হকির নতুন কমিটি নিয়েও আপত্তি
সাধারণ সম্পাদক এবং দুই যুগ্ম সম্পাদকের কক্ষের বাইরের নামফলক তুলে ফেলা হয়েছে। নতুন নাম বসবে সেখানে। চলছে ধোয়া-মোছাও। পরশু ঘোষিত নতুন কমিটিকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় হকি ফেডারেশন। কিন্তু নতুন কমিটি কি পারবে মৃতপ্রায় বাংলাদেশের হকিকে জাগিয়ে তুলতে?
শুরুতেই সংশয় দেখা দিয়েছে। নতুন কমিটির সবাই কোথায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হকির সুদিন ফিরিয়ে আনার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বেন, উল্টো শোনা যাচ্ছে অনৈক্যের সুর। হকি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল বারী আগের নির্বাচিত কমিটিতে ছিলেন, আছেন ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত নতুন কমিটিতেও। তিনিও কমিটি নিয়ে খুশি নন, ‘আগের কমিটির পদত্যাগের পর আলোচনার ভিত্তিতে শক্তিশালী কমিটির প্রত্যাশা ছিল। সেটি হয়নি। কমিটিতে সাদেক ভাইকে ৪ নম্বর সহসভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। ৫ নম্বর সহসভাপতি আহসান কবীরসহ আরও কয়েকজনকে তো চিনিই না। তাই নতুন কমিটির সাফল্য নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে আমার।’
কমিটির পাঁচ সহসভাপতির ১ থেকে ৫ নম্বর পর্যন্ত ক্রম আছে। প্রথম চারজন হলেন খোন্দকার জামিলউদ্দিন, কে এম আর মঞ্জুর, সাজেদ আদেল ও আবদুস সাদেক। হকি অঙ্গনের প্রায় সবাই অভিন্ন সুরে বলছেন, ১ নম্বর সহসভাপতি করা উচিত ছিল বাংলাদেশের হকির বড় তারকা আবদুস সাদেককে।
হকি ফেডারেশনের প্রথম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক অবশ্য কমিটিতে থাকতেই আগ্রহী নন, ‘২৫ বছর আগেই হকি ফেডারেশন ছেড়ে স্বেচ্ছায় চলে এসেছি। আর যেতে ইচ্ছুক নই। গেলেও অস্বস্তিতে থাকব। কমিটিটা আরও সুন্দর হতে পারত। তবে আমি চাই, খেলাটা মাঠে ফিরে আসুক।’
সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদ আদেলেরও আপত্তি আছে, ‘অন্তত প্রিমিয়ারের ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি করলে ভালো হতো। তা ছাড়া সাদেক ভাইয়ের মতো ব্যক্তিত্ব ৪ নম্বর সহসভাপতি হতে পারেন না। আগের কমিটি অযোগ্য হলে সেই কমিটির ১৪-১৫ জনকে কমিটিতে রাখা কেন? তাঁদের তো পুরস্কৃতই করা হলো। আশা করি, দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হবে।’
তবে খোন্দকার জামিলউদ্দিন তাঁর কমিটির ১৪-১৫ জনকে নতুন কমিটিতে দেখে বলছেন, ‘আমরা যোগ্য ছিলাম এবং কাজ করেছি, এই কমিটিতে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে সেটিই প্রমাণিত হয়েছে।’
সদ্য গঠিত কমিটির সদস্য আবদুর রশিদ বিস্মিত এই ভেবে, ‘হকির মূল সমস্যা অনৈক্য। তাই আলাপ-আলোচনার খুব দরকার ছিল। সেটি না হওয়া হতাশার। ঢাকার বাইরে হকি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান রাজশাহীর কেউ নেই এই কমিটিতে। এটা কেমন কমিটি হলো?’
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক শাহাবুদ্দিন চাকলাদার তবু আশায় থাকতে চান, ‘নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানাতে হয়। কিন্তু সহসভাপতির তালিকা দেখে ভালো লাগেনি। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রহমতউল্লার প্রতি শুভকামনা থাকবে। তিনি নিশ্চয়ই চেষ্টা করবেন কিছু করতে। তবে ক্লাবগুলোকে কতটা ম্যানেজ করতে পারবেন, জানি না। পাশাপাশি ঐক্যের অভাবও কমিটির সামনে বড় বাধা।’
শুরুতেই সংশয় দেখা দিয়েছে। নতুন কমিটির সবাই কোথায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হকির সুদিন ফিরিয়ে আনার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বেন, উল্টো শোনা যাচ্ছে অনৈক্যের সুর। হকি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল বারী আগের নির্বাচিত কমিটিতে ছিলেন, আছেন ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত নতুন কমিটিতেও। তিনিও কমিটি নিয়ে খুশি নন, ‘আগের কমিটির পদত্যাগের পর আলোচনার ভিত্তিতে শক্তিশালী কমিটির প্রত্যাশা ছিল। সেটি হয়নি। কমিটিতে সাদেক ভাইকে ৪ নম্বর সহসভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। ৫ নম্বর সহসভাপতি আহসান কবীরসহ আরও কয়েকজনকে তো চিনিই না। তাই নতুন কমিটির সাফল্য নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে আমার।’
কমিটির পাঁচ সহসভাপতির ১ থেকে ৫ নম্বর পর্যন্ত ক্রম আছে। প্রথম চারজন হলেন খোন্দকার জামিলউদ্দিন, কে এম আর মঞ্জুর, সাজেদ আদেল ও আবদুস সাদেক। হকি অঙ্গনের প্রায় সবাই অভিন্ন সুরে বলছেন, ১ নম্বর সহসভাপতি করা উচিত ছিল বাংলাদেশের হকির বড় তারকা আবদুস সাদেককে।
হকি ফেডারেশনের প্রথম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক অবশ্য কমিটিতে থাকতেই আগ্রহী নন, ‘২৫ বছর আগেই হকি ফেডারেশন ছেড়ে স্বেচ্ছায় চলে এসেছি। আর যেতে ইচ্ছুক নই। গেলেও অস্বস্তিতে থাকব। কমিটিটা আরও সুন্দর হতে পারত। তবে আমি চাই, খেলাটা মাঠে ফিরে আসুক।’
সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদ আদেলেরও আপত্তি আছে, ‘অন্তত প্রিমিয়ারের ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি করলে ভালো হতো। তা ছাড়া সাদেক ভাইয়ের মতো ব্যক্তিত্ব ৪ নম্বর সহসভাপতি হতে পারেন না। আগের কমিটি অযোগ্য হলে সেই কমিটির ১৪-১৫ জনকে কমিটিতে রাখা কেন? তাঁদের তো পুরস্কৃতই করা হলো। আশা করি, দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হবে।’
তবে খোন্দকার জামিলউদ্দিন তাঁর কমিটির ১৪-১৫ জনকে নতুন কমিটিতে দেখে বলছেন, ‘আমরা যোগ্য ছিলাম এবং কাজ করেছি, এই কমিটিতে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে সেটিই প্রমাণিত হয়েছে।’
সদ্য গঠিত কমিটির সদস্য আবদুর রশিদ বিস্মিত এই ভেবে, ‘হকির মূল সমস্যা অনৈক্য। তাই আলাপ-আলোচনার খুব দরকার ছিল। সেটি না হওয়া হতাশার। ঢাকার বাইরে হকি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান রাজশাহীর কেউ নেই এই কমিটিতে। এটা কেমন কমিটি হলো?’
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক শাহাবুদ্দিন চাকলাদার তবু আশায় থাকতে চান, ‘নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানাতে হয়। কিন্তু সহসভাপতির তালিকা দেখে ভালো লাগেনি। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রহমতউল্লার প্রতি শুভকামনা থাকবে। তিনি নিশ্চয়ই চেষ্টা করবেন কিছু করতে। তবে ক্লাবগুলোকে কতটা ম্যানেজ করতে পারবেন, জানি না। পাশাপাশি ঐক্যের অভাবও কমিটির সামনে বড় বাধা।’
No comments