অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন-চাল সাদা করতে ইউরিয়া
ধবধবে সাদা ও উজ্জ্বল চাল ক্রেতাদের সহজে আকৃষ্ট করে। তাদের এমন পছন্দের সুযোগ নিয়ে বাড়তি লাভের আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ধান থেকে চাল উত্পাদনের প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করছেন ইউরিয়া সার। এ কারণে নিজের অগোচরেই ভোক্তা স্বাস্থ্যগতভাবে আরও নাজুক অবস্থায় পতিত হচ্ছেন।
গত বুধবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রংপুরের তারাগঞ্জে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ এই অপতত্পরতা চালাচ্ছেন কিছু ব্যবসায়ী।
ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। তাই অন্য যেকোনো খাবারে ভেজাল মেশানোর চেয়ে চালে ভেজাল মেশানোর ফলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি। ইউরিয়া মেশানো চালের ভাত দীর্ঘদিন খেলে যকৃতের কোষ ধ্বংস এবং কিডনিতে প্রদাহ ও ক্ষত সৃষ্টি হয়ে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবু কয়েক বছর ধরে এভাবে চাল সাদা করা অব্যাহত রয়েছে। এর আগে নানা সময়ে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। তার পরও প্রশাসনের নাকের ডগায় ইউরিয়ামিশ্রিত চালের ব্যবসা চলছে। সয়ার ও হাঁড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা স্বীকার করেছেন, বিষয়টি তাঁদের জানা আছে। কিন্তু ‘প্রমাণের অভাবে’ অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে পারছেন না। তাঁদের চোখের সামনে চাল বিক্রি চললেও ‘প্রমাণের অভাব’ কেন হচ্ছে তা আমাদের বোঝা কঠিন। জনপ্রতিনিধিদের এমন দায়সারা বক্তব্য কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
ইউরিয়ামিশ্রিত চাল ব্যবহারের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে এখনই সতর্ক হওয়া দরকার। ইউরিয়ামিশ্রিত চাল বিক্রি নিষিদ্ধ করা, চাল উত্পাদনকারী আড়ত ও কারখানায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা এবং কোনো কারখানা বা আড়তে ইউরিয়ামিশ্রিত চাল পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হলে ব্যবসায়ীরা এ কাজে নিরুত্সাহিত হবেন। ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনকে আরও তত্পর হওয়া প্রয়োজন।
ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। তাই অন্য যেকোনো খাবারে ভেজাল মেশানোর চেয়ে চালে ভেজাল মেশানোর ফলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি। ইউরিয়া মেশানো চালের ভাত দীর্ঘদিন খেলে যকৃতের কোষ ধ্বংস এবং কিডনিতে প্রদাহ ও ক্ষত সৃষ্টি হয়ে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবু কয়েক বছর ধরে এভাবে চাল সাদা করা অব্যাহত রয়েছে। এর আগে নানা সময়ে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। তার পরও প্রশাসনের নাকের ডগায় ইউরিয়ামিশ্রিত চালের ব্যবসা চলছে। সয়ার ও হাঁড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা স্বীকার করেছেন, বিষয়টি তাঁদের জানা আছে। কিন্তু ‘প্রমাণের অভাবে’ অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে পারছেন না। তাঁদের চোখের সামনে চাল বিক্রি চললেও ‘প্রমাণের অভাব’ কেন হচ্ছে তা আমাদের বোঝা কঠিন। জনপ্রতিনিধিদের এমন দায়সারা বক্তব্য কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
ইউরিয়ামিশ্রিত চাল ব্যবহারের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে এখনই সতর্ক হওয়া দরকার। ইউরিয়ামিশ্রিত চাল বিক্রি নিষিদ্ধ করা, চাল উত্পাদনকারী আড়ত ও কারখানায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা এবং কোনো কারখানা বা আড়তে ইউরিয়ামিশ্রিত চাল পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হলে ব্যবসায়ীরা এ কাজে নিরুত্সাহিত হবেন। ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনকে আরও তত্পর হওয়া প্রয়োজন।
No comments