকে উদ্দেশ করে) বার বছরেই বিয়া দিতে বাইধ্য করছেন।’
মাতব্বর: ‘আমি বাইল্য বিয়া দিলে দোষ, আর আমনেরা দিলে দোষ না? আমনেরা আমনেগো মাইয়্যাগোরে বাইল্য বিয়া দেন নায়? (দর্শক চুপ) যদি আমনেরা আর বাইল্য বিয়া না দেন তবে আমি আর এই কাম করুম না, তওবা করলাম।’
দর্শক (সমস্বরে): ‘না, আমরা আর মাইয়্যাগোরে বাল্য বিয়া দিমু না।’
সূত্রধর: দ্বিতীয় অপরাধী কে?
দর্শক (সমস্বরে): শ্বশুর-শাশুড়ি।
সূত্রধর: তাদের অপরাধ?
দর্শকদের (সমস্বরে) নানা মন্তব্য: ‘যৌতুক নিছে’। ‘কুসুমরে অত্যাচার করছে।’ ‘ডাক্তার দ্যাখায়নয়।’ ‘অল্প বয়সে দাদি অইত চায়, শখ কত!’
সূত্রধর শ্বশুর-শাশুড়িকে মঞ্চে ডাকে। বলে, ‘দর্শকের রায়ে আপনারা তো অপরাধী। এখন আপনাদের শাস্তি হবে।’
শাশুড়ি বলে, ‘দর্শকদের ইচ্ছেমতো বিচার হবে নাকি? দর্শকদের মধ্যে কোন শাশুড়ি বৌকে জ্বালায় না? (দর্শক চুপ) কী এখন চুপ কেন? যদি তারা বৌকে না জ্বালায়, তবে আমি আমার অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি মাথা পেতে নেব।’
শেষ দৃশ্য
এমনিভাবে দর্শক, শ্রোতা ও চরের মানুষদের সচেতন হওয়ার শর্তে নাটকের ভিলেন চরিত্রগুলো সুন্দর হওয়ার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় দর্শক-শ্রোতাদের কাছে। তাঁরা বলেন, ‘ওই দিন পর্যন্ত এ দৃশ্য মঞ্চায়ন হবে সমাজের মঞ্চে, যত দিন প্রতিটি পরিবারে, প্রতিটি মানুষ সচেতন না হবে। আমরা চাই না আর একটি কুসুমের বাল্যবিবাহ হোক! আমরা সেই দিনটির অপেক্ষায় আজকের নাটক শেষ করলাম।’
No comments