এনএসইউ চেয়ারম্যানের অপকীর্তি-প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে
দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষার কারণে শুধু বাংলাদেশের নয়, বহির্বিশ্ব থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে থাকেন শিক্ষা গ্রহণ করতে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য শিক্ষার্থীকে উন্নত শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি সামাজিক কাজেও সম্পৃক্ত করা এবং
আগ্রহী করে তোলা; নিয়মিত গবেষণা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের ক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয়টির বিস্তর সুনাম রয়েছে। ১৮ বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠান দেশ-বিদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে যে অবদান রেখে আসছে, তা এককথায় অতুলনীয়। কিন্তু হঠাৎ করেই এ প্রতিষ্ঠানের জন্য এক বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রতিষ্ঠানেরই সবচেয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তি বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ারম্যান ও আজীবন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং একাধিকবার শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠে আসার পর থেকেই এই গুরুগম্ভীর প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিব্রত হয়ে পড়েছেন। উল্লেখ্য, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বেশ কয়েকটি পত্রিকা নীতিগতভাবে সরব হয়ে উঠলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সম্প্রতি মঞ্জুরি কমিশন ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্ট কমিটির কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সর্বশেষ গতকাল মূল উপাচার্য ড. হাফিজ জি এ সিদ্দিকীকে পুনর্বহাল করার জন্য চেয়ারম্যান শাহজাহানকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব উদ্যোগের জন্য সরকার ও ইউজিসিকে অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা যেতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিড়ম্বনা এখনো শেষ হয়নি। সোমবার একটি সহযোগী দৈনিক থেকে জানা গেছে, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের ভাড়াটে গুণ্ডাবাহিনীর হুমকির কারণে ক্যাম্পাসে যেতে পারেননি উপাচার্য ড. হাফিজ জি এ সিদ্দিকী। তাঁকে ক্যাম্পাসে না যেতে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান মুখ্যত অনেকটাই নির্ভর করে শিক্ষার মান ও পরিবেশের ওপর। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান যেমন আন্তর্জাতিক, তেমনি অপরাপর দায়িত্বশীল ব্যক্তিও তাঁদের দায়িত্ব সন্তোষজনকভাবে অব্যাহত রেখেছেন। অথচ একজন মাত্র ব্যক্তি তাঁর অপকীর্তি ঢাকতে এবং ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এই শিক্ষাবান্ধব প্রতিষ্ঠানটিকে কলুষিত করে তোলার চেষ্টা করছেন। আমরা মনে করি, যে করেই হোক বিশ্ববিদ্যালয়টির মান ও মর্যাদা টিকিয়ে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদার সঙ্গে দেশের শিক্ষার মর্যাদা জড়িয়ে আছে। এমন সুন্দর একটি প্রতিষ্ঠানে গুরুদায়িত্বে বহাল মো. শাহজাহানের ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে অচিরেই যথাযথ কর্তৃপক্ষ আরো শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে দ্রুত পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠতে সহায়তা করবে বলে আমরা আশা করি।
এ অবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান মুখ্যত অনেকটাই নির্ভর করে শিক্ষার মান ও পরিবেশের ওপর। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান যেমন আন্তর্জাতিক, তেমনি অপরাপর দায়িত্বশীল ব্যক্তিও তাঁদের দায়িত্ব সন্তোষজনকভাবে অব্যাহত রেখেছেন। অথচ একজন মাত্র ব্যক্তি তাঁর অপকীর্তি ঢাকতে এবং ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এই শিক্ষাবান্ধব প্রতিষ্ঠানটিকে কলুষিত করে তোলার চেষ্টা করছেন। আমরা মনে করি, যে করেই হোক বিশ্ববিদ্যালয়টির মান ও মর্যাদা টিকিয়ে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদার সঙ্গে দেশের শিক্ষার মর্যাদা জড়িয়ে আছে। এমন সুন্দর একটি প্রতিষ্ঠানে গুরুদায়িত্বে বহাল মো. শাহজাহানের ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে অচিরেই যথাযথ কর্তৃপক্ষ আরো শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে দ্রুত পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠতে সহায়তা করবে বলে আমরা আশা করি।
No comments