অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে রাজনৈতিক স্থিতি জরুরি-প্যাসকেল লামির আশাবাদ
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক প্যাসকেল লামি বাংলাদেশ সম্পর্কে যে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন, তা যেমন নতুন নয়, তেমনি নয় অবিশ্বাস্য। রোববার ঢাকায় এফবিসিসিআই আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেছেন, অনেক স্বল্পোন্নত দেশ এখন উন্নত দেশের মতো ভালো অর্থনৈতিক অবস্থায় চলে এসেছে।
ডব্লিউটিওর আওতায় বাংলাদেশের অর্থনীতি বিকাশ লাভ করছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।
প্যাসকেল লামি বাংলাদেশে এসেছিলেন মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম সমাবর্তনের বক্তা হিসেবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিনিধিকে এই সম্মান দেওয়া নিয়ে কোনো কোনো মহলের প্রশ্ন থাকলেও বাংলাদেশ সম্পর্কেও তিনি যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, তাতে অতিশয়োক্তি নেই। তিনি যথার্থই উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে প্রবাসী শ্রমিকদের আয় ও তৈরি পোশাক রপ্তানি। প্যাসকেল লামি বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়েছেন। সম্প্রতি সার্ক বাণিজ্য ফোরামের বৈঠকেও বিষয়টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। নোবেল বিজয়ী প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মানবসম্পদের উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্তর্নিহিত শক্তির কথা বলেছেন অনেক রাষ্ট্রনেতা ও অর্থনীতির পণ্ডিত।
কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের দেশটিতে এই অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। সব নাগরিকের খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মৌলিক চাহিদা পূরণ তথা জীবনমান বাড়াতে আমাদের অর্থনৈতিক সামর্থ্য বাড়ানোর বিকল্প নেই। দেশের এই যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, তা ধরে রাখতে কিংবা আরও গতিশীল করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন ও টেকসই গণতন্ত্র। কয়েক দিন আগে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাও বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগে উৎসাহ দেখায় না। তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। গত দুই দশক প্রায় নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বলতে যা বোঝায়, তার ঘাটতি রয়েছে। ক্রমাগত অনুশীলন ও পরিচর্যার মাধ্যমেই গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হয়। জাতীয় স্বার্থে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ন্যূনতম সমঝোতা থাকতে হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সেই রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা গড়ে তুলতে পারিনি।
আমরা মনে করি, ক্ষমতাসীন কিংবা ক্ষমতাবহির্ভূত রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সংকীর্ণ ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সমীচীন হবে না। তাদের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে বর্তমান রাজনৈতিক বিরোধ সংঘাতে রূপ নেয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাসহ সব রাজনৈতিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। কেবল একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে।
প্যাসকেল লামি বাংলাদেশে এসেছিলেন মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম সমাবর্তনের বক্তা হিসেবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিনিধিকে এই সম্মান দেওয়া নিয়ে কোনো কোনো মহলের প্রশ্ন থাকলেও বাংলাদেশ সম্পর্কেও তিনি যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, তাতে অতিশয়োক্তি নেই। তিনি যথার্থই উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে প্রবাসী শ্রমিকদের আয় ও তৈরি পোশাক রপ্তানি। প্যাসকেল লামি বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়েছেন। সম্প্রতি সার্ক বাণিজ্য ফোরামের বৈঠকেও বিষয়টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। নোবেল বিজয়ী প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মানবসম্পদের উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্তর্নিহিত শক্তির কথা বলেছেন অনেক রাষ্ট্রনেতা ও অর্থনীতির পণ্ডিত।
কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের দেশটিতে এই অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। সব নাগরিকের খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মৌলিক চাহিদা পূরণ তথা জীবনমান বাড়াতে আমাদের অর্থনৈতিক সামর্থ্য বাড়ানোর বিকল্প নেই। দেশের এই যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, তা ধরে রাখতে কিংবা আরও গতিশীল করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন ও টেকসই গণতন্ত্র। কয়েক দিন আগে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাও বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগে উৎসাহ দেখায় না। তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। গত দুই দশক প্রায় নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বলতে যা বোঝায়, তার ঘাটতি রয়েছে। ক্রমাগত অনুশীলন ও পরিচর্যার মাধ্যমেই গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হয়। জাতীয় স্বার্থে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ন্যূনতম সমঝোতা থাকতে হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সেই রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা গড়ে তুলতে পারিনি।
আমরা মনে করি, ক্ষমতাসীন কিংবা ক্ষমতাবহির্ভূত রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সংকীর্ণ ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সমীচীন হবে না। তাদের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে বর্তমান রাজনৈতিক বিরোধ সংঘাতে রূপ নেয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাসহ সব রাজনৈতিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। কেবল একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে।
No comments