নরসিংদীর মেয়র খুন-সহিংসতার পরিসমাপ্তি চাই
মঙ্গলবার রাতে নরসিংদী পৌরসভার মেয়র দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় ঝাঁকুনি খেয়েছে গোটা বাংলাদেশ। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এভাবে খুন হবেন, তা কেউ মেনে নিতে পারছে না। নতুন করে ভাবতেও হচ্ছে_তাহলে কি দেশে রাজনৈতিক খুনোখুনি শুরু হয়ে গেল? রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সূত্র কি নতুন করে এখান থেকেই মারাত্মক রূপ নিতে যাচ্ছে? ঘটনাটা কি পরিকল্পিত কোনো হত্যাকাণ্ড? এর সঙ্গে
রাজনীতি জড়িয়ে আছে কি না তা এ মুহূর্তে চূড়ান্তভাবে বলতে না পারলেও ৩০ অক্টোবর সম্পূর্ণ বিপরীত চেহারা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচনের দিকেও কারো কারো নজর যেতে পারে। অত্যন্ত সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরাপদ একটি নির্বাচন হওয়ায় কি কোনো মহলে গাত্রদাহের সৃষ্টি হয়েছে? এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইতিপূর্বে ছিল সহনীয় পর্যায়েই। এ অবস্থা কি কারো কারো জন্য ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে? অসম্ভব কিছু মনে হচ্ছে না। সরকারের সতর্কতার ক্ষেত্রে কিছুটা ঘাটতি আছে, তাও বোঝা যায়। সরকার কি কিছু আত্মতুষ্টিতে ভুগছিল? এদিকে নরসিংদী বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নরসিংদীর মেয়রের হত্যাকাণ্ড ঘটে যাওয়ার পর ওখানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা-ও সহজে মেনে নেওয়া যায় না। বুধবার সকালে নরসিংদী এলাকায় এগারসিন্ধু ট্রেনে আগুন লাগানোর বিষয়টি অবশ্যই আত্মঘাতী। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ করতে হলে জাতীয় সম্পদে আগুন লাগিয়ে তা সম্ভব হবে না। নরসিংদীর ক্ষুব্ধ মানুষ তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে হরতাল আহ্বান করার মধ্য দিয়ে। ক্ষোভ থেকে মানুষ হরতাল আহ্বান করতে পারে_এটা তাদের নাগরিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এই নাগরিক অধিকার যদি জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ঘটনার সৃষ্টি করে, তা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া যায় না। মনে রাখতে হবে, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে কখনো কোনো সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় না। কিছু মানুষ নরসিংদীর সার্কিট হাউস এবং রেলস্টেশনেও আগুন দিয়েছে। এ দুটি ঘটনাকেও অবশ্যই নিন্দনীয় বলতে হবে। জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করার মানসিকতা কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ মেনে নিতে পারে না। অত্যন্ত সফল একজন মেয়র, যিনি দুবার শ্রেষ্ঠ মেয়রের পুরস্কার লাভ করেছেন, তাঁর এমন মৃত্যু আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। তাহলে কি এমন কেউ আছে, যে বা যারা দেশের উন্নয়ন মেনে নিতে পারছে না? সেই অশুভ শক্তিকে যেকোনোভাবেই চিহ্নিত করে দেশের প্রচলিত আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। তা না হলে আগামী দিনগুলোও আমাদের নিরাপত্তাহীন হবে। নরসিংদী পৌরসভার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেনের মতো আর কোনো মানুষের যাতে মৃত্যু না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। এটা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
নরসিংদীর মেয়রের হত্যাকাণ্ড ঘটে যাওয়ার পর ওখানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা-ও সহজে মেনে নেওয়া যায় না। বুধবার সকালে নরসিংদী এলাকায় এগারসিন্ধু ট্রেনে আগুন লাগানোর বিষয়টি অবশ্যই আত্মঘাতী। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ করতে হলে জাতীয় সম্পদে আগুন লাগিয়ে তা সম্ভব হবে না। নরসিংদীর ক্ষুব্ধ মানুষ তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে হরতাল আহ্বান করার মধ্য দিয়ে। ক্ষোভ থেকে মানুষ হরতাল আহ্বান করতে পারে_এটা তাদের নাগরিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এই নাগরিক অধিকার যদি জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ঘটনার সৃষ্টি করে, তা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া যায় না। মনে রাখতে হবে, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে কখনো কোনো সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় না। কিছু মানুষ নরসিংদীর সার্কিট হাউস এবং রেলস্টেশনেও আগুন দিয়েছে। এ দুটি ঘটনাকেও অবশ্যই নিন্দনীয় বলতে হবে। জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করার মানসিকতা কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ মেনে নিতে পারে না। অত্যন্ত সফল একজন মেয়র, যিনি দুবার শ্রেষ্ঠ মেয়রের পুরস্কার লাভ করেছেন, তাঁর এমন মৃত্যু আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। তাহলে কি এমন কেউ আছে, যে বা যারা দেশের উন্নয়ন মেনে নিতে পারছে না? সেই অশুভ শক্তিকে যেকোনোভাবেই চিহ্নিত করে দেশের প্রচলিত আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। তা না হলে আগামী দিনগুলোও আমাদের নিরাপত্তাহীন হবে। নরসিংদী পৌরসভার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেনের মতো আর কোনো মানুষের যাতে মৃত্যু না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। এটা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
No comments