পান্থপথে আগুনে পুড়ে গেছে আসবাবের বেশ কিছু দোকান
ছাই-কয়লার স্তূপ আর এদিক-সেদিক পড়ে থাকা ঢেউটিনের মাঝে কী যেন খুঁজছিলেন বৃদ্ধ হযরত আলী। স্তূপ থেকে মাঝে মাঝে ধোঁয়া উঠছিল, সঙ্গে পোড়া গন্ধ। সেদিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, ‘এইডা কপাল পোড়া ধুঁয়া, বোজলেন।’
রাজধানীর পান্থপথে গত রোববার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে হযরত আলীর
রাজধানীর পান্থপথে গত রোববার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে হযরত আলীর
আসবাবপত্রের ছোট দোকানটিও রয়েছে। ওই দোকানে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বললেন তিনি। দোকানে যেসব আসবাব ছিল তার সবই পুড়ে গেছে। ছাই-কয়লার সঙ্গে আছে চেয়ার, খাট, টেবিলের কয়েকটি লোহার কাঠামো।
ওই আগুনে পান্থপথে গড়ে ওঠা আসবাবপত্রের মার্কেটের একাংশ পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া দোকান-কারখানাগুলোর চিত্র গতকাল সোমবার ছিল একই রকম। রাস্তার পাশে বাঁশ, টিন, কাঠ দিয়ে তৈরি এসব স্থাপনায় পড়ে ছিল কেবল টিন ও লোহার উপকরণ। আসবাব পুড়ে ছাই-কয়লা হয়ে আছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ফায়ার সার্ভিসের হিসাবমতে, আগুনে ১৬টি দোকান, আসবাব তৈরির ১০টি কারখানা, একটি মোটর ওয়ার্কশপ, একটি ভবনের নিচতলার দোকান ও দ্বিতীয় তলার বসতঘর পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পান্থপথ জামে মসজিদসংলগ্ন কোনো দোকান বা কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন খুব দ্রুত আশপাশের দোকান-কারখানা-ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। যেসব দোকান-ঘর পোড়েনি, সেগুলোর মালামালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আগুনের প্রচণ্ড তাপে। আশপাশের কয়েকটি ভবনও আগুনের আঁচে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এসআর ফার্নিচার নামের দোকানের মালিক মো. ইমরান বলেন, আগুন লাগার ১০ মিনিটের মধ্যে তিনি এসে দেখেন, দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। এর মধ্যেই তিনি দোকান খুলে আধপোড়া আট-নয়টি আসবাব উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. সাইদুর রহমান বলেন, প্যারাগন, সোনালী, পলাশ ও পিংক সিটি নামে তাঁর চারটি দোকান ছিল। দোকানগুলোতে দেশে তৈরি আসবাবের পাশাপাশি আমদানি করা আসবাবও ছিল। আগুনে চারটি দোকানের সব মালামালই পুড়ে গেছে, কিছুই অবশিষ্ট নেই।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা নীলুফার ইয়াসমিন বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ফায়ার সার্ভিসের অভিযান দলের তাৎক্ষণিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। আগুনে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ওই আগুনে পান্থপথে গড়ে ওঠা আসবাবপত্রের মার্কেটের একাংশ পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া দোকান-কারখানাগুলোর চিত্র গতকাল সোমবার ছিল একই রকম। রাস্তার পাশে বাঁশ, টিন, কাঠ দিয়ে তৈরি এসব স্থাপনায় পড়ে ছিল কেবল টিন ও লোহার উপকরণ। আসবাব পুড়ে ছাই-কয়লা হয়ে আছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ফায়ার সার্ভিসের হিসাবমতে, আগুনে ১৬টি দোকান, আসবাব তৈরির ১০টি কারখানা, একটি মোটর ওয়ার্কশপ, একটি ভবনের নিচতলার দোকান ও দ্বিতীয় তলার বসতঘর পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পান্থপথ জামে মসজিদসংলগ্ন কোনো দোকান বা কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন খুব দ্রুত আশপাশের দোকান-কারখানা-ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। যেসব দোকান-ঘর পোড়েনি, সেগুলোর মালামালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আগুনের প্রচণ্ড তাপে। আশপাশের কয়েকটি ভবনও আগুনের আঁচে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এসআর ফার্নিচার নামের দোকানের মালিক মো. ইমরান বলেন, আগুন লাগার ১০ মিনিটের মধ্যে তিনি এসে দেখেন, দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। এর মধ্যেই তিনি দোকান খুলে আধপোড়া আট-নয়টি আসবাব উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. সাইদুর রহমান বলেন, প্যারাগন, সোনালী, পলাশ ও পিংক সিটি নামে তাঁর চারটি দোকান ছিল। দোকানগুলোতে দেশে তৈরি আসবাবের পাশাপাশি আমদানি করা আসবাবও ছিল। আগুনে চারটি দোকানের সব মালামালই পুড়ে গেছে, কিছুই অবশিষ্ট নেই।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা নীলুফার ইয়াসমিন বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ফায়ার সার্ভিসের অভিযান দলের তাৎক্ষণিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। আগুনে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
No comments