ব্রাভোর নেতৃত্বে ক্যারিবীয়দের রান-উৎসব
কোনো দলের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের ছয়জনই 'ফিফটি প্লাস' স্কোর করেছেন! টেস্ট ক্রিকেটের সুদীর্ঘ ইতিহাসেই এমন ঘটনা ঘটেছে হাতে গোনা কয়েকবার। কাল সে রকমই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। শচীন টেন্ডুলকারের হোমগ্রাউন্ড, যেখানে তাঁর 'সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি' দেখার প্রতীক্ষা, সেখানেই কিনা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় বোলারদের অসহায়ত্ব ফুটিয়ে তুললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা।
তাঁদের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের কারোরই ব্যক্তিগত সংগ্রহ পঞ্চাশের নিচে নয়। ইতিহাসেই যা মাত্র পঞ্চম ঘটনা। ক্যারিবীয়দের রান-উৎসবও এ কীর্তিরই ফল। কার্ক এডওয়ার্ডস ও কিয়েরন পাওয়েল সেঞ্চুরির বঞ্চনায় পুড়লেও 'প্রথম' ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো ড্যারেন ব্রাভোই ছিলেন রান-উৎসবের নেতৃত্বে। দিনশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯ উইকেটে তোলা ৫৭৫ রানের সংগ্রহকে তাই রান-পাহাড় না বলে উপায় কি!
ব্রাভোর মাঝে ব্রায়ান লারার ছায়া খুঁজে পান অনেকে। তো সেই ব্রাভো গত মাসে ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিকেই (১৯৫) ডাবলে রূপ দিয়ে ফেলেছিলেন প্রায়। ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হওয়া এ ত্রিনিদাদিয়ান ভারতে গিয়ে দিলি্ল টেস্টের দুই ইনিংসেই (১২ ও ১২) ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে কলকাতায় পরের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ১৩৬ রানে সিরিজে প্রথমবারের মতো চার শ ছাড়ায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। মুম্বাইতে গত চার টেস্টের মধ্যে পেয়ে গেলেন তৃতীয় সেঞ্চুরি এবং এবার তাঁর ১৬৬ রানের ইনিংসে পাঁচ শ ছাড়িয়ে যাওয়া ক্যারিবীয়রা ভারতের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্নকে বিলীন করে দিয়েছে প্রায়। বোলারদের জন্য নিষ্প্রাণ উইকেটে ভারতের তারকাবহুল ব্যাটিং লাইনও সফল হলে ড্র-ই যে এ টেস্টের শেষ গন্তব্য!
ক্যারিবীয়দের এ ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। ১৯৯০ সালের পর যা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাত্র দ্বাদশ ঘটনা। কাল ব্রাভোর সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৬৪ রান যোগ করা এডওয়ার্ডস (৮৬) ঈশান্ত শর্মার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে পুড়েছেন সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশায়। একই অবস্থা হয়েছে ব্রাভোর সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়া কিয়েরন পাওয়েলেরও (৮১)। তবে ১৫৩ বলে নিজের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করা ব্রাভো ছিলেন অবিচল। চা বিরতির পর বরুণ অ্যারনের করা সামান্য বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্যাচ না হলে মুম্বাইতে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে যাওয়াও বিচিত্র ছিল না। যেমন বিচিত্র বলে বিবেচিত হয়নি রান-উৎসবে মারলন স্যামুয়েলসের (৬১) যোগ দেওয়াও!
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : দ্বিতীয় দিন শেষে, ১ম ইনিংসে ১৮১ ওভারে ৫৭৫/৯ (বারাথ ৬২, ব্র্যাথওয়েট ৬৮, এডওয়ার্ডস ৮৬, ব্রাভো ১৬৬, পাওয়েল ৮১, স্যামুয়েলস ৬১; ঈশান্ত ১/৭২, অ্যারন ৩/১০৬, ওঝা ১/১২৬, অশ্বিন ৪/১৫৪)।
ব্রাভোর মাঝে ব্রায়ান লারার ছায়া খুঁজে পান অনেকে। তো সেই ব্রাভো গত মাসে ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিকেই (১৯৫) ডাবলে রূপ দিয়ে ফেলেছিলেন প্রায়। ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হওয়া এ ত্রিনিদাদিয়ান ভারতে গিয়ে দিলি্ল টেস্টের দুই ইনিংসেই (১২ ও ১২) ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে কলকাতায় পরের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ১৩৬ রানে সিরিজে প্রথমবারের মতো চার শ ছাড়ায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। মুম্বাইতে গত চার টেস্টের মধ্যে পেয়ে গেলেন তৃতীয় সেঞ্চুরি এবং এবার তাঁর ১৬৬ রানের ইনিংসে পাঁচ শ ছাড়িয়ে যাওয়া ক্যারিবীয়রা ভারতের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্নকে বিলীন করে দিয়েছে প্রায়। বোলারদের জন্য নিষ্প্রাণ উইকেটে ভারতের তারকাবহুল ব্যাটিং লাইনও সফল হলে ড্র-ই যে এ টেস্টের শেষ গন্তব্য!
ক্যারিবীয়দের এ ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। ১৯৯০ সালের পর যা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাত্র দ্বাদশ ঘটনা। কাল ব্রাভোর সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৬৪ রান যোগ করা এডওয়ার্ডস (৮৬) ঈশান্ত শর্মার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে পুড়েছেন সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশায়। একই অবস্থা হয়েছে ব্রাভোর সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়া কিয়েরন পাওয়েলেরও (৮১)। তবে ১৫৩ বলে নিজের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করা ব্রাভো ছিলেন অবিচল। চা বিরতির পর বরুণ অ্যারনের করা সামান্য বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্যাচ না হলে মুম্বাইতে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে যাওয়াও বিচিত্র ছিল না। যেমন বিচিত্র বলে বিবেচিত হয়নি রান-উৎসবে মারলন স্যামুয়েলসের (৬১) যোগ দেওয়াও!
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : দ্বিতীয় দিন শেষে, ১ম ইনিংসে ১৮১ ওভারে ৫৭৫/৯ (বারাথ ৬২, ব্র্যাথওয়েট ৬৮, এডওয়ার্ডস ৮৬, ব্রাভো ১৬৬, পাওয়েল ৮১, স্যামুয়েলস ৬১; ঈশান্ত ১/৭২, অ্যারন ৩/১০৬, ওঝা ১/১২৬, অশ্বিন ৪/১৫৪)।
No comments