ইসি গঠনে অনুসন্ধান কমিটি করার প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। এ ব্যাপারে আইন বা প্রজ্ঞাপন জারি করে তা কার্যকর করার সুপারিশ করেছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে তাঁর প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ২৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে দলগুলোর মতামত নিয়ে রাষ্ট্রপতি এ প্রস্তাব পাঠান।
রাষ্ট্রপতির সচিব জানান, রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটির কথা বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান হবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। সদস্যরা হবেন হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান। প্রধান বিচারপতি আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নাম প্রস্তাব করবেন। রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবে অনুসন্ধান কমিটিতে উল্লিখিত পাঁচজন ছাড়াও যথোপযুক্ত ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির সচিব প্রথম আলোকে বলেন, সংলাপে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে।
অনুসন্ধান কমিটি গঠনে রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবে খুশি হয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা। যোগাযোগ করা হলে গতকাল রাতে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, এটা সঠিক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে একটি ভালো কমিশন করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই অনুসন্ধান কমিটি গঠনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা ছিল। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সময়ও আমরা এ প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এবারের সংলাপেও এ বিষয়টি আমরা বলেছি।’
তবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবকে সাজানো ও লোক দেখানো বলে মন্তব্য করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপতি যে সার্চ কমিটি গঠনের কথা বলবেন, তা আগেই জানা ছিল। এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতা করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে। এসব কারণেই এ ধরনের সংলাপ ফলপ্রসূ হয় না।
জানা গেছে, অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে একটি রূপরেখাও রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবে রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমানে সর্বোচ্চ পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের সুযোগ রয়েছে। সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা থাকলেও দেশে এ-সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। ফলে এত দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছেন।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহ্দীন মালিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে একটা নতুন প্রস্তাব দেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, অনুসন্ধান কমিটি যাঁদের নাম প্রস্তাব করবে, তাঁদের নিয়োগের আগে তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। অন্তত ১৫ দিন জনসমক্ষে রেখে তাঁদের ব্যাপারে সবার মতামত নিতে হবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মত নেন রাষ্ট্রপতি। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সংলাপে ২৩টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
সংলাপে অধিকাংশ দলই সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করা বা অনুসন্ধান কমিটির পক্ষে মত দেয়। তবে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানায়। অবশ্য বিএনপির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের বিষয়টি সংসদের বিষয়। নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির সচিব প্রথম আলোকে বলেন, সংলাপে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে।
অনুসন্ধান কমিটি গঠনে রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবে খুশি হয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা। যোগাযোগ করা হলে গতকাল রাতে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, এটা সঠিক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে একটি ভালো কমিশন করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই অনুসন্ধান কমিটি গঠনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা ছিল। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সময়ও আমরা এ প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এবারের সংলাপেও এ বিষয়টি আমরা বলেছি।’
তবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবকে সাজানো ও লোক দেখানো বলে মন্তব্য করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপতি যে সার্চ কমিটি গঠনের কথা বলবেন, তা আগেই জানা ছিল। এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতা করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে। এসব কারণেই এ ধরনের সংলাপ ফলপ্রসূ হয় না।
জানা গেছে, অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে একটি রূপরেখাও রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবে রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমানে সর্বোচ্চ পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের সুযোগ রয়েছে। সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা থাকলেও দেশে এ-সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। ফলে এত দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছেন।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহ্দীন মালিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে একটা নতুন প্রস্তাব দেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, অনুসন্ধান কমিটি যাঁদের নাম প্রস্তাব করবে, তাঁদের নিয়োগের আগে তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। অন্তত ১৫ দিন জনসমক্ষে রেখে তাঁদের ব্যাপারে সবার মতামত নিতে হবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মত নেন রাষ্ট্রপতি। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সংলাপে ২৩টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
সংলাপে অধিকাংশ দলই সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করা বা অনুসন্ধান কমিটির পক্ষে মত দেয়। তবে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানায়। অবশ্য বিএনপির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের বিষয়টি সংসদের বিষয়। নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার।
No comments