ফিরিয়ে দিয়েছে দুই হাসপাতাল-সড়ক দুর্ঘটনার পর চিকিৎসা না পেয়ে জাবি ছাত্রীর মৃত্যু
প্রাইভেট পড়ে আর বাসায় ফেরা হলো না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তানজিলা রহমান তন্নির (২৩)। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গতকাল বুধবার রাতে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। গুরুতর আহত হওয়ার পর তাঁকে দুটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে চিকিৎসা দেননি বলে অভিযোগ পাওয়া
গেছে। দুর্ঘটনার চার ঘণ্টা পর মৃত্যুর কোলেই ঢলে পড়তে হলো তাঁকে। তাঁর লাশ দেখার জন্য সহপাঠীরা গত রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখন সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। তন্নি ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা বাবা মফিজুর রহমান খোকন ও মা নারগিস বেগমের একমাত্র মেয়ে। আত্মীয়রা জানান, মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে বাবা-মা দুজনই বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। ঘাতক পিকআপ ভ্যানটিকে রাত পর্যন্ত আটক করতে পারেনি পুলিশ।
তন্নির মামা ইফতেখার সাংবাদিকদের জানান, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে তন্নি শ্যামলীর রিং রোডের ১১২ নম্বর বাসা থেকে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে রিকশাযোগে প্রাইভেট পড়ার জন্য বের হয়ে যান। তাজমহল রোডে তাঁকে বহনকারী রিকশাটিকে একটি পিকআপ ভ্যান পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় তন্নি গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকেন। পথচারীরা তন্নির কাছ থেকে তাঁর বাবা মফিজুর রহমান খোকনের মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে ফোন করেন। তাঁর বাবা তাঁদের অনুনয়-বিনয় করেন যেন তাঁর মেয়েকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। পথচারীরা তাঁকে নিয়ে যান সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে চিকিৎসা দেননি। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে। সেখান থেকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত তাঁরা তাঁকে শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ততক্ষণে প্রায় চার ঘণ্টা পেরিয়ে যায়। রাত ৮টা ১৫ মিনিটে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তন্নির বাবা মফিজুর রহমান সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা। তিনি গুলশান শাখায় কর্মরত। তাঁর মায়ের নাম নারগিস বেগম। তাঁর গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বেলাবো গ্রামে। তিনি রিং রোডের বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন।
তন্নির সহপাঠী অলকা নন্দ সাংবাদিকদের বলেন, 'তন্নি সব সময় বলত সে পড়াশোনা শেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগেই শিক্ষকতা করতে চায়। এ কারণে সে পড়াশোনার প্রতি প্রচণ্ড মনোযোগী ছিল। এমনকি বান্ধবীদের সঙ্গেও খুব একটা আড্ডা দিতে পছন্দ করত না সে।' তন্নি নরসিংদী সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাস করার পর তাঁর বাবা নরসিংদী থেকে ঢাকায় বদলি হয়ে আসেন। তন্নিও ঢাকায় এসে এইচএসসিতে লালমাটিয়া মহিলা কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পাস করার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন। তিনি এ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
দুর্ঘটনায় আরেক যুবক নিহত : অন্যদিকে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পোস্তগোলা ব্রিজের নিচে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক (২৩) একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর পরনে ছিল লুঙ্গি ও চেক শার্ট।
তন্নির মামা ইফতেখার সাংবাদিকদের জানান, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে তন্নি শ্যামলীর রিং রোডের ১১২ নম্বর বাসা থেকে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে রিকশাযোগে প্রাইভেট পড়ার জন্য বের হয়ে যান। তাজমহল রোডে তাঁকে বহনকারী রিকশাটিকে একটি পিকআপ ভ্যান পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় তন্নি গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকেন। পথচারীরা তন্নির কাছ থেকে তাঁর বাবা মফিজুর রহমান খোকনের মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে ফোন করেন। তাঁর বাবা তাঁদের অনুনয়-বিনয় করেন যেন তাঁর মেয়েকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। পথচারীরা তাঁকে নিয়ে যান সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে চিকিৎসা দেননি। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে। সেখান থেকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত তাঁরা তাঁকে শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ততক্ষণে প্রায় চার ঘণ্টা পেরিয়ে যায়। রাত ৮টা ১৫ মিনিটে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তন্নির বাবা মফিজুর রহমান সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা। তিনি গুলশান শাখায় কর্মরত। তাঁর মায়ের নাম নারগিস বেগম। তাঁর গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বেলাবো গ্রামে। তিনি রিং রোডের বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন।
তন্নির সহপাঠী অলকা নন্দ সাংবাদিকদের বলেন, 'তন্নি সব সময় বলত সে পড়াশোনা শেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগেই শিক্ষকতা করতে চায়। এ কারণে সে পড়াশোনার প্রতি প্রচণ্ড মনোযোগী ছিল। এমনকি বান্ধবীদের সঙ্গেও খুব একটা আড্ডা দিতে পছন্দ করত না সে।' তন্নি নরসিংদী সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাস করার পর তাঁর বাবা নরসিংদী থেকে ঢাকায় বদলি হয়ে আসেন। তন্নিও ঢাকায় এসে এইচএসসিতে লালমাটিয়া মহিলা কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পাস করার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন। তিনি এ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
দুর্ঘটনায় আরেক যুবক নিহত : অন্যদিকে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পোস্তগোলা ব্রিজের নিচে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক (২৩) একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর পরনে ছিল লুঙ্গি ও চেক শার্ট।
No comments