মুজাহিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু-আবুল কালামকে গ্রেপ্তারের আবেদন বিষয়ে আদেশ আজ
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সদস্য (রোকন) আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে মানবতা-বিরোধী অপরাধের অভিযোগ ‘সুষ্ঠু ও কার্যকর’ তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে কি না, সে বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশ দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
এদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছে আসামিপক্ষ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১১ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২-এ রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল সোমবার নির্ধারিত দিনে আবুল কালামের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী ট্রাইব্যুনালকে বলেন, আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুরে তাঁর অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর অপরাধের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী রঞ্জিত দেবনাথ তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দেওয়ার পর আবুল কালামের লোকজন তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। রঞ্জিত এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছেন। এ ছাড়া আবুল কালামের লোকজন এলাকার মানুষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করায় তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য সংগ্রহে অসুবিধা হচ্ছে। তিনি পাঁচটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মালিক, এলাকায় তাঁর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তদন্ত সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে শেষ করতে হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা দরকার।
এরপর ট্রাইব্যুনাল আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ গত ২৫ মার্চ আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে ‘সুষ্ঠু ও কার্যকর’ তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে। ট্রাইব্যুনাল-২ ওই দিন আবুল কালামের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ২ এপ্রিলের মধ্যে দাখিল করার আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সহিদুর রহমান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, একাত্তরে ফরিদপুরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী মলয় চেয়ারম্যান সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে আবুল কালামের সহযোগীরা তাঁকে হত্যা করে। এর পর থেকে এলাকায় সাক্ষীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। একাত্তরে আবুল কালাম ফরিদপুরের বোয়ালমারী, কামারখালী, নগরকান্দা প্রভৃতি এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অভিযোগ থেকে মুজাহিদকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষ গতকাল অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছে।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল কাঠগড়ায় মুজাহিদের উপস্থিতিতে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁর আইনজীবী মুন্সী আহসান কবীর। এ সময় তিনি বলেন, একাত্তরে মুজাহিদের বাবা মাওলানা আলী আহমেদ জামায়াতের ফরিদপুর জেলা শাখার আমির ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষে তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালের দালাল অধ্যাদেশের অধীনে মামলা হয়েছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আলী আহমেদের বিভিন্ন ‘ভালো কাজ’-এর স্বীকৃতি হিসেবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কোনো দিন এমন একজন ব্যক্তিকে ক্ষমা করতেন না, যদি তাঁর ছেলে প্রকৃতপক্ষে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতেন। এ ছাড়া বাবা আমির থাকা অবস্থায় ছেলের পক্ষে ফরিদপুরের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা সম্ভব ছিল না।
মুন্সী আহসান কবীর বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ অনুসারে, মুক্তিযুদ্ধকালে মুজাহিদ ফরিদপুরে ও ঢাকায় একটি জিপে ছয়জন রাজাকারকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতেন। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। অভিযোগের কোথাও ওই ছয় রাজাকারের নাম-পরিচয় নেই। ওই জিপের নম্বরও রাষ্ট্রপক্ষ উল্লেখ করেনি। তিনি বলেন, একমাত্র গণতদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন ছাড়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কোনো বই যেমন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বা এম আর আখতার মুকুলের লেখা বইয়ের কোথাও মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ নেই। ফরিদপুরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবিষয়ক পাঁচটি বইয়ের ওপর রাষ্ট্রপক্ষ নির্ভর করছে, কিন্তু এর একটিতেও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে মুজাহিদের নাম নেই। আলবদর বাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
যুক্তি উপস্থাপনের শেষ পর্যায়ে এই আইনজীবী বলেন, মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল না হলে এই মামলা করা হতো না। এরপর আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য সময়ের আরজি জানিয়ে মুন্সী আহসান বলেন, আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ১১ এপ্রিল যুক্তি উপস্থাপনের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২-এ রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল সোমবার নির্ধারিত দিনে আবুল কালামের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী ট্রাইব্যুনালকে বলেন, আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুরে তাঁর অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর অপরাধের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী রঞ্জিত দেবনাথ তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দেওয়ার পর আবুল কালামের লোকজন তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। রঞ্জিত এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছেন। এ ছাড়া আবুল কালামের লোকজন এলাকার মানুষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করায় তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য সংগ্রহে অসুবিধা হচ্ছে। তিনি পাঁচটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মালিক, এলাকায় তাঁর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তদন্ত সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে শেষ করতে হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা দরকার।
এরপর ট্রাইব্যুনাল আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ গত ২৫ মার্চ আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে ‘সুষ্ঠু ও কার্যকর’ তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে। ট্রাইব্যুনাল-২ ওই দিন আবুল কালামের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ২ এপ্রিলের মধ্যে দাখিল করার আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সহিদুর রহমান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, একাত্তরে ফরিদপুরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী মলয় চেয়ারম্যান সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে আবুল কালামের সহযোগীরা তাঁকে হত্যা করে। এর পর থেকে এলাকায় সাক্ষীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। একাত্তরে আবুল কালাম ফরিদপুরের বোয়ালমারী, কামারখালী, নগরকান্দা প্রভৃতি এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অভিযোগ থেকে মুজাহিদকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষ গতকাল অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছে।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল কাঠগড়ায় মুজাহিদের উপস্থিতিতে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁর আইনজীবী মুন্সী আহসান কবীর। এ সময় তিনি বলেন, একাত্তরে মুজাহিদের বাবা মাওলানা আলী আহমেদ জামায়াতের ফরিদপুর জেলা শাখার আমির ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষে তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালের দালাল অধ্যাদেশের অধীনে মামলা হয়েছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আলী আহমেদের বিভিন্ন ‘ভালো কাজ’-এর স্বীকৃতি হিসেবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কোনো দিন এমন একজন ব্যক্তিকে ক্ষমা করতেন না, যদি তাঁর ছেলে প্রকৃতপক্ষে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতেন। এ ছাড়া বাবা আমির থাকা অবস্থায় ছেলের পক্ষে ফরিদপুরের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা সম্ভব ছিল না।
মুন্সী আহসান কবীর বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ অনুসারে, মুক্তিযুদ্ধকালে মুজাহিদ ফরিদপুরে ও ঢাকায় একটি জিপে ছয়জন রাজাকারকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতেন। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। অভিযোগের কোথাও ওই ছয় রাজাকারের নাম-পরিচয় নেই। ওই জিপের নম্বরও রাষ্ট্রপক্ষ উল্লেখ করেনি। তিনি বলেন, একমাত্র গণতদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন ছাড়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কোনো বই যেমন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বা এম আর আখতার মুকুলের লেখা বইয়ের কোথাও মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ নেই। ফরিদপুরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবিষয়ক পাঁচটি বইয়ের ওপর রাষ্ট্রপক্ষ নির্ভর করছে, কিন্তু এর একটিতেও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে মুজাহিদের নাম নেই। আলবদর বাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
যুক্তি উপস্থাপনের শেষ পর্যায়ে এই আইনজীবী বলেন, মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল না হলে এই মামলা করা হতো না। এরপর আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য সময়ের আরজি জানিয়ে মুন্সী আহসান বলেন, আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ১১ এপ্রিল যুক্তি উপস্থাপনের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
No comments