ঝিনাইগাতী যেন 'সতিন'
বঞ্চনার যেন শেষ নেই। ঝিনাইগাতী চির অবহেলিত। শেরপুর-৩ আসনটি শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা নিয়ে গঠিত হলেও এমপি নির্বাচিত হয়েছে সব সময় শ্রীবরদী থেকে। বড় কোনো দলই ঝিনাইগাতী থেকে এমপি মনোনয়ন না দেওয়ায় এই উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্য থেকে কেউ অদ্যাবধি জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাননি। আর স্বভাবতই এমপিরা শ্রীবরদীর বাসিন্দা হওয়ায় তাঁদের নজর সব সময় সেদিকেই বেশি থাকে।
জেলায় গত এক বছরে এমপিদের সুপারিশে ১১৯ কোটি টাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু ঝিনাইগাতী উপজেলায় এক টাকাও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ২০০২ সালে সব উপজেলা সদর পৌরসভায় উন্নীত হলেও ঝিনাইগাতী পৌরসভা হয়নি। কোনো সরকারি স্কুল-কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ২০০৬ সালে নির্বাচনের প্রাক্কালে ঝিনাইগাতী সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে দাবি উঠেছিল ঝিনাইগাতী থেকে এমপি নির্বাচনে একক প্রার্থী দেওয়ার। সেই দাবি এখন আবার সাধারণের মধ্যে নাড়া দিয়ে উঠছে। ঝিনাইগাতীবাসী তাদের বঞ্চনা আর অবহেলা ঘুচাতে আগামী নির্বাচনে বড় দলগুলোর কাছে ঝিনাইগাতী থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার আওয়াজ তুলছে।
শ্রীবরদী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম দুলাল ঝিনাইগাতীবাসীর দাবিকে যৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করলেও ঝিনাইগাতীতে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতার অভাব রয়েছে বলে জানান। এটা গড়ে উঠলে কেউ প্রার্থী মনোনয়ন ঠেকাতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এস এ ওয়ারেজ নাঈম জানান, ঝিনাইগাতীবাসী বঞ্চিত। স্থানীয় লোকজন বড় দলের কাছে প্রার্থী চায়। আওয়ামী লীগ ঝিনাইগাতী থেকে প্রার্থী দিলে আগামী নির্বাচনে তাঁর বিজয় সুনিশ্চিত।
অপরদিকে, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেন, 'আমরা বড় দুই দলের কাছে ঝিনাইগাতীর প্রার্থী চাই। বড় দুই দল থেকে ঝিনাইগাতীর প্রার্থী যাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেন, আমরা সবাই দলমতের ঊধর্ে্ব উঠে তাঁর পক্ষে থাকব। আমি নিজেও আমার দলের কাছে মনোনয়ন চাইব।'
No comments