চিঠিপত্র-জনগণের ভালোবাসার শক্তির জয়
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয় হয়েছে মানুষের ভালোবাসার শক্তির। অন্যদিকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী অবিস্মরণীয় বিজয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হয়ে সৃষ্টি করলেন নতুন ইতিহাস। তবে আমার প্রত্যাশা, বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল, প্রধান বিরোধী দলসহ নাসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে কাজ করবেন। আর রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমার অনুরোধ,
নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রার্থী মনোনয়নের পদ্ধতি না থাকলেও এখন এটি প্রায় রীতিতে পরিণত হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে জনগণ অধিকার ও উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য হয়। তাই জনতার এ রায় থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত, যেন রাজনৈতিক দলের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সাধারণ মানুষকে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে সুচিন্তিত মতামত প্রদানে বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই তারা যেন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারেন। যেন কথিত সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ বা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির নামে দেশে অহেতুক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয়।
সুমিত বণিক
উন্নয়নকর্মী, কিশোরগঞ্জ
কোরবানি-পরবর্তী পরিচ্ছন্নতা
ঈদুল আজহায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মুসলমানরা পশু কোরবানির পাশাপাশি মনের অহঙ্কারকে কোরবানি দেন। আমাদের দেশে (বিশেষ করে শহরাঞ্চলে) তেমন কোনো খোলা জায়গা চোখে পড়ে না, যেখানে পশু কোরবানি দেওয়া যায়। যার কারণে বাধ্য হয়ে মানুষ রাস্তায় পশু কোরবানি দেয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোরবানির পর ওই জায়গাটি ভালো করে ধোয়া হয় না ও উচ্ছিষ্টগুলো মাটিতে পুঁতে না ফেলে উন্মুক্তভাবে ডাস্টবিনে ফেলে রাখা হয়। ফলে পরিবেশ যেমন দূষিত হয়, তেমনি চলাচলের সময় জনসাধারণকে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়। ঈদের আগে রেডিও, টেলিভিশন ও বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম কোরবানি-পূববর্তী ও পরবর্তী করণীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা অনেকে মানে না। কোরবানি-পরবর্তী পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশন ও প্রচারমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সনেট দেব
চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম
পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস
১৯৬৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ছোট-বড় পাহাড়ের কোলঘেঁষে প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে প্রায় ১১৭টি পরিবার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ১৫ বছরে প্রায় ৪০টি পাহাড় কেটে চবিতে এসব বসতি স্থাপন করা হয়েছে। অত্যধিক মৃত্যুঝুঁকিতে থাকা এসব পাহাড়ে গত ১৫ বছরে মারা গেছে তিন শতাধিক মানুষ। এ ছাড়াও প্রতিবছর নগরীর কোথাও না কোথাও পাহাড় ধসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষেরা প্রতিনিয়ত মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে এসব পাহাড়ে বসবাস করছে। ফলে চট্টগ্রামের পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি বনায়ন করার নামে সরকারের কাছ থেকে পাহাড়গুলো ইজারা নিয়ে প্লটবাণিজ্য শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাহাড় সংরক্ষণ তদন্ত কমিটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাহাড় ছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীতে ১৬টি পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০০৯ সালে পরিবেশ অধিদফতর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী ৩০টি পাহাড় চিহ্নিত করে এবং পাহাড়ধস প্রতিরোধে বেশ কিছু সুপারিশ করে। অভিযোগ রয়েছে, তদন্তে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে আসায় পুলিশ কিংবা পরিবেশ অধিদফতর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তাই সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অতিসত্বর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সে সঙ্গে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পলাশ চৌধুরী
শিক্ষার্থী, চবি
সুমিত বণিক
উন্নয়নকর্মী, কিশোরগঞ্জ
কোরবানি-পরবর্তী পরিচ্ছন্নতা
ঈদুল আজহায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মুসলমানরা পশু কোরবানির পাশাপাশি মনের অহঙ্কারকে কোরবানি দেন। আমাদের দেশে (বিশেষ করে শহরাঞ্চলে) তেমন কোনো খোলা জায়গা চোখে পড়ে না, যেখানে পশু কোরবানি দেওয়া যায়। যার কারণে বাধ্য হয়ে মানুষ রাস্তায় পশু কোরবানি দেয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোরবানির পর ওই জায়গাটি ভালো করে ধোয়া হয় না ও উচ্ছিষ্টগুলো মাটিতে পুঁতে না ফেলে উন্মুক্তভাবে ডাস্টবিনে ফেলে রাখা হয়। ফলে পরিবেশ যেমন দূষিত হয়, তেমনি চলাচলের সময় জনসাধারণকে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়। ঈদের আগে রেডিও, টেলিভিশন ও বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম কোরবানি-পূববর্তী ও পরবর্তী করণীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা অনেকে মানে না। কোরবানি-পরবর্তী পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশন ও প্রচারমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সনেট দেব
চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম
পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস
১৯৬৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ছোট-বড় পাহাড়ের কোলঘেঁষে প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে প্রায় ১১৭টি পরিবার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ১৫ বছরে প্রায় ৪০টি পাহাড় কেটে চবিতে এসব বসতি স্থাপন করা হয়েছে। অত্যধিক মৃত্যুঝুঁকিতে থাকা এসব পাহাড়ে গত ১৫ বছরে মারা গেছে তিন শতাধিক মানুষ। এ ছাড়াও প্রতিবছর নগরীর কোথাও না কোথাও পাহাড় ধসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষেরা প্রতিনিয়ত মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে এসব পাহাড়ে বসবাস করছে। ফলে চট্টগ্রামের পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি বনায়ন করার নামে সরকারের কাছ থেকে পাহাড়গুলো ইজারা নিয়ে প্লটবাণিজ্য শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাহাড় সংরক্ষণ তদন্ত কমিটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাহাড় ছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীতে ১৬টি পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০০৯ সালে পরিবেশ অধিদফতর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী ৩০টি পাহাড় চিহ্নিত করে এবং পাহাড়ধস প্রতিরোধে বেশ কিছু সুপারিশ করে। অভিযোগ রয়েছে, তদন্তে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে আসায় পুলিশ কিংবা পরিবেশ অধিদফতর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তাই সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অতিসত্বর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সে সঙ্গে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পলাশ চৌধুরী
শিক্ষার্থী, চবি
No comments