সাকিব-শচীন হওয়ার স্বপ্ন তাদের চোখে by আরিফুল হক
বয়স কত হবে, বড়জোর ১৩ থেকে ১৪। কিশোর চেহারায় পুরোপুরি পেশাদারি মনোভাব। ব্যাট হাতে নেটে সমানে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে। এক-একটা শট খেলার পর কোচ বুঝিয়ে দিচ্ছেন খুঁটিনাটি। পরের শটে আরও পরিপক্ব হয়ে উঠছে সে।
এভাবে চলল প্রায় ৩০ মিনিট। এরপর নেট থেকে বেরোলে একটু সময় পাওয়া গেল এ কিশোর ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলার। তার নাম শাফায়াত মিরাজ। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গত বছর জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমিতে ভর্তি হয়েছিল নাসিরাবাদ বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র শাফায়াত।
সে জানায়, তার আদর্শ সাকিব আল হাসান। সাকিবের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হওয়ার স্বপ্ন দুই চোখে। ভালো লাগে শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটিং। শুধু শাফায়াত নয়, স্বপ্ন বুকে নিয়ে প্রতিদিন কঠোর অনুশীলন করে যাচ্ছে আরও শতাধিক কিশোর। একসময় চট্টগ্রামে যেখানে ছিল হাতেগোনা কয়েকটি ক্রিকেট একাডেমি, সেখানে এখন ১২টি একাডেমি ক্রিকেট প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এখান থেকে উঠে আসছে আগামী দিনের ক্রিকেটাররা। চিটাগাং ক্রিকেট একাডেমির প্রধান নির্বাহী ও কোচ সাইফুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯০ সালের দিকে প্রয়াত রাশেদ আজগর চৌধুরী এবং মনজুরুল কাইয়ুম চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় চিটাগাং ক্রিকেট একাডেমি নামে ক্রিকেট প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করি। আমাদের একাডেমি থেকে আফতাব আহমেদের মতো জাতীয় খেলোয়াড় বেরিয়ে এসেছেন। আরও অনেক মেধাবী খেলোয়াড় আসবে বলে আমাদের আশা। তবে মাঠের স্বল্পতার কারণে আমরা অনেকেই ঠিকমতো প্রশিক্ষণ চালাতে পারছি না।’ একই অভিযোগ চট্টগ্রামের অন্যান্য একাডেমির প্রশিক্ষকদেরও। জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমির প্রশিক্ষক তপন দত্ত জানান, ‘মাঠের স্বল্পতার পাশাপাশি আমরা ক্রিকেট বোর্ড কিংবা স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলো থেকেও কোনো অনুদান পাই না। তবুও আশার কথা, অনেক ছেলে এখন প্রশিক্ষণ নিতে আসছে।’
নিও ক্রিকেট একাডেমির আবু সামা বিপ্লব বলেন, ‘আমরা যে মাঠে ছেলেদের প্রশিক্ষণ দিই তা ক্রিকেটের উপযোগী না। তদুপরি আউটার স্টেডিয়ামে বছরের অধিকাংশ সময় মেলা চলায় সেটিও ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি না।’
এদিকে নানা সংকটেও ক্রিকেট শিখতে আসা প্রশিক্ষাণার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে বিভিন্ন একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে প্রায় এক হাজার শিশুকিশোর। অভিভাবকেরাও আগ্রহ নিয়ে ছেলেদের নিয়ে আসছেন ক্রিকেট প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোতে। সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র নিহারকে প্রতিদিন অনুশীলনের জন্য নিয়ে আসে তার বাব শেখ আলম। তিনি বলেন, ‘একদিকে ক্রিকেটের জোয়ার, আর প্রতিদিন অনুশীলনে আসলে ছেলেও আজেবাজে জায়গায় গিয়ে সময় নষ্ট করবে না, তাই প্রতিদিন ছেলেকে অনুশীলনে নিয়ে আসি।’
ইস্পাহানি ক্রিকেট একাডেমির প্রশিক্ষক নুরুল আবেদীন নোবেল বলেন, একাডেমি হচ্ছে খেলোয়াড় সরবরাহের বড় একটি মাধ্যম। বরাবরের মতো চট্টগ্রামের বিভিন্ন লিগে একাডেমির ছেলেরাই কিন্তু পারফর্ম করছে।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে খেলা ইস্পাহানি ক্রিকেট একাডেমির ইরফান শুক্কুর বলেন, ‘একাডেমিতেই কিন্তু আমার মতো অনেকেরই ক্রিকেটের হাতেখড়ি। একাডেমিগুলো চালু আছে বলে নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসছে। এখন এর ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হওয়া দরকার।’
সে জানায়, তার আদর্শ সাকিব আল হাসান। সাকিবের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হওয়ার স্বপ্ন দুই চোখে। ভালো লাগে শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটিং। শুধু শাফায়াত নয়, স্বপ্ন বুকে নিয়ে প্রতিদিন কঠোর অনুশীলন করে যাচ্ছে আরও শতাধিক কিশোর। একসময় চট্টগ্রামে যেখানে ছিল হাতেগোনা কয়েকটি ক্রিকেট একাডেমি, সেখানে এখন ১২টি একাডেমি ক্রিকেট প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এখান থেকে উঠে আসছে আগামী দিনের ক্রিকেটাররা। চিটাগাং ক্রিকেট একাডেমির প্রধান নির্বাহী ও কোচ সাইফুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯০ সালের দিকে প্রয়াত রাশেদ আজগর চৌধুরী এবং মনজুরুল কাইয়ুম চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় চিটাগাং ক্রিকেট একাডেমি নামে ক্রিকেট প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করি। আমাদের একাডেমি থেকে আফতাব আহমেদের মতো জাতীয় খেলোয়াড় বেরিয়ে এসেছেন। আরও অনেক মেধাবী খেলোয়াড় আসবে বলে আমাদের আশা। তবে মাঠের স্বল্পতার কারণে আমরা অনেকেই ঠিকমতো প্রশিক্ষণ চালাতে পারছি না।’ একই অভিযোগ চট্টগ্রামের অন্যান্য একাডেমির প্রশিক্ষকদেরও। জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমির প্রশিক্ষক তপন দত্ত জানান, ‘মাঠের স্বল্পতার পাশাপাশি আমরা ক্রিকেট বোর্ড কিংবা স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলো থেকেও কোনো অনুদান পাই না। তবুও আশার কথা, অনেক ছেলে এখন প্রশিক্ষণ নিতে আসছে।’
নিও ক্রিকেট একাডেমির আবু সামা বিপ্লব বলেন, ‘আমরা যে মাঠে ছেলেদের প্রশিক্ষণ দিই তা ক্রিকেটের উপযোগী না। তদুপরি আউটার স্টেডিয়ামে বছরের অধিকাংশ সময় মেলা চলায় সেটিও ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি না।’
এদিকে নানা সংকটেও ক্রিকেট শিখতে আসা প্রশিক্ষাণার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে বিভিন্ন একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে প্রায় এক হাজার শিশুকিশোর। অভিভাবকেরাও আগ্রহ নিয়ে ছেলেদের নিয়ে আসছেন ক্রিকেট প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোতে। সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র নিহারকে প্রতিদিন অনুশীলনের জন্য নিয়ে আসে তার বাব শেখ আলম। তিনি বলেন, ‘একদিকে ক্রিকেটের জোয়ার, আর প্রতিদিন অনুশীলনে আসলে ছেলেও আজেবাজে জায়গায় গিয়ে সময় নষ্ট করবে না, তাই প্রতিদিন ছেলেকে অনুশীলনে নিয়ে আসি।’
ইস্পাহানি ক্রিকেট একাডেমির প্রশিক্ষক নুরুল আবেদীন নোবেল বলেন, একাডেমি হচ্ছে খেলোয়াড় সরবরাহের বড় একটি মাধ্যম। বরাবরের মতো চট্টগ্রামের বিভিন্ন লিগে একাডেমির ছেলেরাই কিন্তু পারফর্ম করছে।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে খেলা ইস্পাহানি ক্রিকেট একাডেমির ইরফান শুক্কুর বলেন, ‘একাডেমিতেই কিন্তু আমার মতো অনেকেরই ক্রিকেটের হাতেখড়ি। একাডেমিগুলো চালু আছে বলে নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসছে। এখন এর ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হওয়া দরকার।’
No comments