সিঙ্গাপুরের হোটেল কক্ষে বাংলাদেশী যুবক ও ফিলিপিনি গৃহ পরিচারিকার লাশ
সিঙ্গাপুরের হোটেল কক্ষে ২২ বৎসরের বাংলাদেশী যুবক, ৩৩ বৎসরের ফিলিপিনি গৃহ পরিচারিকার লাশ। সিঙ্গাপুরের পতিতা পল্লী খ্যাত গেলান এলাকার লরং ২২ এর বাজেট হোটেলের ২য় তলার একটি কক্ষ থেকে পুলিশ গত ৬ ই ফেব্রুয়ারী সকাল ১১.৫০ মিনিটে বাংলাদেশি যুবক মোঃ সুমন এবং ফিলিপিনি গৃহ পরিচারিকা রেজলিন লদিয়া ভিনিগেস এর গলায় কাটা দাগ সহ লাশ উদ্ধার করে।
সিংগাপুরের দৈনিক পত্রিকার প্রকাশিত খবর ও ইয়াহু সিঙ্গাপুরের খবরের বরাত দিয়ে জানা যায় হোটেলের নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে হোটেল রিসিপ্সনিস্ত পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ রুমে গিয়ে ফিলিপিনি প্রেমিকার নগ্ন দেহের উপর একটি মাত্র তোয়ালে সহ রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায়, যার পাশে ছিল পাঁচ সেন্টি মিটার একটি ছুরি। বাথ রুমে পাওয়া যায় বাংলাদেশি প্রেমিক সুমনের মৃত দেহ। পুলিশের ধারনা হতাহতের ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে। সুমন ছিল ওই হোটেলের নিয়মিত একজন গ্রাহক। গত এক বৎসর ভালবাসার টানে তারা দেখা করতেন এই হোটেলে। সুমনের এক বন্ধু জানান সে ছিলেন চাপা স্বভাবের। নিজের কোন কথা কাউকে বলতেন না। তার কোম্পানির ত্রিশ জনের মধ্যে ভাল ইংরেজি বলতে পারতেন। সিঙ্গাপুরি আধুনিক গার্ল ফ্রেন্ড কালচার কেড়ে নিল সুমনের জীবন। হত্যা না আত্মহত্যা নানা প্রশ্নের বেড়াজালে এই রহস্য। পুলিশের তদন্ত পক্রিয়াধীন। মাত্র কিছু দিন পূর্বে শিশু কন্যা সহ বাংলাদেশী গৃহ বধূ আত্মহত্যার ঘটনার পর ফিলিপিনি প্রেমিকা সহ সুমনের এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। এমনিতে নানারকম জটিলতার জালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা, তার উপর একের পর এক হতাহতের ঘটনা সিঙ্গাপুর সরকার কিভাবে দেখবে তা নিয়ে সাধারন বাংলাদেশিরা আছেন আতংকে। ভাগ্যের সোনার হরিণের আশায় বাংলাদেশে ভিটে মাটি বিক্রি, মোটা অঙ্কের সুদ নিয়ে, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে বাংলার টেকনাফ- তেতুলিয়ার ছেলেরা আসে প্রবাসে। আধুনিকতার নামে মদ্যপান, নিত্য নতুন ফিলিপিনি, ইন্দুনেশিয়ান গার্ল ফ্রেন্ড, নাইট ক্লাবের পরশে সর্ব শান্ত হয়। দিতে হয় সুমনের মত জীবন। দেশের কথা, পরিবারের কথা, নিজের সংস্কৃতির কথা আর ধর্মীয় অনুশাশন মেনে চললে দিতে হবে না অকালে প্রান। এ রকম ঘটনা আমাদের কারো কাম্য নয়। বিদেশে আসলেই যে তাদের মত চলতে হবে এমন কোথাও লেখা নেই। আর কেউ বাধ্য ও করে না । ধুম পান ত্যাগে যেমন নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট, তেমনি একটু বিবেক খাটিয়ে চললে ......।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু, সিঙ্গাপুর।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু, সিঙ্গাপুর।
No comments