অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করুন-গুঁড়ো দুধ, ভোজ্যতেল ও ডিমের মূল্যবৃদ্ধি
বাজারে গুঁড়ো দুধ, ভোজ্যতেল ও ডিমের দাম আবার বেড়েছে। বিভিন্ন সুযোগে দাম বাড়ানোর এই প্রবণতা রোধের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এটা বড়ই দুর্ভাগ্যজনক। সয়াবিন তেল মিলগেটে বিক্রি হবে ১০৪ টাকা আর ভোক্তাপর্যায়ে ১০৯ টাকা লিটার দরে—সরকার এই দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে গত বছরের জুলাই মাসে।
তারপর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চার দফা বৈঠক করে গত ১০ জানুয়ারি সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ওই নির্ধারিত মূল্যেই সয়াবিন তেল বিক্রি হবে। কিন্তু বাজারে এখন সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১২৪ থেকে ১২৮ টাকা দরে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা বলে এ দেশের ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দেন, কিন্তু ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বাজার এখন স্থিতিশীল রয়েছে, তার পরও কেন আমাদের ব্যবসায়ীরা বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন, এই ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। আর সরকার যদি একটা সিদ্ধান্ত নেয় এবং ব্যবসায়ীরা সেই সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে নিজেদের ইচ্ছামতো দামে তেল বিক্রি করেন, তাহলে সরকারের সিদ্ধান্তের কী অর্থ থাকে? ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করারই বা কী সুফল তাতে পাওয়া যায়?
গুঁড়ো দুধের দাম গত ১০ দিনে প্রতি কেজিতে ২৫ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে গেছে। টিসিবির হিসাবে, এক মাসে গুঁড়ো দুধের দাম বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। শিশুখাদ্যের দাম ইউনিটপ্রতি (৪০০ গ্রাম) বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এত অল্প সময়ের মধ্যে গুঁড়ো দুধ ও শিশুখাদ্যের এমন মূল্যবৃদ্ধির কী কারণ থাকতে পারে, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত। এখানে কোনো কারসাজি থাকলে তা বন্ধ করার দায়িত্বও সরকারের। দেশি ও ফার্মের মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিমের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, পোলট্রিশিল্পের অবস্থা খারাপ, ডিম উৎপাদন ও বাচ্চা ফোটানো—উভয় ক্ষেত্রেই মন্দা চলছে। এ ছাড়া শীতের কারণে মুরগি ও হাঁসের ডিম দেওয়া কমে গেছে বলেও বলা হচ্ছে। এসব কারণ বোধগম্য, কিন্তু সে কারণে কত শতাংশ হারে দাম বাড়ানো যুক্তিযুক্ত, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করার উদ্যোগ না থাকলে তাঁরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে জনজীবনে অর্থকষ্ট বাড়ানোর কারণ হন। মোদ্দা কথা, ভোগ্যপণ্যের বাজারের ওপর সরকারের নজরদারি রাখতে হবে।
গুঁড়ো দুধের দাম গত ১০ দিনে প্রতি কেজিতে ২৫ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে গেছে। টিসিবির হিসাবে, এক মাসে গুঁড়ো দুধের দাম বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। শিশুখাদ্যের দাম ইউনিটপ্রতি (৪০০ গ্রাম) বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এত অল্প সময়ের মধ্যে গুঁড়ো দুধ ও শিশুখাদ্যের এমন মূল্যবৃদ্ধির কী কারণ থাকতে পারে, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত। এখানে কোনো কারসাজি থাকলে তা বন্ধ করার দায়িত্বও সরকারের। দেশি ও ফার্মের মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিমের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, পোলট্রিশিল্পের অবস্থা খারাপ, ডিম উৎপাদন ও বাচ্চা ফোটানো—উভয় ক্ষেত্রেই মন্দা চলছে। এ ছাড়া শীতের কারণে মুরগি ও হাঁসের ডিম দেওয়া কমে গেছে বলেও বলা হচ্ছে। এসব কারণ বোধগম্য, কিন্তু সে কারণে কত শতাংশ হারে দাম বাড়ানো যুক্তিযুক্ত, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করার উদ্যোগ না থাকলে তাঁরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে জনজীবনে অর্থকষ্ট বাড়ানোর কারণ হন। মোদ্দা কথা, ভোগ্যপণ্যের বাজারের ওপর সরকারের নজরদারি রাখতে হবে।
No comments