বরিশালে চোর সন্দেহে তরুণকে পিটিয়ে হত্যা
বরিশাল নগরের নির্মাণাধীন একটি ডকইয়ার্ডে চুরির অভিযোগে গতকাল রোববার আবদুর রহমান সিকদার (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ডকইয়ার্ডের নিরাপত্তারক্ষী আবদুর রাজ্জাককে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে। আবদুর রহমান নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আরব আলী সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন নিহতের ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. লিটু জানান, নগরের বেলতলা খেয়াঘাট এলাকায় সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির ডকইয়ার্ডের নিরাপত্তারক্ষী রাজ্জাক চুরির অভিযোগে আবদুর রহমানকে ভোরে ধরে নিয়ে যান। আবদুর রহমানের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করেন রাজ্জাক। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সকালে তাঁকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সকাল সাড়ে সাতটায় কাউনিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবদুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে। রাজ্জাক ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মানপাশা গ্রামের মো. সেরাজউদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নির্মাণাধীন বরিশাল-ঢাকা রুটের সুন্দরবন-১০ লঞ্চের লোহার পাত চুরির অভিযোগে আবদুর রহমান সিকদারকে পিটিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন রাজ্জাক। পুলিশ হত্যার কাজে ব্যবহূত লোহার দণ্ড উদ্ধার করেছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাইনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আবদুর রহমান নেশা করতেন, সে কারণে চুরি করে থাকতে পারেন। তবে গতকাল চুরির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সুন্দরবন নেভিগেশনের ডকইয়ার্ডে কর্মরত রং মিস্ত্রি মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমি সকালে কাজে এসে ডকইয়ার্ডের সেডের নিচে আবদুর রহমানকে বাঁধা অবস্থায় দেখি। পরে আমি কাজে যোগ দিই। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে অনেক লোকজন এসে জড়ো হয় ডকইয়ার্ডে। এর কিছুক্ষণ পরই আবদুর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।’
এ ঘটনায় আবদুর রহমানের ছোট ভাই ফয়সাল হোসেন আবদুর রাজ্জাক ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ফয়সাল জানান, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে চুরি বা অন্য কোনো অভিযোগ নেই। তিনি নির্মাণশ্রমিকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আবদুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন আবদুর রাজ্জাক। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো চুরির অভিযোগ নেই।
পুলিশ জানায়, নির্মাণাধীন বরিশাল-ঢাকা রুটের সুন্দরবন-১০ লঞ্চের লোহার পাত চুরির অভিযোগে আবদুর রহমান সিকদারকে পিটিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন রাজ্জাক। পুলিশ হত্যার কাজে ব্যবহূত লোহার দণ্ড উদ্ধার করেছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাইনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আবদুর রহমান নেশা করতেন, সে কারণে চুরি করে থাকতে পারেন। তবে গতকাল চুরির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সুন্দরবন নেভিগেশনের ডকইয়ার্ডে কর্মরত রং মিস্ত্রি মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমি সকালে কাজে এসে ডকইয়ার্ডের সেডের নিচে আবদুর রহমানকে বাঁধা অবস্থায় দেখি। পরে আমি কাজে যোগ দিই। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে অনেক লোকজন এসে জড়ো হয় ডকইয়ার্ডে। এর কিছুক্ষণ পরই আবদুর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।’
এ ঘটনায় আবদুর রহমানের ছোট ভাই ফয়সাল হোসেন আবদুর রাজ্জাক ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ফয়সাল জানান, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে চুরি বা অন্য কোনো অভিযোগ নেই। তিনি নির্মাণশ্রমিকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আবদুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন আবদুর রাজ্জাক। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো চুরির অভিযোগ নেই।
No comments