প্রশাসনের তাৎক্ষণিক উদ্যোগকে স্বাগত জানাই-ইটভাটার জন্য নদী ভরাট
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে নদী দখল করে যে ইটভাটাটি তৈরি হচ্ছিল, তার কাজ বন্ধ হয়েছে। যাঁরা এই অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের আটক করা হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রথম আলোয় নদী দখল করে ইটভাটা তৈরির খবর ছাপা হওয়ার পর প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর হয়ে এই
উদ্যোগ নেয়। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তবে এ ঘটনার সূত্র ধরে কিছু প্রসঙ্গ তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মনে করছি।
এমবিসি নামের প্রতিষ্ঠানটি নদী দখল করে ইটভাটা তৈরির কাজ করে আসছিল ১৫ দিন ধরে। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী, বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চারপাশের নদীর অংশ বা তীর ভরাট বা দখল করে কোনো স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। জলাধার ও পরিবেশ আইন অনুযায়ীও তা করা যায় না। প্রতিষ্ঠানটি নদী দখলের কাজটি করছিল প্রকাশ্যে। এ ধরনের কাজ লুকিয়ে করা সম্ভব নয়। আমাদের প্রশ্ন, এই যে প্রকাশ্যে নদী দখলের কাজ চলছিল, তা পত্রিকায় প্রকাশের আগে কেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠেকানোর উদ্যোগ নেওয়া হলো না?
দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী, খাল বা রেলওয়ের জায়গা দখল—এই যে বিভিন্নমুখী দখল চলছে, এর মূল কারণ হচ্ছে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা এবং দখলকারীদের সঙ্গে ভাগবাটোয়ারার সম্পর্ক। যাদের দখল ঠেকানোর কথা, দখলকারীদের সঙ্গে যদি তাদের স্বার্থের সম্পর্ক থাকে, তবে দখল-প্রক্রিয়া ঠেকানো সত্যিই কঠিন কাজ। দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনের যাঁরা দখলকারীদের স্বার্থ রক্ষার কাজটি করেন বা যাঁদের সহায়তায় দখলকারীরা দখলের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, তা চিহ্নিত এবং তাঁদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তবে দখলের এই প্রবণতা অনেক কমে আসবে।
পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলেও যে সব সময় কাজ হয়, এমন নয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে নদী দখলের খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। তবে আমরা মনে করি, এটা তদন্ত করে দেখা উচিত, স্থানীয় প্রশাসনের কারও যোগসাজশে এই দখল-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল কি না। স্থানীয় প্রশাসনে যদি এমন কোনো দুষ্টচক্র থেকে থাকে, তবে তার দায় পুরো প্রশাসনের ওপর যাতে না পড়ে, তাই এই চক্রকে চিহ্নিত করা জরুরি।
এমবিসি নামের প্রতিষ্ঠানটি নদী দখল করে ইটভাটা তৈরির কাজ করে আসছিল ১৫ দিন ধরে। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী, বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চারপাশের নদীর অংশ বা তীর ভরাট বা দখল করে কোনো স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। জলাধার ও পরিবেশ আইন অনুযায়ীও তা করা যায় না। প্রতিষ্ঠানটি নদী দখলের কাজটি করছিল প্রকাশ্যে। এ ধরনের কাজ লুকিয়ে করা সম্ভব নয়। আমাদের প্রশ্ন, এই যে প্রকাশ্যে নদী দখলের কাজ চলছিল, তা পত্রিকায় প্রকাশের আগে কেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠেকানোর উদ্যোগ নেওয়া হলো না?
দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী, খাল বা রেলওয়ের জায়গা দখল—এই যে বিভিন্নমুখী দখল চলছে, এর মূল কারণ হচ্ছে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা এবং দখলকারীদের সঙ্গে ভাগবাটোয়ারার সম্পর্ক। যাদের দখল ঠেকানোর কথা, দখলকারীদের সঙ্গে যদি তাদের স্বার্থের সম্পর্ক থাকে, তবে দখল-প্রক্রিয়া ঠেকানো সত্যিই কঠিন কাজ। দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনের যাঁরা দখলকারীদের স্বার্থ রক্ষার কাজটি করেন বা যাঁদের সহায়তায় দখলকারীরা দখলের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, তা চিহ্নিত এবং তাঁদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তবে দখলের এই প্রবণতা অনেক কমে আসবে।
পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলেও যে সব সময় কাজ হয়, এমন নয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে নদী দখলের খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। তবে আমরা মনে করি, এটা তদন্ত করে দেখা উচিত, স্থানীয় প্রশাসনের কারও যোগসাজশে এই দখল-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল কি না। স্থানীয় প্রশাসনে যদি এমন কোনো দুষ্টচক্র থেকে থাকে, তবে তার দায় পুরো প্রশাসনের ওপর যাতে না পড়ে, তাই এই চক্রকে চিহ্নিত করা জরুরি।
No comments