মুক্তি মিলছে না জলাবদ্ধতা থেকে! by হামিদ উল্লাহ
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে দুই মাস ধরে অভ্যন্তরীণ খাল খননের কাজ করেছে সিটি করপোরেশন। এ কাজে অন্তত পাঁচটি খননযন্ত্র লাগানো হয়েছে। মাটি বহন করছে ২০টি ট্রাক। এরপরও বর্ষা মৌসুমে নগর জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
শহরের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য খাল খননের পাশাপাশি পুরোনো কিছু খাল প্রশস্ত করা ও নতুন খাল খনন করা প্রয়োজন। এ ছাড়া সমুদ্রের জোয়ার আসে এমন বড় দুটি খালে স্লুইসগেটও স্থাপন করা জরুরি বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে ভূমি অধিগ্রহণ ও টাকার অভাবে এই কাজ বর্ষার আগে শুরু করা সম্ভব হবে না বলে তাঁরা জানিয়েছেন। সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে খাল নালা থেকে মাটি ও আবর্জনা অপসারণের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে সিটি করপোরেশন প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইডেনে তৈরি দুটি ভলবো কোম্পানির খননযন্ত্র আমদানি করেছে। এ ছাড়া শনিবার পরিবেশ অধিদপ্তর আরও দুটি বড় খননযন্ত্র দিয়েছে সিটি করপোরেশনকে।
চট্টগ্রামের মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই জলাবদ্ধতা পুরোপুরি দূর করতে। এ জন্য এ বছর আগেভাগেই খাল খননের কাজ শুরু করেছি। খনন যন্ত্রের মাধ্যমে মাটি খনন করা এবং নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে তা অপসারণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের জনবলের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ৫০০ লোক নিয়োগ করা হয়েছে। বহদ্দারহাট ও জিইসি মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে তলদেশে থাকা নালাগুলোও পরিষ্কার করা হচ্ছে। যেসব সেতু নিচু ছিল সেগুলো তিন ফুট উঁচু করা হচ্ছে যাতে পানি দ্রুত নেমে যেতে পারে। এ ছাড়া আমরা বহদ্দারহাট থেকে বলিরহাট হয়ে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত একটি নতুন খাল খননের প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। এতে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে আগামী অর্থবছরেই এ খাল খননকাজ শুরু হবে। এতে ২৯৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে।’
জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা কিছু বিষয় চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ চকবাজার ও কাতালগঞ্জ এলাকায় জলাবদ্ধতার জন্য অপ্রশস্ত খালকেই দায়ী করা হয়েছে। নগরের বাগ মনিরাম থেকে চকবাজারের দিকে আসা হিজড়া খালের গড় প্রশস্ততা ২৫ ফুট। কিন্তু কাতালগঞ্জ ও চকবাজারে গিয়ে সেটি নয় ফুটে নেমে এসেছে। এসব এলাকায় খালের গভীরতাও কম। ফলে ওপর থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসারণ না হওয়ায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) মহাপরিকল্পনায় এ খালের প্রশস্ততা ধরা হয়েছে ২৫ ফুট।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, চকবাজার এলাকায় জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে হিজড়া খালকে ২৫ ফুট প্রশস্ত করতে হবে। প্রয়োজনে জায়গা অধিগ্রহণ করেও তা সম্পন্ন করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর শুষ্ক মৌসুমে ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন খাল থেকে ৪০ হাজার টন মাটি অপসারণ করেছি। এ মাটি দিয়ে চর চাক্তাই উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট করা হয়েছে। কিছু মাটি নোমান কলেজের মাঠে ফেলা হয়েছে। এভাবে একদিকে খাল খনন অন্যদিকে নিচু এলাকা ভরাটের কাজ করছি আমরা।’
এদিকে সিটি করপোরেশনের একাধিক প্রকৌশলী জানান, বর্ষাকালে একই সঙ্গে বৃষ্টি এবং জোয়ার হলে নগরে জলাবদ্ধতা তীব্র আকার ধারণ করে। একদিকে জোয়ারের পানি নিচু এলাকায় প্রবেশ করে। অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে এ পানির উচ্চতা আরও বেড়ে যায়। এ কারণে নগরের প্রধান দুটি খাল চাক্তাই ও মহেশখালে স্লুইসগেট স্থাপন না করলে জলাবদ্ধতা দূর হবে না। কিন্তু এই দুই বড় খালে এখনো স্লুইস গেট স্থাপনের কাজ এগোয়নি বলে তাঁরা জানান।
জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে সিটি করপোরেশন প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইডেনে তৈরি দুটি ভলবো কোম্পানির খননযন্ত্র আমদানি করেছে। এ ছাড়া শনিবার পরিবেশ অধিদপ্তর আরও দুটি বড় খননযন্ত্র দিয়েছে সিটি করপোরেশনকে।
চট্টগ্রামের মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই জলাবদ্ধতা পুরোপুরি দূর করতে। এ জন্য এ বছর আগেভাগেই খাল খননের কাজ শুরু করেছি। খনন যন্ত্রের মাধ্যমে মাটি খনন করা এবং নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে তা অপসারণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের জনবলের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ৫০০ লোক নিয়োগ করা হয়েছে। বহদ্দারহাট ও জিইসি মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে তলদেশে থাকা নালাগুলোও পরিষ্কার করা হচ্ছে। যেসব সেতু নিচু ছিল সেগুলো তিন ফুট উঁচু করা হচ্ছে যাতে পানি দ্রুত নেমে যেতে পারে। এ ছাড়া আমরা বহদ্দারহাট থেকে বলিরহাট হয়ে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত একটি নতুন খাল খননের প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। এতে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে আগামী অর্থবছরেই এ খাল খননকাজ শুরু হবে। এতে ২৯৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে।’
জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা কিছু বিষয় চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ চকবাজার ও কাতালগঞ্জ এলাকায় জলাবদ্ধতার জন্য অপ্রশস্ত খালকেই দায়ী করা হয়েছে। নগরের বাগ মনিরাম থেকে চকবাজারের দিকে আসা হিজড়া খালের গড় প্রশস্ততা ২৫ ফুট। কিন্তু কাতালগঞ্জ ও চকবাজারে গিয়ে সেটি নয় ফুটে নেমে এসেছে। এসব এলাকায় খালের গভীরতাও কম। ফলে ওপর থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসারণ না হওয়ায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) মহাপরিকল্পনায় এ খালের প্রশস্ততা ধরা হয়েছে ২৫ ফুট।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, চকবাজার এলাকায় জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে হিজড়া খালকে ২৫ ফুট প্রশস্ত করতে হবে। প্রয়োজনে জায়গা অধিগ্রহণ করেও তা সম্পন্ন করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর শুষ্ক মৌসুমে ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন খাল থেকে ৪০ হাজার টন মাটি অপসারণ করেছি। এ মাটি দিয়ে চর চাক্তাই উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট করা হয়েছে। কিছু মাটি নোমান কলেজের মাঠে ফেলা হয়েছে। এভাবে একদিকে খাল খনন অন্যদিকে নিচু এলাকা ভরাটের কাজ করছি আমরা।’
এদিকে সিটি করপোরেশনের একাধিক প্রকৌশলী জানান, বর্ষাকালে একই সঙ্গে বৃষ্টি এবং জোয়ার হলে নগরে জলাবদ্ধতা তীব্র আকার ধারণ করে। একদিকে জোয়ারের পানি নিচু এলাকায় প্রবেশ করে। অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে এ পানির উচ্চতা আরও বেড়ে যায়। এ কারণে নগরের প্রধান দুটি খাল চাক্তাই ও মহেশখালে স্লুইসগেট স্থাপন না করলে জলাবদ্ধতা দূর হবে না। কিন্তু এই দুই বড় খালে এখনো স্লুইস গেট স্থাপনের কাজ এগোয়নি বলে তাঁরা জানান।
No comments