চুড়িদার-কামিজে এবারের বৈশাখ by তৌহিদা শিরোপা
বৈশাখের প্রথম দিনে ঘরে বসে তো আর থাকা যায় না। ভোরের আলো ফুটতেই সাজসজ্জা শুরু হয় তরুণীদের মধ্যে। গরম, অনভ্যস্ততার কারণে শাড়িতে স্বস্তি বোধ করেন না অনেকই। তাঁরা অনায়াসে পরতে পারেন সালোয়ার-কামিজ বা কুর্তা-চুড়িদার। পোশাকের নকশা, কাটে ভিন্নতা আনা যেতেই পারে।
আর সাজটাও তো হতে হবে মানানসই। লম্বা বেণি, টিপ আর চুড়িতে থাকবে বৈশাখী আমেজ। আড়ংয়ের বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক রওনক জাহান বলেন, ‘লম্বা কুর্তা, কামিজের সঙ্গে এই বৈশাখে চুড়িদার সালোয়ার বেশ চলছে। তরুণীদের পছন্দের তালিকায় বৈশাখের পোশাকের চিরায়িত রং লাল-সাদার পাশাপাশি সবুজ, নীল, কমলা ও ম্যাজেন্টার মতো উজ্জ্বল রং প্রাধান্য পেয়েছে। কামিজের কাট, নকশাতেও খানিকটা পরিবর্তন এসেছে। একটু ঘেরওয়ালা ফ্রক-কাট কামিজ, লম্বা কুর্তা বা কামিজের হেমে ভি-কাট, পাশাপাশি আনারকলি কামিজ, অ্যালাইন কামিজের চল রয়েছে। হাতায়, গলায় ও হেমে পাইপিং, লেইস ব্যবহার করতে পারেন। হাতকাটা, খাটো হাতা, ঘটিহাতা, এমনকি ফুলহাতা কামিজ পরা যেতে পারে। সুতির পোশাকই গরমের জন্য আরামদায়ক হবে। তবে রাতে বের হলে অ্যান্ডি, সিল্ক কিংবা মসলিনের পোশাক পরতে পারেন।’
বাজার ঘুরে দেখা গেল, বরাবরের মতো এবারও দেশীয় বিভিন্ন মোটিফে পোশাক তৈরি করা হয়েছে। হাতের কাজ, নকশিকাঁথার কাজ, ফুল, পাখি ঐতিহ্যবাহী নকশার হ্যান্ডপেইন্টের চাহিদা বেশি।
পয়লা বৈশাখে সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সাজসজ্জা, গয়নাও মানানসই হতে হবে। এই নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান। তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখের পোশাক উজ্জ্বল রঙের হয়, তাই সাজ হবে হালকা। শাড়ি না পরলে খোঁপায় ফুল দেওয়া যাবে না, বেণি করা যাবে না—এসব ধারণা একদম ঠিক নয়। চুল ছোট হলে ছেড়ে দিলে ভালো দেখাবে। যাঁদের চুল বড়, তাঁরা খোঁপা করে রংবেরঙের একটি বা দুটি ফুল দিতে পারেন। আর চুল খুব বড় না হলে টারসেল দিয়ে বেণি করতে পারেন। কামিজের পাইপিং বা লেইসের সঙ্গে মিলিয়ে টারসেলের নিচে ফিতা-ব্যান্ড ব্যবহার করলে বেশ দেখাবে। বেণিতে ফুল পেঁচিয়ে বা পাশে একটি বড় ফুল দিলে চুলের সাজ পূর্ণতা পাবে।
এবার আসা যাক মুখের সাজে। ভোরে বের হয়ে দিনমানের ঘোরাঘুরি। ঠিকভাবে না সাজলে গরমে পুরো সাজ যাবে লেপটে। পয়লা বৈশাখের আগের রাতে মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে একটা ভালো প্যাক লাগালে ত্বক পরিষ্কার হবে। এরপর ঘুম থেকে উঠে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এবার টিস্যুতে বরফ নিয়ে আলতো করে মুখে ঘষে নিতে হবে, বিশেষ করে টি-জোনে। শুষ্ক ত্বক হলে এবার টোনার ব্যবহার করতে হবে। আর তৈলাক্ত ত্বক হলে অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন ব্যবহারের পর কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করুন। চাইলে হালকা পাউডারজাতীয় মিনারেল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। আইলাইনার, কাজল দিয়ে চোখকে টানা টানা করতে পারেন। আইলাইনার, কাজল, মাশকারা অবশ্যই পানিরোধক কিন্তু ম্যাট হতে হবে। চোখের ওপরে-নিচে শুধু কাজল আর চোখের পাতায় গাঢ় করে মাশকারা দিলেও আর্কষণীয় হয়ে উঠবে চোখজোড়া। এ ছাড়া গাঢ় বাদামি, হালকা তামা রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন। কপালে পরুন টিপ। আর ঠোঁটে হালকা রঙের ম্যাট লিপস্টিক। একটু চাকচিক্য আনতে চাইলে হালকা লিপগ্লসও ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৈশাখের সাজের পরিপূর্ণতার জন্য একহাত ভর্তি কাচের চুড়ি মানানসই। এ ছাড়া পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে সুতা, কাঠ ও বিভিন্ন পুঁতির গয়না পরলে ভালো দেখাবে। চুড়িদার কামিজের সঙ্গে রুপার গয়নাও বেশ চলে। আর সারা দিনের হাঁটার জন্য পায়ে আরামদায়ক স্যান্ডেল পরুন। এবার নির্ভাবনায় বেরিয়ে পড়ুন।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, বরাবরের মতো এবারও দেশীয় বিভিন্ন মোটিফে পোশাক তৈরি করা হয়েছে। হাতের কাজ, নকশিকাঁথার কাজ, ফুল, পাখি ঐতিহ্যবাহী নকশার হ্যান্ডপেইন্টের চাহিদা বেশি।
পয়লা বৈশাখে সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সাজসজ্জা, গয়নাও মানানসই হতে হবে। এই নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান। তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখের পোশাক উজ্জ্বল রঙের হয়, তাই সাজ হবে হালকা। শাড়ি না পরলে খোঁপায় ফুল দেওয়া যাবে না, বেণি করা যাবে না—এসব ধারণা একদম ঠিক নয়। চুল ছোট হলে ছেড়ে দিলে ভালো দেখাবে। যাঁদের চুল বড়, তাঁরা খোঁপা করে রংবেরঙের একটি বা দুটি ফুল দিতে পারেন। আর চুল খুব বড় না হলে টারসেল দিয়ে বেণি করতে পারেন। কামিজের পাইপিং বা লেইসের সঙ্গে মিলিয়ে টারসেলের নিচে ফিতা-ব্যান্ড ব্যবহার করলে বেশ দেখাবে। বেণিতে ফুল পেঁচিয়ে বা পাশে একটি বড় ফুল দিলে চুলের সাজ পূর্ণতা পাবে।
এবার আসা যাক মুখের সাজে। ভোরে বের হয়ে দিনমানের ঘোরাঘুরি। ঠিকভাবে না সাজলে গরমে পুরো সাজ যাবে লেপটে। পয়লা বৈশাখের আগের রাতে মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে একটা ভালো প্যাক লাগালে ত্বক পরিষ্কার হবে। এরপর ঘুম থেকে উঠে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এবার টিস্যুতে বরফ নিয়ে আলতো করে মুখে ঘষে নিতে হবে, বিশেষ করে টি-জোনে। শুষ্ক ত্বক হলে এবার টোনার ব্যবহার করতে হবে। আর তৈলাক্ত ত্বক হলে অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন ব্যবহারের পর কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করুন। চাইলে হালকা পাউডারজাতীয় মিনারেল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। আইলাইনার, কাজল দিয়ে চোখকে টানা টানা করতে পারেন। আইলাইনার, কাজল, মাশকারা অবশ্যই পানিরোধক কিন্তু ম্যাট হতে হবে। চোখের ওপরে-নিচে শুধু কাজল আর চোখের পাতায় গাঢ় করে মাশকারা দিলেও আর্কষণীয় হয়ে উঠবে চোখজোড়া। এ ছাড়া গাঢ় বাদামি, হালকা তামা রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন। কপালে পরুন টিপ। আর ঠোঁটে হালকা রঙের ম্যাট লিপস্টিক। একটু চাকচিক্য আনতে চাইলে হালকা লিপগ্লসও ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৈশাখের সাজের পরিপূর্ণতার জন্য একহাত ভর্তি কাচের চুড়ি মানানসই। এ ছাড়া পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে সুতা, কাঠ ও বিভিন্ন পুঁতির গয়না পরলে ভালো দেখাবে। চুড়িদার কামিজের সঙ্গে রুপার গয়নাও বেশ চলে। আর সারা দিনের হাঁটার জন্য পায়ে আরামদায়ক স্যান্ডেল পরুন। এবার নির্ভাবনায় বেরিয়ে পড়ুন।
No comments