টহলে লোকবল বাড়ানোই আশু প্রতিকার-রাজধানীতে ছিনতাই
রাজধানীতে ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের টহল বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু লোকবলস্বল্পতার কারণে পুলিশ সেটা ভালোভাবে নিশ্চিত করতে পারছে না। উপরন্তু, যেসব পুলিশ সদস্য ছিনতাইরোধের কাজে নিয়োজিত থাকেন, তাঁদের তদারকব্যবস্থাও দুর্বল।
একসময় রাজধানীতে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য ছিল। সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এখন ছোট ছোট গ্রুপ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। তাদের মতে, রাজধানীর ছিনতাই কর্মকাণ্ড বিশেষ কয়েকটি চিহ্নিত এলাকায় বেশি হয়ে থাকে। নির্জন এলাকায় ছিনতাই বেশি মাত্রায় ঘটে থাকে। অথচ পুলিশ প্রশাসনের অপরাধ দমন পরিকল্পনায় নগরের অপরাধপ্রবণ নির্জন এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পর্যাপ্ত কনস্টেবল মোতায়েনের চিন্তা ঠাঁই পায় না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরা ভালোই জানেন, নগরের সব স্থানে যত্রতত্র কিংবা নির্বিচারে ছিনতাই সংঘটনের সুযোগ সীমিত। ঘুরেফিরে একই এলাকায় প্রায় একই সময়ে ছিনতাই ঘটে। বিদ্যমান লোকবল দিয়েও বর্তমানের চেয়ে উত্তম রূপে ছিনতাই রোধ করা সম্ভব নয়।
১৪ জানুয়ারি প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কিছু ক্ষেত্রে ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে। মামলা দায়েরের ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু ছিনতাই হয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধারের চিত্র বড়ই করুণ। গত ২৭ ডিসেম্বর বংশালে গুলি করে হত্যার পর ছিনিয়ে নেওয়া ১০ লাখ টাকার মামলায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু টাকা উদ্ধার হয়নি। গত বছর প্রথম আলোতে ২৬টি বড় ধরনের ছিনতাইয়ের খবর ছাপা হয়। মাতুয়াইল, গুলশান, শ্যামপুর, শাহবাগ, চকবাজার, ধানমন্ডি, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, কাকরাইল ও পল্লবীতে সংঘটিত এসব ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই কোটি টাকার বেশি ছিনতাই হয়। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তারও রয়েছে। কিন্তু টাকা উদ্ধারের কোনো রেকর্ড নেই।
সার্বিক বিবেচনায় বলা চলে, ছিনতাই এক প্রতিকারহীন অপরাধে পরিণত হয়েছে। ছিনতাইকারীরা সেভাবে দণ্ডিতও হচ্ছে না, বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যেহেতু টাকা উদ্ধারের কোনো সম্ভাবনা নেই, তাই বাদী মামলা চালাতে তদবির করতে আগ্রহী হন না। তাই কিছুদিন পর ছিনতাইকারীরা জেল থেকে বেরিয়ে যায়। ছিনতাই অপরাধের বিচার না হওয়া প্রকারান্তরে আমাদের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার অন্তর্নিহিত গলদকেও নির্দেশ করে। পুলিশ বিভাগের সংস্কার, অপরাধের তদন্ত ও মামলা পরিচালনায় পেশাদার ব্যক্তির সমন্বয়ে স্বাধীন সংস্থা গঠন না করলে ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা মজবুত হবে না। তবে ছিনতাই প্রতিরোধে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার আওতায় পোশাক পরিহিত টহল পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোই আশু করণীয়।
১৪ জানুয়ারি প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কিছু ক্ষেত্রে ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে। মামলা দায়েরের ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু ছিনতাই হয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধারের চিত্র বড়ই করুণ। গত ২৭ ডিসেম্বর বংশালে গুলি করে হত্যার পর ছিনিয়ে নেওয়া ১০ লাখ টাকার মামলায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু টাকা উদ্ধার হয়নি। গত বছর প্রথম আলোতে ২৬টি বড় ধরনের ছিনতাইয়ের খবর ছাপা হয়। মাতুয়াইল, গুলশান, শ্যামপুর, শাহবাগ, চকবাজার, ধানমন্ডি, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, কাকরাইল ও পল্লবীতে সংঘটিত এসব ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই কোটি টাকার বেশি ছিনতাই হয়। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তারও রয়েছে। কিন্তু টাকা উদ্ধারের কোনো রেকর্ড নেই।
সার্বিক বিবেচনায় বলা চলে, ছিনতাই এক প্রতিকারহীন অপরাধে পরিণত হয়েছে। ছিনতাইকারীরা সেভাবে দণ্ডিতও হচ্ছে না, বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যেহেতু টাকা উদ্ধারের কোনো সম্ভাবনা নেই, তাই বাদী মামলা চালাতে তদবির করতে আগ্রহী হন না। তাই কিছুদিন পর ছিনতাইকারীরা জেল থেকে বেরিয়ে যায়। ছিনতাই অপরাধের বিচার না হওয়া প্রকারান্তরে আমাদের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার অন্তর্নিহিত গলদকেও নির্দেশ করে। পুলিশ বিভাগের সংস্কার, অপরাধের তদন্ত ও মামলা পরিচালনায় পেশাদার ব্যক্তির সমন্বয়ে স্বাধীন সংস্থা গঠন না করলে ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা মজবুত হবে না। তবে ছিনতাই প্রতিরোধে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার আওতায় পোশাক পরিহিত টহল পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোই আশু করণীয়।
No comments