মিরসরাইয়ে হচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল by শারফুদ্দীন কাশ্মীর
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সমুদ্র উপকূলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (জোন) গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি এই শিল্প এলাকার সম্ভাব্য স্থানও দেখে গেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। উপজেলার ইছাখালীর চরে ৪৯ হাজার ২০০ একর জমিতে এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।
জানা গেছে, মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলবিষয়ক কমিটির বৈঠকে মিরসরাইয়ে এই শিল্পাঞ্চলের স্থান নির্ধারণের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন গত রোববার প্রথম আলোকে জানান, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে প্রধানমন্ত্রী মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। দেশে আরও তিন-চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে মিরসরাইকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘এই শিল্পাঞ্চলে তৈরিপোশাক, জুতা, বিদুৎকেন্দ্রসহ নানা ধরনের শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে। তবে কী ধরনের স্থাপনা হবে তা নির্ভর করবে বিনিয়োগকারীদের ওপর।’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ড. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল মিরসরাই সফর করে। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, সাংসদ মোশাররফ হোসেন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাঈদ কুতুব, ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন ও রেহানা আক্তার।
স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মশিউর রহমান জানান, এই এলাকায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের পরিকল্পনাও আছে সরকারের। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ দিয়ে চট্টগ্রামের সাগরিকা হয়ে ফেনীর লালপুল পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। এর ফলে উন্নতি ঘটবে যোগাযোগব্যবস্থায়। এখানে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও সোনাগাজীর উপকূলীয় অঞ্চলের চেহারা বদলে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন কেবল অনুমোদনের অপেক্ষা। এরপর বিভিন্ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হবে। মার্চে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং স্থান হিসেবে ইছাখালীর চরকেই নির্ধারণ করা হবে।’
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে সরকার। ইতিমধ্যে কয়েক দফায় চীন, মালয়েশিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে প্রতিনিধিদল ইছাখালীর চর সফর করেছেন। পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এ ব্যাপারে জরিপ করে সিন্ধান্ত নেবে।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে মিরসরাইকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো এই এলাকা থেকে রেলপথ, সড়কপথ, বন্দর ও বিমান বন্দর সবই কাছে।’
মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মিরসরাই অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ এখনো বেকারত্ব থেকে মুক্তি পায়নি। এখানে কোনো কল-কারখানা না থাকায় যুবকেরা বেকার জীবন কাটাচ্ছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে তাদের দীর্ঘদিনের বেকারত্ব ঘুচবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে মিরসরাই বড় ভূমিকা রাখবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ কুতুব বলেন, ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে একটি বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হবে। চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রকল্প পর্যন্ত এই সড়কের দূরত্ব হবে ৭৭ কিলোমিটার। এই সড়ক নির্মিত হলে বর্তমান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর চাপ কিছুটা কমবে।’
উল্লেখ্য, জতীয় সংসদে ২০১০ সালের আগষ্ট মাসে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিল পাশ হওয়ার পর মিরসরাইয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের ঘোষণা এল। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মিরসরাইয়ের মহামায়া প্রকল্প উদ্বোধন করতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরসরাইয়ের ইছাখালীর চরে শিল্পপার্ক গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর বেশ দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ।
মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘এই শিল্পাঞ্চলে তৈরিপোশাক, জুতা, বিদুৎকেন্দ্রসহ নানা ধরনের শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে। তবে কী ধরনের স্থাপনা হবে তা নির্ভর করবে বিনিয়োগকারীদের ওপর।’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ড. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল মিরসরাই সফর করে। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, সাংসদ মোশাররফ হোসেন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাঈদ কুতুব, ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন ও রেহানা আক্তার।
স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মশিউর রহমান জানান, এই এলাকায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের পরিকল্পনাও আছে সরকারের। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ দিয়ে চট্টগ্রামের সাগরিকা হয়ে ফেনীর লালপুল পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। এর ফলে উন্নতি ঘটবে যোগাযোগব্যবস্থায়। এখানে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও সোনাগাজীর উপকূলীয় অঞ্চলের চেহারা বদলে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন কেবল অনুমোদনের অপেক্ষা। এরপর বিভিন্ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হবে। মার্চে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং স্থান হিসেবে ইছাখালীর চরকেই নির্ধারণ করা হবে।’
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে সরকার। ইতিমধ্যে কয়েক দফায় চীন, মালয়েশিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে প্রতিনিধিদল ইছাখালীর চর সফর করেছেন। পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এ ব্যাপারে জরিপ করে সিন্ধান্ত নেবে।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে মিরসরাইকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো এই এলাকা থেকে রেলপথ, সড়কপথ, বন্দর ও বিমান বন্দর সবই কাছে।’
মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মিরসরাই অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ এখনো বেকারত্ব থেকে মুক্তি পায়নি। এখানে কোনো কল-কারখানা না থাকায় যুবকেরা বেকার জীবন কাটাচ্ছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে তাদের দীর্ঘদিনের বেকারত্ব ঘুচবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে মিরসরাই বড় ভূমিকা রাখবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ কুতুব বলেন, ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে একটি বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হবে। চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রকল্প পর্যন্ত এই সড়কের দূরত্ব হবে ৭৭ কিলোমিটার। এই সড়ক নির্মিত হলে বর্তমান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর চাপ কিছুটা কমবে।’
উল্লেখ্য, জতীয় সংসদে ২০১০ সালের আগষ্ট মাসে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিল পাশ হওয়ার পর মিরসরাইয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের ঘোষণা এল। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মিরসরাইয়ের মহামায়া প্রকল্প উদ্বোধন করতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরসরাইয়ের ইছাখালীর চরে শিল্পপার্ক গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর বেশ দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ।
No comments