নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নেই-* রোগীদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি -* চিকিৎসাকর্মীদের বেশির ভাগই পুরুষ by তৌফিক মারুফ
পরিসংখ্যানে দেশের মোট জনসংখ্যার ভেতর পুরুষের চেয়ে নারী বেশি। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ পেশাগত ক্ষেত্রগুলোতেও পুরুষের সংখ্যাই বেশি। তবে রোগী হিসেবে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নারী রোগীর উপস্থিতি পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রটি দেশে খুবই সংকুচিত। যতটুকু আছে তাও পুরোটা নারীবান্ধব নয়। যেমন নেই পরিবেশ, তেমন নেই জনবল। চিকিৎসকদের মধ্যে নারীর সংখ্যা অনেক কম থাকা একটি বড় সমস্যা। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে নারী চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে না পারাটাও একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের সামনে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. রুখসানা হায়দার কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশে নারীদের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কাজ হচ্ছে খুবই কম। যতটুকু হচ্ছে তাও সমন্বিত নয়। ফলে নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবার বড় ঘাটতি থাকাটাই স্বাভাবিক। তিনি আরো বলেন, সরকারের নীতিমালা বা পরিকল্পনায় নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবার একটা ফোকাস থাকলেও তা বাস্তবায়নের কৌশল বা সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনার বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তাই কাগজে থাকা আর বাস্তবায়ন এক কথা নয়।
ড. রুখসানা হায়দার বলেন, নারী স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক মানোন্নয়নে সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে যথেষ্ট সমন্বয় নেই। অথচ এটা খুবই জরুরি। এ ছাড়া তুলনামূলক যতটুকু কাজ হচ্ছে তাতে সরকারের চেয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোই অনেকটা এগিয়ে আছে। এখানেও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।
দেশে স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অশোকা ফেলো অর্জনকারী অধ্যাপক ডা. হোসনেয়ারা বেগম বলেন, 'আমাদের দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে বৃহত্তর পল্লী অঞ্চলের নারী জনগোষ্ঠী এখন পর্যন্ত উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবাবঞ্চিত। নির্বিঘ্ন যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকা, হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নারী চিকিৎসক বা সেবাকর্মী না থাকা, অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকাসহ আরো বিভিন্ন সমস্যা এখানো বড় বাধা হয়ে আছে। এ ছাড়া আগের চেয়ে অনেকটা সচেতনতা বাড়লেও এখনো বেশির ভাগ নারী রোগী পুরুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে চান না। তাই এসব বাধা দূর করে নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. শিফায়েত উল্লাহ দেশে নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পুরুষের তুলনায় নারী ও শিশুদের ভিড় অনেক বেশি। সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভৌত অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল উন্নয়নে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মহাপরিচালক আরো বলেন, সরকারের নতুন পঞ্চবার্ষিক স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা, পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচি এবং প্রক্রিয়াধীন স্বাস্থ্যনীতিতেও নারী স্বাস্থ্যসেবাকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে আর কোনো বাধা থাকবে না।
সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালে দেশের সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালসহ) হাসপাতাল মিলিয়ে আউটডোরে মোট রোগীর সংখ্যা ছিল পাঁচ কোটি ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬৬ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দুই কোটি ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬১ জন ছিল নারী। বাকি এক কোটি ৭২ লাখ ৯ হাজার ৮৪৯ জন পুরুষ এবং এক কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৩২ জন শিশু। একই ভাবে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর মধ্যে নারী বেশি। এ সময়ে (২০১০ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর) এক কোটি ৮৯ লাখ তিন হাজার ৯২০ জন নারী ও এক কোটি ৫৫ লাখ তিন হাজার ৩৮১ জন পুরুষ রোগী (সারা দেশের সব শ্রেণীর সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে) ভর্তি হন। সারা দেশে পুরুষ রোগীর চেয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে নারী রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও তাঁদের চিকিৎসার জন্য নারী জনবল এখনো পুরুষ জনবলের চেয়ে অর্ধেকেরও কম।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত সারা দেশে সব শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে মোট পদের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৫৩০টি। এর মধ্যে ৯২ হাজার ৭৫৬টি পদে জনবল কর্মরত ছিল। বাকি ২২ হাজার ৭৭৪টি পদ ছিল শূন্য। তবে কর্মরত জনবলের মধ্যে যেখানে ৬১ হাজার ১৫৮ জন পুরুষ, সেখানে নারীর সংখ্যা মাত্র ৩১ হাজার ৫৯৮ জন।
ওই প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে নারী জনবলের তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যায়ে চিকিৎসকদের মধ্যে নারী তিন হাজার ৬৫৫ জন; কিন্তু পুরুষ চিকিৎসক ১২ হাজার ৩৮০ জন। একই ভাবে চিকিৎসক নন এমন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যায়ে নারী মাত্র ৫০ জন। পুরুষ ১৬৩ জন। তবে ভিন্নতা রয়েছে কেবল দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যায়ে। এখানে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি; নারী ৭৩১ জন আর পুরুষ ৩৮৯ জন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পদে যথারীতি পুরুষের চেয়ে নারীর অংশগ্রহণ অনেক কম। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর মধ্যে নারী ২১ হাজার ১৬৫ জন ও পুরুষ ৩৩ হাজার ২৬০ জন। চতুর্থ শ্রেণীতে নারী মাত্র পাঁচ হাজার ৯৯৭ জন। অন্যদিকে পুরুষ ১৪ হাজার ৯৭৬ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (নিপোর্ট) মহাপরিচালক সেলিনা আফরোজা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ঘাটতি দূর করতে আমরা দক্ষ নারী জনবল বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করেছি। এর অনেকটা সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনায়, আবার অনেকটা বেসরকারিভাবে চলছে।'
সেলিনা আফরোজা উদাহরণ দিয়ে বলেন, 'পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে এফডাবি্লউভি পদের শতভাগই নারী। তবে দীর্ঘ ১২ বছর এই পদে নিয়োগ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই একটা সংকট তৈরি হয়েছিল। বর্তমান সরকারের সময়ে আবার ওই পদে নিয়োগ হচ্ছে এবং আমরা প্রশিক্ষণও দিচ্ছি। এ ছাড়া নতুন চালু হওয়া কমিউনিটি প্যারামেডিকস প্রকল্পের জনবলের ৭০ শতাংশ নারী এবং মাত্র ৩০ শতাংশ পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. রুখসানা হায়দার কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশে নারীদের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কাজ হচ্ছে খুবই কম। যতটুকু হচ্ছে তাও সমন্বিত নয়। ফলে নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবার বড় ঘাটতি থাকাটাই স্বাভাবিক। তিনি আরো বলেন, সরকারের নীতিমালা বা পরিকল্পনায় নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবার একটা ফোকাস থাকলেও তা বাস্তবায়নের কৌশল বা সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনার বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তাই কাগজে থাকা আর বাস্তবায়ন এক কথা নয়।
ড. রুখসানা হায়দার বলেন, নারী স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক মানোন্নয়নে সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে যথেষ্ট সমন্বয় নেই। অথচ এটা খুবই জরুরি। এ ছাড়া তুলনামূলক যতটুকু কাজ হচ্ছে তাতে সরকারের চেয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোই অনেকটা এগিয়ে আছে। এখানেও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।
দেশে স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অশোকা ফেলো অর্জনকারী অধ্যাপক ডা. হোসনেয়ারা বেগম বলেন, 'আমাদের দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে বৃহত্তর পল্লী অঞ্চলের নারী জনগোষ্ঠী এখন পর্যন্ত উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবাবঞ্চিত। নির্বিঘ্ন যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকা, হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নারী চিকিৎসক বা সেবাকর্মী না থাকা, অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকাসহ আরো বিভিন্ন সমস্যা এখানো বড় বাধা হয়ে আছে। এ ছাড়া আগের চেয়ে অনেকটা সচেতনতা বাড়লেও এখনো বেশির ভাগ নারী রোগী পুরুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে চান না। তাই এসব বাধা দূর করে নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. শিফায়েত উল্লাহ দেশে নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পুরুষের তুলনায় নারী ও শিশুদের ভিড় অনেক বেশি। সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভৌত অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল উন্নয়নে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মহাপরিচালক আরো বলেন, সরকারের নতুন পঞ্চবার্ষিক স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা, পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচি এবং প্রক্রিয়াধীন স্বাস্থ্যনীতিতেও নারী স্বাস্থ্যসেবাকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে আর কোনো বাধা থাকবে না।
সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালে দেশের সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালসহ) হাসপাতাল মিলিয়ে আউটডোরে মোট রোগীর সংখ্যা ছিল পাঁচ কোটি ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬৬ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দুই কোটি ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬১ জন ছিল নারী। বাকি এক কোটি ৭২ লাখ ৯ হাজার ৮৪৯ জন পুরুষ এবং এক কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৩২ জন শিশু। একই ভাবে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর মধ্যে নারী বেশি। এ সময়ে (২০১০ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর) এক কোটি ৮৯ লাখ তিন হাজার ৯২০ জন নারী ও এক কোটি ৫৫ লাখ তিন হাজার ৩৮১ জন পুরুষ রোগী (সারা দেশের সব শ্রেণীর সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে) ভর্তি হন। সারা দেশে পুরুষ রোগীর চেয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে নারী রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও তাঁদের চিকিৎসার জন্য নারী জনবল এখনো পুরুষ জনবলের চেয়ে অর্ধেকেরও কম।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত সারা দেশে সব শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে মোট পদের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৫৩০টি। এর মধ্যে ৯২ হাজার ৭৫৬টি পদে জনবল কর্মরত ছিল। বাকি ২২ হাজার ৭৭৪টি পদ ছিল শূন্য। তবে কর্মরত জনবলের মধ্যে যেখানে ৬১ হাজার ১৫৮ জন পুরুষ, সেখানে নারীর সংখ্যা মাত্র ৩১ হাজার ৫৯৮ জন।
ওই প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে নারী জনবলের তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যায়ে চিকিৎসকদের মধ্যে নারী তিন হাজার ৬৫৫ জন; কিন্তু পুরুষ চিকিৎসক ১২ হাজার ৩৮০ জন। একই ভাবে চিকিৎসক নন এমন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যায়ে নারী মাত্র ৫০ জন। পুরুষ ১৬৩ জন। তবে ভিন্নতা রয়েছে কেবল দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যায়ে। এখানে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি; নারী ৭৩১ জন আর পুরুষ ৩৮৯ জন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পদে যথারীতি পুরুষের চেয়ে নারীর অংশগ্রহণ অনেক কম। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর মধ্যে নারী ২১ হাজার ১৬৫ জন ও পুরুষ ৩৩ হাজার ২৬০ জন। চতুর্থ শ্রেণীতে নারী মাত্র পাঁচ হাজার ৯৯৭ জন। অন্যদিকে পুরুষ ১৪ হাজার ৯৭৬ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (নিপোর্ট) মহাপরিচালক সেলিনা আফরোজা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ঘাটতি দূর করতে আমরা দক্ষ নারী জনবল বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করেছি। এর অনেকটা সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনায়, আবার অনেকটা বেসরকারিভাবে চলছে।'
সেলিনা আফরোজা উদাহরণ দিয়ে বলেন, 'পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে এফডাবি্লউভি পদের শতভাগই নারী। তবে দীর্ঘ ১২ বছর এই পদে নিয়োগ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই একটা সংকট তৈরি হয়েছিল। বর্তমান সরকারের সময়ে আবার ওই পদে নিয়োগ হচ্ছে এবং আমরা প্রশিক্ষণও দিচ্ছি। এ ছাড়া নতুন চালু হওয়া কমিউনিটি প্যারামেডিকস প্রকল্পের জনবলের ৭০ শতাংশ নারী এবং মাত্র ৩০ শতাংশ পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
No comments