ভোগান্তির এক দিন
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে তৈরি করা হয় আওয়ামী লীগের সমাবেশ-মঞ্চ। সমাবেশ শেষে বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ কারণে মৎস্য ভবন থেকে কোনো গাড়িকে ডানে ঘুরতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে শাহবাগ থেকে কোনো গাড়িকে বাঁয়ে মোড় নিতে দেওয়া হয়নি।
শাহবাগ থেকে সব গাড়িকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। শোভাযাত্রা ও সমাবেশের কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়। হাজার হাজার গাড়ি রাস্তায় জ্যামের মধ্যে আটকে ছিল। ফলে ঢাকার অন্যান্য এলাকা থেকে এ এলাকা যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শাহবাগ এলাকায় ছিল প্রচণ্ড ভিড়। এ চিত্র গতকাল বুধবারের।
সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকালে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের যাত্রীছাউনির সামনে অর্ধশত মানুষের ভিড়। বিকেল ৪টার দৃশ্য এটি। সবাই বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে, কিন্তু কোনো বাস আসছে না। যাত্রীছাউনির উভয় পাশের রাস্তায় জ্যামে পড়ে আছে শত শত গাড়ি।
শাহবাগের যাত্রীছাউনির একপাশে বসে থাকা পঞ্চাশোর্ধ্ব রাহেলা খাতুন বলেন, 'সরকার-বিরোধী দল কর্মসূচি পালন করুক ভালো কথা- তবে ঢাকার বাইরে বড় কোনো ময়দানে গিয়ে শোডাউন করুক, প্রতিযোগিতা করুক। আমাদের কেন এমন ভোগান্তিতে ফেলবে, কেন আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে?'
ছয় মাসের কন্যাশিশুকে নিয়ে মিরপুর থেকে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে এসেছিলেন স্কুলশিক্ষিকা সালমা বেগম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'অসুস্থ মেয়েটিকে নিয়ে এখন পড়েছি বিপাকে, গরমে মেয়েটি অস্থির।' শুধু রাহেলা আর সালমা বেগমই নন, গতকাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজারো মানুষ কষ্টের শিকার হয়েছে। একদিকে জ্যাম আর অন্যদিকে প্রচণ্ড গরম। অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে হেঁটেই গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ছুটতে দেখা গেছে। ফুটপাতগুলো সাধারণ পথচারী আর আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে আসা মানুষের ভিড়ে ঠাসা; ফলে যাতায়াত করাও খুবই কষ্টকর।
বারডেম হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় গাড়ির জ্যাম, আর ফুটপাতে মানুষের। হাঁটাও এখন মুশকিল হয়ে গেছে। দুই মিনিটের রাস্তা হেঁটে যেতে ১০ মিনিট লাগে। পথচারী আনোয়ার হোসেন বলেন, মানুষের কষ্টের কথা কেউ ভাবে না, শুধু নিজেদের কথাই চিন্তা করে দলের লোকজন।
বিকেল ৪টায় রমনা থানা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ব্যানার নিয়ে শাহাবাগ চত্বরে রাস্তায় অবস্থান নেন। পুলিশ একাধিকবার অনুরোধ করলেও তাঁরা সরে যাননি। এ প্রসঙ্গে পথচারী হেলাল মিয়া বলেন, 'রাস্তার মাঝখানে এরা অবস্থান নিয়েছে; কিন্তু একবারও ভাবল না শত শত গাড়ি উভয় পাশে আটকে আছে, গরমে ছটফট করছে মানুষ।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সড়কগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, কর্মসূচির কারণে রাস্তাগুলো বন্ধ থাকবে, আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে। জনগণকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকালে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের যাত্রীছাউনির সামনে অর্ধশত মানুষের ভিড়। বিকেল ৪টার দৃশ্য এটি। সবাই বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে, কিন্তু কোনো বাস আসছে না। যাত্রীছাউনির উভয় পাশের রাস্তায় জ্যামে পড়ে আছে শত শত গাড়ি।
শাহবাগের যাত্রীছাউনির একপাশে বসে থাকা পঞ্চাশোর্ধ্ব রাহেলা খাতুন বলেন, 'সরকার-বিরোধী দল কর্মসূচি পালন করুক ভালো কথা- তবে ঢাকার বাইরে বড় কোনো ময়দানে গিয়ে শোডাউন করুক, প্রতিযোগিতা করুক। আমাদের কেন এমন ভোগান্তিতে ফেলবে, কেন আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে?'
ছয় মাসের কন্যাশিশুকে নিয়ে মিরপুর থেকে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে এসেছিলেন স্কুলশিক্ষিকা সালমা বেগম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'অসুস্থ মেয়েটিকে নিয়ে এখন পড়েছি বিপাকে, গরমে মেয়েটি অস্থির।' শুধু রাহেলা আর সালমা বেগমই নন, গতকাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজারো মানুষ কষ্টের শিকার হয়েছে। একদিকে জ্যাম আর অন্যদিকে প্রচণ্ড গরম। অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে হেঁটেই গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ছুটতে দেখা গেছে। ফুটপাতগুলো সাধারণ পথচারী আর আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে আসা মানুষের ভিড়ে ঠাসা; ফলে যাতায়াত করাও খুবই কষ্টকর।
বারডেম হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় গাড়ির জ্যাম, আর ফুটপাতে মানুষের। হাঁটাও এখন মুশকিল হয়ে গেছে। দুই মিনিটের রাস্তা হেঁটে যেতে ১০ মিনিট লাগে। পথচারী আনোয়ার হোসেন বলেন, মানুষের কষ্টের কথা কেউ ভাবে না, শুধু নিজেদের কথাই চিন্তা করে দলের লোকজন।
বিকেল ৪টায় রমনা থানা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ব্যানার নিয়ে শাহাবাগ চত্বরে রাস্তায় অবস্থান নেন। পুলিশ একাধিকবার অনুরোধ করলেও তাঁরা সরে যাননি। এ প্রসঙ্গে পথচারী হেলাল মিয়া বলেন, 'রাস্তার মাঝখানে এরা অবস্থান নিয়েছে; কিন্তু একবারও ভাবল না শত শত গাড়ি উভয় পাশে আটকে আছে, গরমে ছটফট করছে মানুষ।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সড়কগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, কর্মসূচির কারণে রাস্তাগুলো বন্ধ থাকবে, আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে। জনগণকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
No comments