শেরি রেহমান যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের নতুন দূত
যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শেরি রেহমান। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি শেরিকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি হুসেইন হাক্কানির স্থলাভিষিক্ত হবেন। গোপন নথি নিয়ে বিতর্কের সূত্র ধরে ওয়াশিংটনে নিয়োজিত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল এ কথা জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্ষমতাকে সীমিত করার বিষয়ে পেন্টাগনের কাছে সাহায্য চেয়ে নথি পাঠানোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাক্কানি পদত্যাগ করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। সম্প্রতি মার্কিন ব্যবসায়ী মনসুর ইজাজ ওই চিঠির ব্যাপারটি জনসমক্ষে আনেন। শেরির নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখপাত্র আকরাম শাহিদি গতকাল বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানি দূতাবাসে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে শেরিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।' শেরির নিয়োগে মানবাধিকারকর্মীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শেরি দেশটির প্রথম নারী তথ্যমন্ত্রী ছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের সময় পদচ্যুত হওয়া বিচারপতিদের পুনর্বহালের ব্যাপারে সৃষ্ট জটিলতার মুখে ২০০৯ সালের মার্চে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন তিনি। পাকিস্তানের অন্যতম সংস্কারমুক্ত রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত শেরি একসময় সাংবাদিকতাও করেছেন। নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ে বরাবরই সোচ্চার তিনি। ধর্ম অবমাননা নিরোধ (ব্লাসফেমি) আইন সংস্কারের পক্ষে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় মৌলবাদীদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন শেরি। প্রসঙ্গত, গত মে মাসে বিন লাদেন হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের কাছ থেকে সেনাবাহিনী ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পারে বলে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি 'আশঙ্কা' করেন। এ অবস্থায় মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর তৎকালীন প্রধান অ্যাডমিরাল মাইক মুলেনের কাছে সাহায্য চেয়ে একটি চিঠি পাঠান জারদারি। এর সঙ্গে হাক্কানি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র : ডন, এএফপি, পিটিআই।
No comments