শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত by শাহীন হাসনাত
সাহাবি হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত_ হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে রমজানের রোজা এবং শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল (পুরস্কারের দিক থেকে)। -মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ, আহমদ ইবনে মাজা।
উপরোক্ত হাদিস প্রসঙ্গে আন নাসাঈ তার 'সুবুল উস সালাম' গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন, যদি রমজানের ৩০টি রোজার সঙ্গে শাওয়ালের ছয়টি রোজা যুক্ত হয়, তাহলে মোট রোজার সংখ্যা হয় ৩৬টি। শরিয়া অনুযায়ী, প্রতিটি পুণ্যের জন্য ১০ গুণ পুরস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাহলে ৩৬টি রোজা ১০ গুণ পুরস্কারে পরিণত করলে তা ৩৬০টি রোজার সমতুল্য হবে। অর্থাৎ সারা বছরের রোজার সমতুল্য হবে। কোনো কোনো আলেম বলেন, রমজানের শেষে শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখতে হবে কোনো বিরতি না দিয়ে একনাগাড়ে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, শাওয়াল মাসেই ছয়টি রোজা রাখতে হবে, তা একনাগাড়ে হোক বা না হোক। এই মতামতটিই অধিক গ্রহণযোগ্য। তবে শাওয়াল মাসের রোজাগুলো সোম ও বৃহস্পতিবারেও রাখা যায়। কেননা, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সাধারণত সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখতেন। -নাসাঈ
কেউ যদি সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে রোজা রাখা সহজ মনে করেন, তাদের সমর্থনেও আরেকটি হাদিস পাওয়া যায়। হজরত উম্মে সালামা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) শনি ও রোববারে প্রায়ই রোজা রাখতেন এবং তিনি বলতেন, 'এই দিনগুলো মুশরিকদের জন্য উৎসবের দিন। তাই আমি তাদের বিপরীত কিছু করতে চাই।' [নাসাঈ, ইবন খুজাইমাহ একে সহি বলেছেন এবং ইবন হাজার একে সমর্থন করেছেন] কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, যদি শাওয়াল মাসে সময় পাওয়া না যায়, তাহলে ভাঙতি রোজা পূর্ণ না করে আগে শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখার অনুমতি ইসলামে আছে কি-না। শুরুতে বর্ণিত প্রথম হাদিসটিতে 'সুম্মা' শব্দের প্রয়োগই এ প্রশ্নের জবাব বলে মন্তব্য করেন শাইখ আল মুনাজ্জিদ। সুম্মা অর্থ অতঃপর। কেউ রমজানের রোজা পূর্ণ করল, অতঃপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছর ধরেই রোজা করল।
কাজেই হজরত রাসূলের (সা.) সুন্নাহ অনুযায়ী রমজান মাসে কারও রোজা ভাঙতি হলে শাওয়াল মাসে সেই ভাঙতি রোজা আগে পূর্ণ করতে হবে। যদি ভাঙতি রোজা পূর্ণ করতে শাওয়াল মাস পুরোটাই লেগে যায় (বিশেষ করে অসুস্থতা, সফর বা মহিলাদের বিশেষ কোনো শারীরিক অবস্থায়), তাহলে তিনি জিলকদ মাসে ওই ছয়টি রোজা রাখলেও শাওয়ালের ছয়টি রোজার অনুরূপ সওয়াব পাবেন। এ মতামত দিয়েছেন শাইখ ইবন উসাইমিন [মাজমু আল ফতোয়া, ২০/১৯]। আল কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'আর যারাই আল্লাহতায়ালার ওপর ইমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে, তাদের মধ্যে যারা আমল করেছে অধিক পূর্ণতার সঙ্গে (মান আহসানা আমালান) আমি তাদের পুরস্কারকে কখনও বিফলে যেতে দিই না।' [আল-কাহফ ১৮:৩০]
রমজানের কোনো ফরজ রোজা ভাঙতি হলে প্রথমে সেই ফরজ রোজাই রাখতে হবে। পরে শাওয়ালের ছয়টি রোজা করতে হবে।
রোজা কাজা করার যথাযথ ও অনুমোদিত ওজর যার রয়েছে, তাকে অবশ্যই কাজা রোজা করতে হবে আগে। কেননা, রমজানের রোজা হলো ইসলামের একটি স্তম্ভ। অথচ শাওয়ালের ছয়টি রোজা হলো মুস্তাহাব। যে এই মুস্তাহাব পালন করল না, সে তিরস্কৃত হবে না। কেননা, এটা ফরজ ইবাদত নয়।
কেউ যদি সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে রোজা রাখা সহজ মনে করেন, তাদের সমর্থনেও আরেকটি হাদিস পাওয়া যায়। হজরত উম্মে সালামা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) শনি ও রোববারে প্রায়ই রোজা রাখতেন এবং তিনি বলতেন, 'এই দিনগুলো মুশরিকদের জন্য উৎসবের দিন। তাই আমি তাদের বিপরীত কিছু করতে চাই।' [নাসাঈ, ইবন খুজাইমাহ একে সহি বলেছেন এবং ইবন হাজার একে সমর্থন করেছেন] কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, যদি শাওয়াল মাসে সময় পাওয়া না যায়, তাহলে ভাঙতি রোজা পূর্ণ না করে আগে শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখার অনুমতি ইসলামে আছে কি-না। শুরুতে বর্ণিত প্রথম হাদিসটিতে 'সুম্মা' শব্দের প্রয়োগই এ প্রশ্নের জবাব বলে মন্তব্য করেন শাইখ আল মুনাজ্জিদ। সুম্মা অর্থ অতঃপর। কেউ রমজানের রোজা পূর্ণ করল, অতঃপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছর ধরেই রোজা করল।
কাজেই হজরত রাসূলের (সা.) সুন্নাহ অনুযায়ী রমজান মাসে কারও রোজা ভাঙতি হলে শাওয়াল মাসে সেই ভাঙতি রোজা আগে পূর্ণ করতে হবে। যদি ভাঙতি রোজা পূর্ণ করতে শাওয়াল মাস পুরোটাই লেগে যায় (বিশেষ করে অসুস্থতা, সফর বা মহিলাদের বিশেষ কোনো শারীরিক অবস্থায়), তাহলে তিনি জিলকদ মাসে ওই ছয়টি রোজা রাখলেও শাওয়ালের ছয়টি রোজার অনুরূপ সওয়াব পাবেন। এ মতামত দিয়েছেন শাইখ ইবন উসাইমিন [মাজমু আল ফতোয়া, ২০/১৯]। আল কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'আর যারাই আল্লাহতায়ালার ওপর ইমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে, তাদের মধ্যে যারা আমল করেছে অধিক পূর্ণতার সঙ্গে (মান আহসানা আমালান) আমি তাদের পুরস্কারকে কখনও বিফলে যেতে দিই না।' [আল-কাহফ ১৮:৩০]
রমজানের কোনো ফরজ রোজা ভাঙতি হলে প্রথমে সেই ফরজ রোজাই রাখতে হবে। পরে শাওয়ালের ছয়টি রোজা করতে হবে।
রোজা কাজা করার যথাযথ ও অনুমোদিত ওজর যার রয়েছে, তাকে অবশ্যই কাজা রোজা করতে হবে আগে। কেননা, রমজানের রোজা হলো ইসলামের একটি স্তম্ভ। অথচ শাওয়ালের ছয়টি রোজা হলো মুস্তাহাব। যে এই মুস্তাহাব পালন করল না, সে তিরস্কৃত হবে না। কেননা, এটা ফরজ ইবাদত নয়।
No comments