বিদ্রোহের আগেই নজরদারিতে ছিলেন সিপাহি সেলিম by সাহাদাত হোসেন পরশ
বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদর দফতর পিলখানায় বিদ্রোহের চার দিন আগেই (২০০৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি) উদ্ধার করা হয়েছিল একটি লিফলেট। লিফলেট উদ্ধারের পর ওই দিন থেকেই গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছিল বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক সিপাহী সেলিম রেজাকে। লিফলেট বিতরণের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে নজরদারিতে রাখা হয়। লিফলেট উদ্ধারের পর বিডিআরের গোয়েন্দা ইউনিটের (রাইফেলস সিকিউরিটি ইউনিট, আরএসইউ) সেনা
কর্মকর্তারা বিষয়টি তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমদকে জানান। প্রথমে একটি পাল্টা লিফলেট পিলখানায় ছড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও পরে ডিজির নির্দেশে তা বাতিল করা হয়। ডিজি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন, যারা লিফলেট বিতরণের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ২৫ ফেব্রুয়ারি দরবার হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল বুধবার আদালতে সাক্ষ্য দেন রাইফেলস সিকিউরিটি ইউনিটের ওয়েস্টার্ন ডেস্ক কর্মকর্তা মেজর আরএমএস আসাদ-উদ-দৌলা। সাক্ষীর বক্তব্য ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরায় এসব তথ্য উঠে আসে।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরা করেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আদালত মুলতবি করা হয়।
বিচার কার্যক্রম চলাকালে গতকাল আদালতে সরকার ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল হয়েছে। আসামিপক্ষের এক আইনজীবী আদালতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ তোলেন। আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী বলেন,
'আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে বিডিআর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে (সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুুল কাহার আকন্দ) গোল্ড মেডেল দেওয়া হবে। আসামিপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর ভুঁইয়া বলেন, বিদ্রোহের আগে লিফলেট পাওয়ার পরও আরএসইউ'র সদস্যরা বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করতে না পারায় এত বড় ঘটনা ঘটেছে। তবে এমন বক্তব্য সঠিক নয় বলে দাবি করেন সাক্ষী আসাদ-উদ-দৌলা।
সাক্ষীর বক্তব্য :বিডিআর হত্যা মামলার সাক্ষী আসাদ-উদ-দৌলা জানান, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত পিলখানা বিদ্রোহের চার দিন আগে একটি লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছিল। আরএসইউর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর শাহনেওয়াজের মাধ্যমে লিফলেট উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পারেন আসাদ। এর পর বিষয়টি আরএসইউর অধিনায়ক ও বিডিআরের তৎকালীন ডিজিকে জানানো হয়েছিল। লিফলেট তৈরি করে সিপাহী সেলিম রেজা, মাঈন, ল্যান্সনায়েক একরাম। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় রাজধানীর ফার্মগেটে কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট কাজী আসাদ বিডিআরে কর্মরত এক সেনা কর্মকর্তাকে জানান, ওই এলাকায় একটি লিফলেট পাওয়া গেছে। ওই লিফলেটের সঙ্গে পিলখানায় পাওয়া লিফলেটের মিল ছিল। বিদ্রোহ শুরু হলে দরবার হলের জানালা দিয়ে বের হন আসাদ। এর পর দেওয়াল টপকে ধানমণ্ডিতে তার ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। সেখান থেকে বিষয়টি তৎকালীন আর্মি ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের প্রধানকে জানিয়ে সাহায্য চান আসাদ।
পাল্টা লিফলেট বিতরণের সিদ্ধান্ত :লিফলেট উদ্ধারের বিষয়টি জানার পর তৎকালীন ডিজি ৬টি বিষয় উল্লেখ করে পাল্টা লিফলেট তৈরি করার নির্দেশ দেন। এগুলো হলো_ সৈনিকদের রেশন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়, সৈনিকদের মধ্যে অপারেশন ডাল-ভাত কর্মসূচির টাকা বণ্টন, বিওপির উন্নতি, সৈনিকদের আর্থিক অনুদান ও চিকিৎসাসেবা, বিডিআর স্কুলে সৈনিকদের সন্তানদের কোটা বাড়ানো ও সৈনিকদের স্বার্থে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ। পরে ডিজির নির্দেশেই পাল্টা লিফলেট তৈরি করা হয়নি।
আদালতে হট্টগোল :বিচার কার্যক্রম চলাকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম সরদার বলেন, খাবার, বাসস্থান, ডাল-ভাত কর্মসূচির টাকাসহ নানা ধরনের বৈষম্য থেকে বিডিআর বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে জেরা করায় সরকারপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর পর বিচারক ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হক বলেন, প্রাসঙ্গিক বিষয়ে জেরা করুন। এর পর আইনজীবী বলেন, এভাবে আদালত পরিচালিত হলে অনাস্থা না দিয়ে কোনো উপায় থাকবে না। উত্তরে আদালত বলেন, ত্রিশ বছর চাকরি করে এ জায়গায় এসেছি। অনাস্থা দেন না কেন? অ্যাডভোকেটরা অন-পেমেন্ট লোক। আসবেন আর বলে দিলেন? মনে রাখবেন, কত সময় নষ্ট করলেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এটা ঠিক, জওয়ানদের মধ্যে অনেক বেদনা, কষ্ট, ক্ষোভ ও বঞ্চনা ছিল। তবে ক্ষোভ থেকে তো খুন করা যাবে না। আদালত বলেন, এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুনের ঘটনা। আপনারা যেভাবে জেরা করছেন, তাতে খুনের তথ্য কোথায়? বিদ্রোহ হলো আর দেওয়াল টপকালো_ এখন পর্যন্ত এসব পাচ্ছি।
সাক্ষীকে জেরা :আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষী আসাদ-উদ-দৌলাকে প্রশ্ন করেন, লিফলেট পাওয়ার পর কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? উত্তরে সাক্ষী বলেন, তিন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এগুলো হলো_ যারা জড়িত ছিল তাদের খুঁজে বের করা, অফিসারদের অস্ত্রাগারের দায়িত্ব দেওয়া ও দরবার হলের নিরাপত্তা বাড়ানো। কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগারের দায়িত্বে ছিলেন মেজর রিয়াজ ও সেক্টর অস্ত্রাগারের দায়িত্বে ছিলেন মেজর সালাম। আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, পিলখানা বিদ্রোহের কিছু দিন আগে জনৈক মেজর মাহবুব বিডিআরের তৎকালীন ডিজি ও তার স্ত্রীর অবৈধ ৮শ' কোটি টাকা পাচার করার সময় জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়েন। পরে তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের হস্তক্ষেপে ওই সেনা কর্মকর্তাকে সেনা সদর দফতরে ডেকে নেওয়া হয়। উত্তরে সাক্ষী বলেন, এটা একটা গুজব ছিল। ৮শ' নয়, ছিল ৬শ' কোটি পাচারের গুজব। এ সময় কাঠগড়ায় আসামিরা চিৎকার করে ওঠে। আইনজীবী বলেন, টাকা পাচারের ঘটনায় সেনা সদর দফতরে মইন ইউ আহমেদ ও বিডিআরের তৎকালীন ডিজির গ্রুপ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায়। সাক্ষীর উত্তর ছিল, সত্য নয়। দু'গ্রুপ সেনা কর্মকর্তাদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে পিলখানায় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে সাধারণ সিপাহীরা জড়িত ছিল না। লিফলেট বিতরণ ছিল বিবদমান একটি গ্রুপের কাজ। উত্তরে সাক্ষী বলেন, সঠিক নয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, লিফলেট বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছিল? উত্তরে সাক্ষী বলেন, এটা আমার এখতিয়ার নয়। আসামিপক্ষের এক আইনজীবী সাক্ষীকে বলেন, আপনাদের মতো অদক্ষ অফিসাররা দায়িত্ব পালন করার কারণে ওই দিনের ঘটনা ঘটেছে। লিফলেটের বিষয়টি তদন্ত করলে এত বড় ঘটনা ঘটত না। উত্তরে আসাদ-উদ-দৌলা বলেন, সঠিক নয়। লিফলেটে তৎকালীন বিডিআর ডিজি, তার স্ত্রী ও কর্নেল মজিবরের দুর্নীতির কথা উল্লেখ ছিল। সাক্ষী বলেন, 'সঠিক'।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরা করেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আদালত মুলতবি করা হয়।
বিচার কার্যক্রম চলাকালে গতকাল আদালতে সরকার ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল হয়েছে। আসামিপক্ষের এক আইনজীবী আদালতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ তোলেন। আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী বলেন,
'আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে বিডিআর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে (সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুুল কাহার আকন্দ) গোল্ড মেডেল দেওয়া হবে। আসামিপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর ভুঁইয়া বলেন, বিদ্রোহের আগে লিফলেট পাওয়ার পরও আরএসইউ'র সদস্যরা বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করতে না পারায় এত বড় ঘটনা ঘটেছে। তবে এমন বক্তব্য সঠিক নয় বলে দাবি করেন সাক্ষী আসাদ-উদ-দৌলা।
সাক্ষীর বক্তব্য :বিডিআর হত্যা মামলার সাক্ষী আসাদ-উদ-দৌলা জানান, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত পিলখানা বিদ্রোহের চার দিন আগে একটি লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছিল। আরএসইউর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর শাহনেওয়াজের মাধ্যমে লিফলেট উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পারেন আসাদ। এর পর বিষয়টি আরএসইউর অধিনায়ক ও বিডিআরের তৎকালীন ডিজিকে জানানো হয়েছিল। লিফলেট তৈরি করে সিপাহী সেলিম রেজা, মাঈন, ল্যান্সনায়েক একরাম। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় রাজধানীর ফার্মগেটে কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট কাজী আসাদ বিডিআরে কর্মরত এক সেনা কর্মকর্তাকে জানান, ওই এলাকায় একটি লিফলেট পাওয়া গেছে। ওই লিফলেটের সঙ্গে পিলখানায় পাওয়া লিফলেটের মিল ছিল। বিদ্রোহ শুরু হলে দরবার হলের জানালা দিয়ে বের হন আসাদ। এর পর দেওয়াল টপকে ধানমণ্ডিতে তার ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। সেখান থেকে বিষয়টি তৎকালীন আর্মি ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের প্রধানকে জানিয়ে সাহায্য চান আসাদ।
পাল্টা লিফলেট বিতরণের সিদ্ধান্ত :লিফলেট উদ্ধারের বিষয়টি জানার পর তৎকালীন ডিজি ৬টি বিষয় উল্লেখ করে পাল্টা লিফলেট তৈরি করার নির্দেশ দেন। এগুলো হলো_ সৈনিকদের রেশন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়, সৈনিকদের মধ্যে অপারেশন ডাল-ভাত কর্মসূচির টাকা বণ্টন, বিওপির উন্নতি, সৈনিকদের আর্থিক অনুদান ও চিকিৎসাসেবা, বিডিআর স্কুলে সৈনিকদের সন্তানদের কোটা বাড়ানো ও সৈনিকদের স্বার্থে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ। পরে ডিজির নির্দেশেই পাল্টা লিফলেট তৈরি করা হয়নি।
আদালতে হট্টগোল :বিচার কার্যক্রম চলাকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম সরদার বলেন, খাবার, বাসস্থান, ডাল-ভাত কর্মসূচির টাকাসহ নানা ধরনের বৈষম্য থেকে বিডিআর বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে জেরা করায় সরকারপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর পর বিচারক ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হক বলেন, প্রাসঙ্গিক বিষয়ে জেরা করুন। এর পর আইনজীবী বলেন, এভাবে আদালত পরিচালিত হলে অনাস্থা না দিয়ে কোনো উপায় থাকবে না। উত্তরে আদালত বলেন, ত্রিশ বছর চাকরি করে এ জায়গায় এসেছি। অনাস্থা দেন না কেন? অ্যাডভোকেটরা অন-পেমেন্ট লোক। আসবেন আর বলে দিলেন? মনে রাখবেন, কত সময় নষ্ট করলেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এটা ঠিক, জওয়ানদের মধ্যে অনেক বেদনা, কষ্ট, ক্ষোভ ও বঞ্চনা ছিল। তবে ক্ষোভ থেকে তো খুন করা যাবে না। আদালত বলেন, এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুনের ঘটনা। আপনারা যেভাবে জেরা করছেন, তাতে খুনের তথ্য কোথায়? বিদ্রোহ হলো আর দেওয়াল টপকালো_ এখন পর্যন্ত এসব পাচ্ছি।
সাক্ষীকে জেরা :আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষী আসাদ-উদ-দৌলাকে প্রশ্ন করেন, লিফলেট পাওয়ার পর কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? উত্তরে সাক্ষী বলেন, তিন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এগুলো হলো_ যারা জড়িত ছিল তাদের খুঁজে বের করা, অফিসারদের অস্ত্রাগারের দায়িত্ব দেওয়া ও দরবার হলের নিরাপত্তা বাড়ানো। কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগারের দায়িত্বে ছিলেন মেজর রিয়াজ ও সেক্টর অস্ত্রাগারের দায়িত্বে ছিলেন মেজর সালাম। আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, পিলখানা বিদ্রোহের কিছু দিন আগে জনৈক মেজর মাহবুব বিডিআরের তৎকালীন ডিজি ও তার স্ত্রীর অবৈধ ৮শ' কোটি টাকা পাচার করার সময় জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়েন। পরে তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের হস্তক্ষেপে ওই সেনা কর্মকর্তাকে সেনা সদর দফতরে ডেকে নেওয়া হয়। উত্তরে সাক্ষী বলেন, এটা একটা গুজব ছিল। ৮শ' নয়, ছিল ৬শ' কোটি পাচারের গুজব। এ সময় কাঠগড়ায় আসামিরা চিৎকার করে ওঠে। আইনজীবী বলেন, টাকা পাচারের ঘটনায় সেনা সদর দফতরে মইন ইউ আহমেদ ও বিডিআরের তৎকালীন ডিজির গ্রুপ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায়। সাক্ষীর উত্তর ছিল, সত্য নয়। দু'গ্রুপ সেনা কর্মকর্তাদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে পিলখানায় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে সাধারণ সিপাহীরা জড়িত ছিল না। লিফলেট বিতরণ ছিল বিবদমান একটি গ্রুপের কাজ। উত্তরে সাক্ষী বলেন, সঠিক নয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, লিফলেট বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছিল? উত্তরে সাক্ষী বলেন, এটা আমার এখতিয়ার নয়। আসামিপক্ষের এক আইনজীবী সাক্ষীকে বলেন, আপনাদের মতো অদক্ষ অফিসাররা দায়িত্ব পালন করার কারণে ওই দিনের ঘটনা ঘটেছে। লিফলেটের বিষয়টি তদন্ত করলে এত বড় ঘটনা ঘটত না। উত্তরে আসাদ-উদ-দৌলা বলেন, সঠিক নয়। লিফলেটে তৎকালীন বিডিআর ডিজি, তার স্ত্রী ও কর্নেল মজিবরের দুর্নীতির কথা উল্লেখ ছিল। সাক্ষী বলেন, 'সঠিক'।
No comments