সন্ত্রাসীরাই কি শিক্ষাঙ্গনের দণ্ডমুণ্ডের মালিক?-অপ্রতিরোধ্য ছাত্রলীগ!
যার কোনো শেষ নেই, তাকে ‘অশেষ’ বলা হয়। বাংলাদেশে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস তেমনই এক অশেষ ব্যাপার। রাজা যায় রাজা আসে, ক্ষমতার মসনদে দলের বদল হয়, মিছিলের স্লোগান বদলে যায়, কিন্তু যা বদলায় না তা হলো শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের ধারা।
নতুন বর্ষের পাঠদান শুরু হলে, ছাত্রসংগঠনের নির্বাচন বা জাতীয় নির্বাচনে হলে, সরকার বদলালে কিংবা এলাকায় ব্যয়বহুল কোনো উন্নয়ন প্রকল্প হলে সন্ত্রাস বাড়তে দেখা যায়। দেশব্যাপী কলেজগুলোতে ভর্তির মৌসুম শুরু হয়েছে, অতএব সন্ত্রাসও থাবা ছড়াচ্ছে। যশোরের এমএম কলেজ এবং ঢাকার ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কর্মীরা ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, আরও ঘটনা প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, কতিপয় সন্ত্রাসী কি শিক্ষাঙ্গনের দণ্ডমুণ্ডের অধিকারী?
সন্ত্রাস ও দুর্নীতি যেন মানিকজোড়; কোথাও সন্ত্রাস হলে ধরে নিতে হবে তার কার্যকারণগুলোর মধ্যে দুর্নীতিও রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত কলেজগুলোতে প্রতিবছর প্রভাবশালী সরকারি ও বিরোধী দলের অনুসারী ছাত্রসংগঠনগুলো ভর্তির কোটা দাবি করে থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা পেয়েও থাকে। মেধা তালিকায় বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের তারা অর্থের বিনিময়ে কোটার সুবাদে ভর্তি করিয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতিতে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ না থাকায় কোটাখোরদের কোটা দেওয়া যায়নি। ফলে ভর্তি-বাণিজ্য কঠিন হয়ে যাওয়ায় মরিয়া হয়ে উঠছে সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠনগুলো। এরই প্রতিফলন ঘটেছে ঢাকা কলেজ এবং যশোরের এমএম কলেজে স্থানীয় এক সাংসদপুত্রের অনুসারীদের তাণ্ডবে। অন্যদিকে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের তাণ্ডবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
দেখা যায়, দেশের অধিকাংশ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের কাছেই জিম্মি থাকে। তারা সেটা অপ্রতিরোধ্যভাবে চালিয়ে যেতে পারে উচ্চপর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে। সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক হেন সুবিধা নেই যে ভোগ করা হয় না। এ অবস্থা যতটা অসহনীয় ও লজ্জাকর, প্রতিকারে ততটাই কঠোর ও লক্ষ্যভেদী হওয়া চাই। সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আদালতে বিচারের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা যেতে পারে। এটা করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় পক্ষপাতহীন দক্ষ শিক্ষক-প্রশাসকদের দায়িত্ব দিতে হবে। শিক্ষা ও পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা খুবই জরুরি; তার জন্য দেখতে হবে যাতে রাজনৈতিক চাপ তাঁদের বিব্রত ও ভীত না করে।
সন্ত্রাস ও দুর্নীতি যেন মানিকজোড়; কোথাও সন্ত্রাস হলে ধরে নিতে হবে তার কার্যকারণগুলোর মধ্যে দুর্নীতিও রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত কলেজগুলোতে প্রতিবছর প্রভাবশালী সরকারি ও বিরোধী দলের অনুসারী ছাত্রসংগঠনগুলো ভর্তির কোটা দাবি করে থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা পেয়েও থাকে। মেধা তালিকায় বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের তারা অর্থের বিনিময়ে কোটার সুবাদে ভর্তি করিয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতিতে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ না থাকায় কোটাখোরদের কোটা দেওয়া যায়নি। ফলে ভর্তি-বাণিজ্য কঠিন হয়ে যাওয়ায় মরিয়া হয়ে উঠছে সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠনগুলো। এরই প্রতিফলন ঘটেছে ঢাকা কলেজ এবং যশোরের এমএম কলেজে স্থানীয় এক সাংসদপুত্রের অনুসারীদের তাণ্ডবে। অন্যদিকে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের তাণ্ডবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
দেখা যায়, দেশের অধিকাংশ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের কাছেই জিম্মি থাকে। তারা সেটা অপ্রতিরোধ্যভাবে চালিয়ে যেতে পারে উচ্চপর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে। সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক হেন সুবিধা নেই যে ভোগ করা হয় না। এ অবস্থা যতটা অসহনীয় ও লজ্জাকর, প্রতিকারে ততটাই কঠোর ও লক্ষ্যভেদী হওয়া চাই। সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আদালতে বিচারের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা যেতে পারে। এটা করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় পক্ষপাতহীন দক্ষ শিক্ষক-প্রশাসকদের দায়িত্ব দিতে হবে। শিক্ষা ও পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা খুবই জরুরি; তার জন্য দেখতে হবে যাতে রাজনৈতিক চাপ তাঁদের বিব্রত ও ভীত না করে।
No comments