চিঠিপত্র-ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ
গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি নতুন কিছু নয়। কিন্তু সমন্বয়হীন ভাড়া বৃদ্ধিতে যাত্রীসাধারণের এখন মরণ দশা। দেখা যায়, সরকার যদি প্রতি কিলোমিটারে ৩৫ পয়সা ভাড়া বাড়ায়, পরিবহন মালিকরা বাড়ান ২ থেকে ৩ টাকা। বৈষম্যের একটি দৃষ্টান্ত দেওয়া যাক_ গোড়ান বা সিপাইবাগ থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত সিএনজিচালিত গণপরিবহনে বর্তমানে ভাড়া রাখা হচ্ছে জনপ্রতি ১৪ টাকা। খিলগাঁও রেলগেট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়া ১২ টাকা। খিলগাঁও রেলগেট থেকে
ফকিরেরপুল পর্যন্ত ভাড়া ৫ টাকা। একই স্থান থেকে দৈনিক বাংলার ভাড়া ৮ টাকা। বর্তমান দফায় ভাড়া বৃদ্ধির আগে ফকিরেরপুলের ভাড়া ৫ টাকাই ছিল। আর দৈনিক বাংলা পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৬ টাকা। সে হিসাবে খিলগাঁও থেকে দৈনিক বাংলা পর্যন্ত ভাড়া বেড়েছে ৩ টাকা। ভাড়া বৃদ্ধির এই চিত্রের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পরিবহনে টানানো বিজ্ঞপ্তি দেখে বোঝা যায়, গোড়ান মালিক-শ্রমিক সংগঠন থেকে এটি করা হয়েছে। যা হোক, বৈষম্যের বিষয়টি থেকে আপাতত মুক্তির দেখা মিলছে না বলেই মনে হয়। এর বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ করা জরুরি। প্রতিবাদ হিসেবে হাঁটার অভ্যাস করলে অতিরিক্ত ভাড়া প্রদান থেকেও আমরা বাঁচতে পারি। যেমন_ ফকিরেরপুল থেকে দৈনিক বাংলা পর্যন্ত এক কি দেড় কিলোমিটারের এই পথটিতে অতিরিক্ত ৩ টাকা ভাড়া না দিয়ে ফকিরেরপুল নেমে হেঁটে দৈনিক বাংলা পর্যন্ত যাওয়া যেতে পারে। যেহেতু ভাড়া নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষরা অসহায়, তাই আসুন এর প্রতিবাদস্বরূপ দিনে অল্প পরিমাণে হলেও পরিবহন ত্যাগ করে হাঁটার অভ্যাস করি।
বোরহান বিশ্বাস
ঢাকা
ভারতের টিপাইমুখ চুক্তি
ভারতের টিপাইমুখ চুক্তিটি কোনো কোনো পত্রিকার মতে এ বছরের ফেব্রুয়ারি আবার কোনোটির মতে, ২২ অক্টোবরে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ খবর নিশ্চয়ই ভারতের জাতীয় বা আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোতে ছাপা হয়েছে। ভারতের দিলি্ল ও কলকাতায় আমাদের দূতাবাসগুলো কূটনৈতিকভাবে না হোক পত্রিকার মাধ্যমেও কি খবরটি পেল না? এত বড় মেগা প্রকল্পের চুক্তি চুপিসারে হতে পারে না। দূতাবাসগুলোর মূল কর্মকাণ্ডই তো হলো দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে। তা হলে তারা কী করছেন? সরকারকে এভাবে বিব্রতের মুখোমুখি করার হেতু কী? এসব অবহেলার জন্য হয়তো কাউকে জবাবদিহি করতে হবে না; কিন্তু জনগণের তো জানার অধিকার আছে তাদের কর্মকাণ্ডের? এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নেয় তার অপেক্ষায় রইলাম।
নজরুল খান
ঢাকা
বাল্যবিয়ে, জুয়া ও মাদকমুক্ত গ্রাম চাই
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু থানাধীন চাঁদপুর একটি জনবহুল গ্রাম। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে এ গ্রামটি থানার মধ্যে বিশেষ অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে এ গ্রামটি শিক্ষাক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রসর হচ্ছে। ঢাবি, রাবি, জবি, ইবি, বুয়েট, ডুয়েটসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এ গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতলবিশিষ্ট একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি মসজিদ ও হরিণাকুণ্ডু থানার সর্ববৃহৎ সামগ্রিক কবরস্থান রয়েছে, রয়েছে নিজস্ব বাজার ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে জেলা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের এ গ্রামটিতে সম্প্রীতির অভাব ছিল না; কিন্তু সাম্প্রতিককালে বাল্যবিয়ে, জুয়াখেলা, মাদক সেবন ও ব্যবসার প্রসার ঘটায় সামগ্রিক পরিবেশের অবনতি ঘটছে। মুক্তা, সাথী, সোনালীসহ আরও অনেক নাবালিকা বাল্যবিয়ের অভিশাপে অভিশপ্ত, মুক্তা ও সাথী এখন তালাকপ্রাপ্ত হয়ে বাবার বাড়িতে, সোনালিও প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলছে। আর মাদক ও জুয়াখেলার অবস্থা আরও ভয়াবহ। সন্ধ্যার পর থেকে নদীর ওপারে চলে মাদকের আড্ডা। গ্রামের যুবসমাজ হাত বাড়ালেই পাচ্ছে বাংলা মদ, গাঁজা, তাড়ি ইত্যাদি মরণ নেশার উপকরণ। এ ছাড়া জুয়াখেলার অর্থ জোগাতে অনেকে চুরিসহ অনেক গর্হিত কাজে জড়িয়ে পড়ছে। জনস্বার্থসংশিল্গষ্ট এ বিষয়টিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মাহবুব হাসান
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বোরহান বিশ্বাস
ঢাকা
ভারতের টিপাইমুখ চুক্তি
ভারতের টিপাইমুখ চুক্তিটি কোনো কোনো পত্রিকার মতে এ বছরের ফেব্রুয়ারি আবার কোনোটির মতে, ২২ অক্টোবরে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ খবর নিশ্চয়ই ভারতের জাতীয় বা আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোতে ছাপা হয়েছে। ভারতের দিলি্ল ও কলকাতায় আমাদের দূতাবাসগুলো কূটনৈতিকভাবে না হোক পত্রিকার মাধ্যমেও কি খবরটি পেল না? এত বড় মেগা প্রকল্পের চুক্তি চুপিসারে হতে পারে না। দূতাবাসগুলোর মূল কর্মকাণ্ডই তো হলো দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে। তা হলে তারা কী করছেন? সরকারকে এভাবে বিব্রতের মুখোমুখি করার হেতু কী? এসব অবহেলার জন্য হয়তো কাউকে জবাবদিহি করতে হবে না; কিন্তু জনগণের তো জানার অধিকার আছে তাদের কর্মকাণ্ডের? এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নেয় তার অপেক্ষায় রইলাম।
নজরুল খান
ঢাকা
বাল্যবিয়ে, জুয়া ও মাদকমুক্ত গ্রাম চাই
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু থানাধীন চাঁদপুর একটি জনবহুল গ্রাম। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে এ গ্রামটি থানার মধ্যে বিশেষ অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে এ গ্রামটি শিক্ষাক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রসর হচ্ছে। ঢাবি, রাবি, জবি, ইবি, বুয়েট, ডুয়েটসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এ গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতলবিশিষ্ট একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি মসজিদ ও হরিণাকুণ্ডু থানার সর্ববৃহৎ সামগ্রিক কবরস্থান রয়েছে, রয়েছে নিজস্ব বাজার ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে জেলা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের এ গ্রামটিতে সম্প্রীতির অভাব ছিল না; কিন্তু সাম্প্রতিককালে বাল্যবিয়ে, জুয়াখেলা, মাদক সেবন ও ব্যবসার প্রসার ঘটায় সামগ্রিক পরিবেশের অবনতি ঘটছে। মুক্তা, সাথী, সোনালীসহ আরও অনেক নাবালিকা বাল্যবিয়ের অভিশাপে অভিশপ্ত, মুক্তা ও সাথী এখন তালাকপ্রাপ্ত হয়ে বাবার বাড়িতে, সোনালিও প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলছে। আর মাদক ও জুয়াখেলার অবস্থা আরও ভয়াবহ। সন্ধ্যার পর থেকে নদীর ওপারে চলে মাদকের আড্ডা। গ্রামের যুবসমাজ হাত বাড়ালেই পাচ্ছে বাংলা মদ, গাঁজা, তাড়ি ইত্যাদি মরণ নেশার উপকরণ। এ ছাড়া জুয়াখেলার অর্থ জোগাতে অনেকে চুরিসহ অনেক গর্হিত কাজে জড়িয়ে পড়ছে। জনস্বার্থসংশিল্গষ্ট এ বিষয়টিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মাহবুব হাসান
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
No comments