ধর্ম-ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান নেই by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
ইসলাম সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি, আত্মঘাতী হামলা, হত্যাকাণ্ড, মারামারি, হানাহানি পছন্দ করে না। ইসলামী জীবনবিধানে এসব বিশৃঙ্খলার কোনো স্থান নেই। ইসলামের অনুশাসন হলো, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। অথচ বিশ্বমানবতা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের তাণ্ডবলীলায় ভীতসন্ত্রস্ত ও হতাশাগ্রস্ত।
ফারসি ‘জঙ্গ’ শব্দের অর্থ যুদ্ধবিগ্রহ, তুমুল কলহ আর জঙ্গি অর্থ যোদ্ধা বা কুস্তিগীর। তাই ‘জঙ্গ’ বা জঙ্গিদের তৎপরতাকে বলা হয় জঙ্গিবাদ। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো গোত্রীয়, জাতীয় ও ধর্মীয় পরিচয় নেই। প্রত্যেক ধর্মানুরাগী মানুষের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করাই ইসলামের মূল শিক্ষা। হাদিস শরিফে উল্লেখ আছে, ‘দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।’ (তিরমিজি)
চরম পন্থা, ফেতনা-ফ্যাসাদ, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা শরিয়ত-গর্হিত কাজ—এগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। চরম পন্থা হলো দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি করা, কঠোরতা অবলম্বন করা, সীমা অতিক্রম করা, নিজ মত বা দলকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য গোঁড়া বা কঠোর মনোভাব পোষণ করা। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড ইসলাম কোনোভাবে সমর্থন করে না। ইসলামের পথিক হবে শান্তিকামী, সুস্থ-সুন্দর ও সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। মানুষের প্রতি দয়া-মায়া-মমতা ও শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার সুমহান শিক্ষা তো ইসলামেরই। পবিত্র কোরআনে ঘোষিত হয়েছে, ‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল।’ (সূরা: আল-মায়িদা, আয়াত-৩২)
প্রকৃতপক্ষে ইসলাম হলো সহজ-সরল ও মধ্যম পন্থার ধর্ম। চরমপন্থী, বাড়াবাড়ি, জোর-জবরদস্তি ও বলপ্রয়োগ ইসলাম কখনো অনুমোদন করে না। নিরপরাধ মানুষকে খুন করে, পৃথিবীতে বোমা আতঙ্ক সৃষ্টি করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কল্পিত ও মনগড়া ব্যাখ্যার সঙ্গে ইসলামের দূরতম সম্পর্ক নেই। ইসলামের উত্তম আদর্শিক মহানুভবতা, প্রীতিপূর্ণ ব্যবহার, ক্ষমা, উদারতা ও নৈতিক শক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইসলাম ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। বর্তমানে ইসলামের বিকৃত অপব্যাখ্যা থেকে মুসলমানদের সজাগ ও সচেতন থাকা দরকার। মন্দ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তাদের হূদয় ভালোবাসাহীন। এরা মানবতাবর্জিত, মায়া-মমতাহীন, দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য, সভ্য মানবসমাজের শত্রু। তাদের কোনো ধর্ম নেই। মানুষ হত্যা যে কত বড় মহা পাপ, তা তারা জানে না। নিরপরাধ মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজ করতে এরা দ্বিধা বোধ করে না।
ইসলাম মানেই শান্তি। ইসলামের মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। সন্ত্রাস, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সংঘাতমুক্ত পৃথিবীর প্রয়োজনে ইসলামের শান্তিপ্রিয় ও কল্যাণধর্মী আদর্শ এখন সময়ের দাবি। মানুষের সামগ্রিক জীবনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও পূর্ণ নিরাপত্তা বিধানে ইসলাম এক অনন্য কালজয়ী আদর্শ। ইসলামে চরম পন্থা এবং জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নানা অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেও কখনো বাড়াবাড়ি, কঠোরতা বা গোঁড়ামির পরিচয় দেননি; বরং দীন প্রচারের ক্ষেত্রে চরম পন্থা অবলম্বন করার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইসলামের সুমহান আদর্শ সমরনীতি ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা কখনো আগে অস্ত্র উত্তোলন করো না বা অস্ত্রের ভয়ভীতিও প্রদর্শন করো না।’
ইসলামের যুদ্ধনীতি প্রতিরক্ষামূলক, আক্রমণাত্মক নয়—এমনকি প্রতিশোধমূলকও নয়। কারও ঘরে বহিঃশত্রু কেউ আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার বিধান ইসলামে স্বীকৃত, যা আজও বিশ্বের সর্বত্র প্রচলিত। ইসলামে জিহাদের অর্থে কাউকে নির্মূল করাকে বোঝায় না। জিহাদ মানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, যেন সব ব্যক্তিই নিজ নিজ কুপ্রবৃত্তি দমনের ক্ষেত্রে আজীবন সংগ্রাম করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে জিহাদ বলতে কোনো দেশে বা জাতির কাছে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণার প্রকাশ এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কাজকে বোঝানো হয়ে থাকে। ইসলাম মানুষকে ভালোবাসতে বলে, হত্যা করতে নয়। সত্য-সুন্দর, প্রগতিশীল, বিজ্ঞানসম্মত ও শান্তির ধর্ম ইসলাম মানবজাতিকে বিভক্ত করতে আসেনি, ঐক্যবদ্ধ করতে এসেছে। কারও অধিকার হরণ করতে আসেনি, সর্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। সুতরাং বোমাবাজি করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখানো অনুচিত। বিদায় হজের ভাষণে নবী করিম (সা.) বিনা অপরাধে একজন নিরীহ মানুষকেও হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।
বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন পর্যায়ে সভ্য সমাজে যেভাবে ফেতনা-ফ্যাসাদ ও সন্ত্রাসবাদ চলছে, সর্বস্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, এতে যেমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম ব্যাঘাত হয়, তেমনি ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে দারুণভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। ধর্মের নামে যেসব উগ্রবাদী দেশ নানা পর্যায়ে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, আত্মঘাতী হামলাসহ ইসলামবিরোধী মানবতাবিবর্জিত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, বাস্তবিকই তারা ইসলামের মর্মবাণীর সঙ্গে সম্পর্কহীনই বটে। এসব ফেতনা প্রতিরোধে কথা ও কলমের জিহাদ অব্যাহত রাখতে হবে।
ইসলামে চরম পন্থা অবলম্বনকে নিষিদ্ধ করে এর থেকে বিরত থাকার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে। অথচ বর্তমানেও কিছু চরমপন্থী ভূপৃষ্ঠে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তারা যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করছে। দেশের আলেমসমাজ, ধর্মীয় নেতা, মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও খতিবদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ ও বলিষ্ঠ অবস্থান রেখে জনগণকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সমাধানের একটি সহজ পথ। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যম ধর্মপ্রাণ মানুষকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সচেতন ও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রচারণামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
চরম পন্থা, ফেতনা-ফ্যাসাদ, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা শরিয়ত-গর্হিত কাজ—এগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। চরম পন্থা হলো দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি করা, কঠোরতা অবলম্বন করা, সীমা অতিক্রম করা, নিজ মত বা দলকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য গোঁড়া বা কঠোর মনোভাব পোষণ করা। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড ইসলাম কোনোভাবে সমর্থন করে না। ইসলামের পথিক হবে শান্তিকামী, সুস্থ-সুন্দর ও সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। মানুষের প্রতি দয়া-মায়া-মমতা ও শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার সুমহান শিক্ষা তো ইসলামেরই। পবিত্র কোরআনে ঘোষিত হয়েছে, ‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল।’ (সূরা: আল-মায়িদা, আয়াত-৩২)
প্রকৃতপক্ষে ইসলাম হলো সহজ-সরল ও মধ্যম পন্থার ধর্ম। চরমপন্থী, বাড়াবাড়ি, জোর-জবরদস্তি ও বলপ্রয়োগ ইসলাম কখনো অনুমোদন করে না। নিরপরাধ মানুষকে খুন করে, পৃথিবীতে বোমা আতঙ্ক সৃষ্টি করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কল্পিত ও মনগড়া ব্যাখ্যার সঙ্গে ইসলামের দূরতম সম্পর্ক নেই। ইসলামের উত্তম আদর্শিক মহানুভবতা, প্রীতিপূর্ণ ব্যবহার, ক্ষমা, উদারতা ও নৈতিক শক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইসলাম ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। বর্তমানে ইসলামের বিকৃত অপব্যাখ্যা থেকে মুসলমানদের সজাগ ও সচেতন থাকা দরকার। মন্দ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তাদের হূদয় ভালোবাসাহীন। এরা মানবতাবর্জিত, মায়া-মমতাহীন, দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য, সভ্য মানবসমাজের শত্রু। তাদের কোনো ধর্ম নেই। মানুষ হত্যা যে কত বড় মহা পাপ, তা তারা জানে না। নিরপরাধ মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজ করতে এরা দ্বিধা বোধ করে না।
ইসলাম মানেই শান্তি। ইসলামের মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। সন্ত্রাস, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সংঘাতমুক্ত পৃথিবীর প্রয়োজনে ইসলামের শান্তিপ্রিয় ও কল্যাণধর্মী আদর্শ এখন সময়ের দাবি। মানুষের সামগ্রিক জীবনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও পূর্ণ নিরাপত্তা বিধানে ইসলাম এক অনন্য কালজয়ী আদর্শ। ইসলামে চরম পন্থা এবং জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নানা অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেও কখনো বাড়াবাড়ি, কঠোরতা বা গোঁড়ামির পরিচয় দেননি; বরং দীন প্রচারের ক্ষেত্রে চরম পন্থা অবলম্বন করার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইসলামের সুমহান আদর্শ সমরনীতি ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা কখনো আগে অস্ত্র উত্তোলন করো না বা অস্ত্রের ভয়ভীতিও প্রদর্শন করো না।’
ইসলামের যুদ্ধনীতি প্রতিরক্ষামূলক, আক্রমণাত্মক নয়—এমনকি প্রতিশোধমূলকও নয়। কারও ঘরে বহিঃশত্রু কেউ আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার বিধান ইসলামে স্বীকৃত, যা আজও বিশ্বের সর্বত্র প্রচলিত। ইসলামে জিহাদের অর্থে কাউকে নির্মূল করাকে বোঝায় না। জিহাদ মানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, যেন সব ব্যক্তিই নিজ নিজ কুপ্রবৃত্তি দমনের ক্ষেত্রে আজীবন সংগ্রাম করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে জিহাদ বলতে কোনো দেশে বা জাতির কাছে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণার প্রকাশ এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কাজকে বোঝানো হয়ে থাকে। ইসলাম মানুষকে ভালোবাসতে বলে, হত্যা করতে নয়। সত্য-সুন্দর, প্রগতিশীল, বিজ্ঞানসম্মত ও শান্তির ধর্ম ইসলাম মানবজাতিকে বিভক্ত করতে আসেনি, ঐক্যবদ্ধ করতে এসেছে। কারও অধিকার হরণ করতে আসেনি, সর্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। সুতরাং বোমাবাজি করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখানো অনুচিত। বিদায় হজের ভাষণে নবী করিম (সা.) বিনা অপরাধে একজন নিরীহ মানুষকেও হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।
বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন পর্যায়ে সভ্য সমাজে যেভাবে ফেতনা-ফ্যাসাদ ও সন্ত্রাসবাদ চলছে, সর্বস্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, এতে যেমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম ব্যাঘাত হয়, তেমনি ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে দারুণভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। ধর্মের নামে যেসব উগ্রবাদী দেশ নানা পর্যায়ে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, আত্মঘাতী হামলাসহ ইসলামবিরোধী মানবতাবিবর্জিত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, বাস্তবিকই তারা ইসলামের মর্মবাণীর সঙ্গে সম্পর্কহীনই বটে। এসব ফেতনা প্রতিরোধে কথা ও কলমের জিহাদ অব্যাহত রাখতে হবে।
ইসলামে চরম পন্থা অবলম্বনকে নিষিদ্ধ করে এর থেকে বিরত থাকার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে। অথচ বর্তমানেও কিছু চরমপন্থী ভূপৃষ্ঠে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তারা যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করছে। দেশের আলেমসমাজ, ধর্মীয় নেতা, মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও খতিবদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ ও বলিষ্ঠ অবস্থান রেখে জনগণকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সমাধানের একটি সহজ পথ। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যম ধর্মপ্রাণ মানুষকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সচেতন ও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রচারণামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments