ফসলি জমির মাটি বিক্রি, হারাচ্ছে উর্বরতা শক্তি by এ বি এম রিপন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ইট তৈরি, নিচু জায়গা ভরাটের জন্য চলছে ফসলি জমির মাটি বেচাকেনা। অভাবী কৃষকেরা এই মাটি বিক্রি করছেন। আর এ কারণে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জমির উর্বরতা শক্তি ওপর থেকে ১৫-২০ ইঞ্চির মধ্যে থাকে। তাই ওপর থেকে মাটি সরিয়ে ফেলায় উর্বরতা শক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।
দীর্ঘ সময় ধরে সে জমির ওপর বিভিন্ন পদার্থ জমে উর্বরতা শক্তি ফিরে আসতে শুরু করে। এভাবে আগের মতো উর্বরতা শক্তি ফিরে পেতে কমপক্ষে ১০-১৫ বছর সময় লাগে।
উপজেলার চরবংশী, বামনী, কেরোয়া, রায়পুর ও চরপাতা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ফসলি জমির মাটি বিক্রি শুরু হয়েছে। আবাদি জমির ওপরের অংশ এক থেকে দুই ফুট গর্ত করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। একশ্রেণীর ব্যবসায়ী এ মাটি কৃষকদের কাছ থেকে কিনে ইটভাটায় নিচ্ছেন বা নিচু জমি ভরাট করছেন।
সোনাপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন বলেন, ‘১০-১২ দিন আগে ২৪ শতাংশ জমির মাটির ওপর থেকে দুই ফুট ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। অভাব-অনটনের কারণে এ মাটি বিক্রি করেছি।’
কেরোয়া গ্রামের জামাল হোসেন বলেন, ‘সবাই মাটি বিক্রি করছে। তাই আমিও বিক্রি করছি। ১৩ শতাংশ জমির মাটি বিক্রি করেছি পাঁচ হাজার টাকায়।’
চরপাতা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, দুই বছর ধরে ফসলি জমির মাটি বিক্রির হিড়িক চলছে। একশ্রেণীর ব্যবসায়ী এ মাটি কিনে জেলার ইটভাটাগুলোতে বিক্রি করছে। এখন উপজেলার প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষক টাকার লোভে পড়ে মাটি বিক্রি করেছে।
ফসলি জমির মাটি বিক্রি করায় গর্তের সৃষ্টি হয়। এ গর্তের মধ্যে চার-পাঁচ বছর কোনো আবাদ হয় না বলে জানান চরবংশী গ্রামের মফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি দুই বছর আগে ২০ শতাংশ জমির মাটি বিক্রি করেছিলাম। এ কারণে এখনো সে জমিতে ঠিকমতো ফসল হয় না।’
তিন বছর ধরে মাটি বেচাকেনার ব্যবসা করেন মো. হানিফ মিয়া। তিনি বলেন, ‘মানুষ বিল ভরাট করে বাড়ি করছে। এ জন্য প্রচুর মাটির প্রয়োজন রয়েছে। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে নগদ টাকায় মাটি কিনে শ্রমিক দিয়ে ট্রলিযোগে মাটিগুলো নিয়ে যাই।’
রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘কৃষকদের সচেতন করার পরও তাঁরা কথা শুনছেন না। নগদ টাকার আশায় মাটি বিক্রি করছেন। এতে সাময়িক অভাব দূর হলেও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আর এ-সংক্রান্ত কোনো আইন না থাকায় আমরা কিছুই করতে পারছি না।’
উপজেলার চরবংশী, বামনী, কেরোয়া, রায়পুর ও চরপাতা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ফসলি জমির মাটি বিক্রি শুরু হয়েছে। আবাদি জমির ওপরের অংশ এক থেকে দুই ফুট গর্ত করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। একশ্রেণীর ব্যবসায়ী এ মাটি কৃষকদের কাছ থেকে কিনে ইটভাটায় নিচ্ছেন বা নিচু জমি ভরাট করছেন।
সোনাপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন বলেন, ‘১০-১২ দিন আগে ২৪ শতাংশ জমির মাটির ওপর থেকে দুই ফুট ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। অভাব-অনটনের কারণে এ মাটি বিক্রি করেছি।’
কেরোয়া গ্রামের জামাল হোসেন বলেন, ‘সবাই মাটি বিক্রি করছে। তাই আমিও বিক্রি করছি। ১৩ শতাংশ জমির মাটি বিক্রি করেছি পাঁচ হাজার টাকায়।’
চরপাতা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, দুই বছর ধরে ফসলি জমির মাটি বিক্রির হিড়িক চলছে। একশ্রেণীর ব্যবসায়ী এ মাটি কিনে জেলার ইটভাটাগুলোতে বিক্রি করছে। এখন উপজেলার প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষক টাকার লোভে পড়ে মাটি বিক্রি করেছে।
ফসলি জমির মাটি বিক্রি করায় গর্তের সৃষ্টি হয়। এ গর্তের মধ্যে চার-পাঁচ বছর কোনো আবাদ হয় না বলে জানান চরবংশী গ্রামের মফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি দুই বছর আগে ২০ শতাংশ জমির মাটি বিক্রি করেছিলাম। এ কারণে এখনো সে জমিতে ঠিকমতো ফসল হয় না।’
তিন বছর ধরে মাটি বেচাকেনার ব্যবসা করেন মো. হানিফ মিয়া। তিনি বলেন, ‘মানুষ বিল ভরাট করে বাড়ি করছে। এ জন্য প্রচুর মাটির প্রয়োজন রয়েছে। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে নগদ টাকায় মাটি কিনে শ্রমিক দিয়ে ট্রলিযোগে মাটিগুলো নিয়ে যাই।’
রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘কৃষকদের সচেতন করার পরও তাঁরা কথা শুনছেন না। নগদ টাকার আশায় মাটি বিক্রি করছেন। এতে সাময়িক অভাব দূর হলেও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আর এ-সংক্রান্ত কোনো আইন না থাকায় আমরা কিছুই করতে পারছি না।’
No comments