সিরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাব পাস

রকারবিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোয় সিরিয়ার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটিতে এ নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবকে অর্থহীন বলে মন্তব্য করেছে সিরিয়া। খবর : এএফপি ও আলজাজিরা অনলাইনের।জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটিতে উত্থাপিত এ নিন্দা প্রস্তাবে সমর্থন দেয় পশ্চিমা এবং কয়েকটি আরব দেশ। খসড়াটি তৈরি করে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি।


কমিটিতে ভোটাভুটিতে নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১২২, বিপক্ষে ১৩টি। এ ছাড়া ভোটদানে বিরত থাকে চীন ও রাশিয়াসহ ৪১টি দেশ। আরব দেশগুলোর মধ্যে বাহরাইন, জর্ডান, কুয়েত, মরক্কো, কাতার, সৌদি আরব এবং মিসর প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।
নিন্দা প্রস্তাবের সমালোচনা করে জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরীয় রাষ্ট্রদূত বাশার জাফরি বলেন, এ প্রস্তাব তার দেশের জন্য অর্থহীন। এটিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রণোদিত একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যদিও প্রস্তাবটি তিনটি ইউরোপীয় দেশ উত্থাপন করেছে, কিন্তু এর পেছনে মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বাশার আল আসাদের সরকারকে উৎখাত করার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করে তিনি প্রমাণস্বরূপ কিছু কাগজও দেখান। চীন এ প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেছে, অন্য একটি দেশের সমস্যা সমাধানে এ ধরনের প্রস্তাব কোনো কাজে আসবে না। বিভিন্ন সংস্থার মতে, সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর হাতে মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার লোক নিহত হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়িপ এরদোগান আবারও প্রতিবেশী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশারকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। এতে তিনি লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি, ইতালির একনায়ক মুসোলিনি ও জার্মানির একনায়ক এডলফ হিটলারের ভয়ঙ্কর পরিণতির কথাও বাশারকে স্মরণ করে দেন। তারা সবাই নিজের লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন এরদোগান। গত সপ্তাহে প্রতিবেশী জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহও বাশারকে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
৫ শহরে নিহত ৩৩ :মঙ্গলবার সিরিয়ার ৫টি শহরে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে হোমস শহরে ১২, হামায় ৮, ইদলিবে ৬, দারায় ৪ এবং দেরইজারে ৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫ জন পক্ষত্যাগী সেনাসদস্য এবং ছয় শিশু ও কিশোরও রয়েছে। শহরগুলোতে স্থাপিত তল্লাশি চৌকি থেকে সেনাদের নির্বিচারে চালানো গুলিতে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে। বুধবার দ্য লোকাল কো-অর্ডিনেশন কমিটিস (এলসিসি) ও ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.