সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ব্যানার ফেস্টুন পোস্টার by মাসুক আলতাফ চৌধুরী,

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় চলছে ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার কাজ। নিজ দায়িত্বে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা এ কাজ করছেন। এদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু করেছেন। আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন। এ সময় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া ও কুশলবিনিময়ে বাধা নেই প্রার্থীদের। তবে শোডাউন, মিছিল, সভা ও মাইকিং করা যাবে না।


এদিকে স্থানীয় একটি দৈনিকে ছবিসহ প্রার্থীর জীবনী প্রকাশকরায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আফজল খানকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রচার চালানোর অভিযোগে জামায়াত প্রার্থীর হ্যান্ডমাইক কেড়ে নিয়েছে এবং বিএনপির সম্ভাব্য এক প্রার্থীর সভা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে দলীয় সমর্থনের ব্যাপারে আফজল খান আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, নেত্রী তাকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাজ করতে বলেছেন। তিনি বলেন, দেখা করার পর নেত্রী সাবেক আইনমন্ত্রী ও বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার সাংসদ আবদুল মতিন খসরুকে ডেকে নিয়ে দক্ষিণ জেলার সব সাংসদকে বার্তাটি পেঁৗছে দিতে বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণার শেষ পর্যায়ে নির্বাচনী আচরণবিধির কথা স্মরণ করিয়ে আজ রাত ১২টার মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় সাঁটা সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার সরিয়ে নিতে বলেন। মঙ্গলবার রাত থেকে রিটার্নিং অফিসার ব্যানার-ফেস্টুন সরাতে নগরীতে মাইকিং করান। বুধবারও ওই মাইকিং চলে।
রিটার্নিং অফিসার মোঃ আবদুল বাতেন জানান, প্রার্থী বা তার সমর্থক যারাই বিলবোর্ড-ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন তারা নিজ দায়িত্বে এসব সরিয়ে নেবেন। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে সিটি প্রশাসককেও চিঠি দেওয়া হয়েছে তারা যেন সচেতনতামূলক বিলবোর্ড ও ফেস্টুন সরিয়ে নেন।
এদিকে বুধবার দুপুরে জোহরের নামাজের পর কান্দিরপাড় জামে মসজিদ থেকে জামায়াত প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ হ্যান্ডমাইক নিয়ে প্রচারে নামেন। এ সময় পুলিশ তার হ্যান্ডমাইক নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাদেক জানান, মঙ্গলবার রাতে নগরীর গর্জনখোলা রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর সভা চলছিল। তাতে মাইক ও সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা হয়। রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে সে সভা ভেঙে দেওয়া হয়। ব্যবহৃত সাউন্ডবক্স জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

No comments

Powered by Blogger.