স্বপ্নের সেতু বাস্তবে ধরা দিচ্ছে
অবশেষে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে ধরা দিতে যাচ্ছে। সেতু নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১২০ কোটি ডলার বা ৪৮ শতাংশ অর্থের জোগান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে মাওয়ায় পদ্মার বুকে শহীদ বরকত ফেরিতে বসে চুক্তিতে সই করেছেন বিশ্বব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. নগোজি ওকোনজো-
ইউয়েলা এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া। সেতু নির্মাণের বাকি অর্থের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬১ কোটি পাঁচ লাখ ডলার, জাইকা ৪০ কোটি ডলার এবং ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অবশিষ্ট ব্যয় বাংলাদেশকেই বহন করতে হবে। জাপান সরকার আপাতত তাদের প্রতিশ্রুত ৪০ কোটি ডলার দিতে পারছে না। তা সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, বর্তমান সরকারের আমলেই সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই পদ্মা সেতু। কারণ শুধু সুষ্ঠু যোগাযোগব্যবস্থার অভাবে দেশের এ বিশাল অংশের উন্নয়ন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মংলার কার্যক্রম প্রায় থেমে গিয়েছিল। তাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের পক্ষে এ কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হলেও কোনো বাস্তব অগ্রগতি সাধিত হয়নি। তাই এবার মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই শুরু করে সেতুর সমীক্ষা ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র তৈরির কাজ। একই সঙ্গে চলতে থাকে সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের প্রচেষ্টা। তারই ভিত্তিতে গতকাল বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সই করা হয়েছে।
সেতুটি নির্মিত হলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। মংলা বন্দর আবার প্রাণ ফিরে পাবে। মংলার সঙ্গে তখন রাজধানীর দূরত্ব দাঁড়াবে ১৭০ কিলোমিটার, যা ঘুরাপথে এখন ৪১০ কিলোমিটারের মতো। আবার এ সেতু নির্মাণের ফলে তৃতীয় সমুদ্রবন্দর নিয়ে চিন্তাভাবনা করারও সুযোগ সৃষ্টি হবে। সময় কম লাগার কারণে পদ্মার ওপারে তখন ব্যাপকভাবে কলকারখানা গড়ে উঠবে। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা সৃষ্টি জরুরি হয়ে পড়বে। এভাবে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরিশালসহ সংলগ্ন এলাকার মৎস্যজীবীদের আজন্ম বঞ্চনার ইতিহাস অনেকটাই মুছে যাবে। তারা তাদের শ্রমের যথাযথ মূল্য পাবে। পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত পণ্যেরও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে। ফলে অবহেলিত দক্ষিণের জনপদে যেমন উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে, তেমনি দেশও অনেক বেশি উপকৃত হবে। বিশ্বব্যাংকের এমডি এর আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় আশা প্রকাশ করেছেন, সেতুর জন্য সব ক্রয়প্রক্রিয়া খোলামেলা হবে এবং নির্মাণকাজ হবে দুর্নীতিমুক্ত। তাঁর সঙ্গে একমত প্রকাশ করে আমরাও বলছি, ঋণের এ অর্থ জনগণকেই পরিশোধ করতে হবে। তাই জনগণের অর্থ ব্যবহারে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকবে_এটাই প্রত্যাশিত।
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই পদ্মা সেতু। কারণ শুধু সুষ্ঠু যোগাযোগব্যবস্থার অভাবে দেশের এ বিশাল অংশের উন্নয়ন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মংলার কার্যক্রম প্রায় থেমে গিয়েছিল। তাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের পক্ষে এ কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হলেও কোনো বাস্তব অগ্রগতি সাধিত হয়নি। তাই এবার মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই শুরু করে সেতুর সমীক্ষা ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র তৈরির কাজ। একই সঙ্গে চলতে থাকে সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের প্রচেষ্টা। তারই ভিত্তিতে গতকাল বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সই করা হয়েছে।
সেতুটি নির্মিত হলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। মংলা বন্দর আবার প্রাণ ফিরে পাবে। মংলার সঙ্গে তখন রাজধানীর দূরত্ব দাঁড়াবে ১৭০ কিলোমিটার, যা ঘুরাপথে এখন ৪১০ কিলোমিটারের মতো। আবার এ সেতু নির্মাণের ফলে তৃতীয় সমুদ্রবন্দর নিয়ে চিন্তাভাবনা করারও সুযোগ সৃষ্টি হবে। সময় কম লাগার কারণে পদ্মার ওপারে তখন ব্যাপকভাবে কলকারখানা গড়ে উঠবে। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা সৃষ্টি জরুরি হয়ে পড়বে। এভাবে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরিশালসহ সংলগ্ন এলাকার মৎস্যজীবীদের আজন্ম বঞ্চনার ইতিহাস অনেকটাই মুছে যাবে। তারা তাদের শ্রমের যথাযথ মূল্য পাবে। পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত পণ্যেরও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে। ফলে অবহেলিত দক্ষিণের জনপদে যেমন উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে, তেমনি দেশও অনেক বেশি উপকৃত হবে। বিশ্বব্যাংকের এমডি এর আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় আশা প্রকাশ করেছেন, সেতুর জন্য সব ক্রয়প্রক্রিয়া খোলামেলা হবে এবং নির্মাণকাজ হবে দুর্নীতিমুক্ত। তাঁর সঙ্গে একমত প্রকাশ করে আমরাও বলছি, ঋণের এ অর্থ জনগণকেই পরিশোধ করতে হবে। তাই জনগণের অর্থ ব্যবহারে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকবে_এটাই প্রত্যাশিত।
No comments