প্রযুক্তি দুনিয়ার সেরা ৫ নারী by হাবিবুর রহমান তারেক
প্রযুক্তি দুনিয়ায় সফলতার দৌড়ে পিছিয়ে নেই নারীরা। পুরুষের পাশিপাশি অবদান রাখছেন তারাও। মেধা ও দক্ষতার গুণে লুফে নিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদটি। বিশ্বের এমনসব সেরা ও ক্ষমতাবান নারীর মধ্যে সেরা ১০০ জনের তালিকা করেছে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’।
এ তালিকায় স্থান পাওয়া নারীদের মধ্যে আছেন প্রযুক্তিতে অবদান রাখা নারীরাও। এমন পাঁচ নারীকে নিয়ে লিখেছেন হাবিবুর রহমান তারেক।
সুসান ওজসিস্কি, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিজ্ঞাপন, গুগল
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজান ওজসিস্কি ফোর্বসের তালিকায় আছেন ১৬ নম্বরে। গুগল ডুডলসের মতো অনেক জনপ্রিয় ও চমকপ্রদ ফিচার সুজানের মাথা থেকেই এসেছে। তার নের্তৃত্বেই গুগলের দুই জনপ্রিয় সেবা ‘অ্যাডসেন্স’ ও ‘অ্যাডওয়ার্ড’ পরিচালিত হয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রকল্পে গুগলকে বড় অংকের লাভের মুখ দেখান। ৪৩ বছর বয়স্ক সুজানের জন্ম যুক্তরাজ্যের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের পলো অ্যালটোতে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
আরসুলা বার্নস, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেরক্স
নারীদের মধ্যে ২৭ নম্বরে আছেন জেরক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরজুলা বার্নস। কালার প্রিন্টার ও কপিয়ার তৈরির প্রতিষ্ঠান জেরক্সে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন ২০০৯ সাল থেকে। তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বড় আইটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বের ভার নিয়ে সফল হন। যন্ত্রপ্রকৌশল শাখায় কাজের মধ্য দিয়ে বার্নস জেরক্সে যোগ দেন ১৯৮০ সালে। তার নিষ্ঠা ও যোগ্যতার কারণে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পান তিনি। এর আগে, জেরক্সের নির্বাহী সহকারী হিসেবে কয়েক বছর কাজ করেন তিনি। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান এক্সপ্রেস কর্পোরেশন, বোস্টন সায়েন্টিফিক কর্পোরেশনসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ক্যারল বার্টজ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইয়াহু কর্পোরেশন
বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় আছেন জনপ্রিয় সাইট ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যারল বার্টজ। তার অবস্থান ৩৭। ইয়াহুর দুর্দিনে তিনিই হাল ধরেন, দক্ষতার সাথে জনপ্রিয় করে তোলেন ইয়াহুকে। যুক্তরাষ্ট্রের উইলকিনসন ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানেস্নাতক ডিগ্রিধারী ক্যারল ১৯৭৬ থ্রিএমে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাজীবন শুরু করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে বদলি আবেদনের জের ধরে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি অটোডেস্ক, ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশন, সান মাইক্রোসিস্টেমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অনেক বছর। সবশেষে যোগ দেন ইয়াহুতে। তার সিদ্ধান্তেই ইয়াহু কর্মপরিকল্পনায় অনেক পরিবর্তন আনা হয়।
সাফরা কাটস্, প্রেসিডেন্ট, ওরাকল
জনপ্রিয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরাকলের প্রেসিডেন্ট সাফরা কাটস্ আছেন ৪০ নম্বরে। পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালেস্নাতক এবং ১৯৮৬ সালে আইনের ওপর জুরিস ডক্টরেট করেন কার্টজ। এরপর, ২০০৮ এইচএসবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে ওরাকলে যোগদানের পর থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ওরাকলের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। ওরাকলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করার আগে সহকারী প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ভার্জিনিয়া রোমেট্টি, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিপণন বিভাগ, আইবিএম
কম্পিউটারনির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএম-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্জিনিয়া রোমেট্টি আছেন ৮২ নম্বরে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা, বীমা, অর্থসংস্থান, আন্তর্জাতিক সেবা, বাজারজাতকরণ বিভাগেও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তার দক্ষতায় আইবিএমের প্রযুক্তিপণ্য বিশ্বের ১৭০টি দেশের বাজারে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে আছে।
হাবিবুর রহমান তারেক: তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক লেখক
সুসান ওজসিস্কি, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিজ্ঞাপন, গুগল
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজান ওজসিস্কি ফোর্বসের তালিকায় আছেন ১৬ নম্বরে। গুগল ডুডলসের মতো অনেক জনপ্রিয় ও চমকপ্রদ ফিচার সুজানের মাথা থেকেই এসেছে। তার নের্তৃত্বেই গুগলের দুই জনপ্রিয় সেবা ‘অ্যাডসেন্স’ ও ‘অ্যাডওয়ার্ড’ পরিচালিত হয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রকল্পে গুগলকে বড় অংকের লাভের মুখ দেখান। ৪৩ বছর বয়স্ক সুজানের জন্ম যুক্তরাজ্যের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের পলো অ্যালটোতে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
আরসুলা বার্নস, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেরক্স
নারীদের মধ্যে ২৭ নম্বরে আছেন জেরক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরজুলা বার্নস। কালার প্রিন্টার ও কপিয়ার তৈরির প্রতিষ্ঠান জেরক্সে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন ২০০৯ সাল থেকে। তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বড় আইটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বের ভার নিয়ে সফল হন। যন্ত্রপ্রকৌশল শাখায় কাজের মধ্য দিয়ে বার্নস জেরক্সে যোগ দেন ১৯৮০ সালে। তার নিষ্ঠা ও যোগ্যতার কারণে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পান তিনি। এর আগে, জেরক্সের নির্বাহী সহকারী হিসেবে কয়েক বছর কাজ করেন তিনি। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান এক্সপ্রেস কর্পোরেশন, বোস্টন সায়েন্টিফিক কর্পোরেশনসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ক্যারল বার্টজ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইয়াহু কর্পোরেশন
বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় আছেন জনপ্রিয় সাইট ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যারল বার্টজ। তার অবস্থান ৩৭। ইয়াহুর দুর্দিনে তিনিই হাল ধরেন, দক্ষতার সাথে জনপ্রিয় করে তোলেন ইয়াহুকে। যুক্তরাষ্ট্রের উইলকিনসন ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানেস্নাতক ডিগ্রিধারী ক্যারল ১৯৭৬ থ্রিএমে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাজীবন শুরু করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে বদলি আবেদনের জের ধরে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি অটোডেস্ক, ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশন, সান মাইক্রোসিস্টেমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অনেক বছর। সবশেষে যোগ দেন ইয়াহুতে। তার সিদ্ধান্তেই ইয়াহু কর্মপরিকল্পনায় অনেক পরিবর্তন আনা হয়।
সাফরা কাটস্, প্রেসিডেন্ট, ওরাকল
জনপ্রিয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরাকলের প্রেসিডেন্ট সাফরা কাটস্ আছেন ৪০ নম্বরে। পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালেস্নাতক এবং ১৯৮৬ সালে আইনের ওপর জুরিস ডক্টরেট করেন কার্টজ। এরপর, ২০০৮ এইচএসবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে ওরাকলে যোগদানের পর থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ওরাকলের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। ওরাকলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করার আগে সহকারী প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ভার্জিনিয়া রোমেট্টি, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিপণন বিভাগ, আইবিএম
কম্পিউটারনির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএম-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্জিনিয়া রোমেট্টি আছেন ৮২ নম্বরে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা, বীমা, অর্থসংস্থান, আন্তর্জাতিক সেবা, বাজারজাতকরণ বিভাগেও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তার দক্ষতায় আইবিএমের প্রযুক্তিপণ্য বিশ্বের ১৭০টি দেশের বাজারে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে আছে।
হাবিবুর রহমান তারেক: তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক লেখক
No comments