অন্য ভুবন-বুফনের ডায়েরি আর ম্যান্ডেলাপ্রেম
তাঁরাও আর দশজন মানুষের মতো। আছে আবেগ, আছে ভালোবাসা। কিন্তু তাঁদের খেলোয়াড়ি জীবনের বাইরের অনেক কিছুই আমাদের অজানা। ক্রীড়াবিদদের অজানা জীবনটা কেমন, সেটা জানতেই নিয়মিত এ আয়োজন। জেনে নিন জিয়ানলুইজি বুফন-এর অন্য ভুবনটা কেমনডায়েরিটা তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন মা। ১২তম জন্মদিনে ছেলের হাতে তুলে দিয়ে বলেছিলেন, এটাতে তুমি নিজেকে নিয়ে লিখবে। এটা তোমার যেমন ইচ্ছে লেখার খাতা!
মায়ের উপহার দেওয়া ডায়েরিতে জিয়ানলুইজি বুফন প্রথম লিখেছিলেন ১৩ বছর বয়সে। ইতালিয়ান ক্লাব পারমার বয়সভিত্তিক দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তাঁর সেদিন। প্রথম ম্যাচে খেলতে গিয়ে বেশ ভুলভাল করেছেন। ম্যাচ শেষে কোচ সেটা ডেকে বলেও দিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে নিজের সেই ভুলগুলোর কথা ডায়েরিতে টুকে রেখেছিলেন বুফন। সেই থেকে শুরু। ১৩ বছর বয়সের সেই বুফন এখন শুধু ইতালির নয়, বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। অনেকের মতে সর্বকালের সেরাদের একজনও এবং ডায়েরি লেখার অভ্যাস তাঁর এখনো আছে!
নিজের ভুলগুলোর কথা দিয়ে লেখা শুরু করেছিলেন। তারপর এক সময় লিখতে শুরু করলেন ভুল-শুদ্ধ মিলিয়ে নিজের সব কথাই। ঠিক যেমনটা মা ছোটবেলায় বলেছিলেন_যেমন ইচ্ছে লেখার খাতা! মায়ের দেওয়া সেই ডায়েরির পাতা কবেই শেষ হয়েছে। তারপর নিজেও কিনেছেন। প্রথমে ডায়েরি এবং তারপর যুগ পাল্টে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গা করে নেয় কম্পিউটার। এখন তো রীতিমতো নোটবুকে লিখেন ইতালিয়ান এ গোলরক্ষক। মোটকথা লেখার অভ্যাসটা আছে। কী লিখেছেন এত? ক্রীড়া দৈনিকের কাছে একবার বুফন জানিয়েছিলেন এ লেখাগুলোতে তাঁর জীবনের কথা আছে। প্রথম ফুটবল খেলা, প্রথম ক্লাব আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া, বিশ্বকাপ জয় থেকে শুরু করে প্রথম প্রেম_সবই! এ তো রীতিমতো আত্মজীবনী, যেকোনো প্রকাশক পেলে লুফে নেবেন! হ্যাঁ, কথাটা জানা আছে চারবার বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হওয়া জুভেন্টাস তারকার। কিন্তু আপাতত নিজের যেমন ইচ্ছে লেখাগুলো প্রকাশকের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো ইচ্ছেই নাকি নেই তাঁর। যা তাঁর একান্ত নিজস্ব সেটা এখনো সবাইকে জানানোর ব্যাপারে মনস্থির করেননি তিনি!
নিভৃতে লেখালেখি ছাড়াও আরো একটা অভ্যাস আছে তাঁর। ছোটবেলায় স্কুলের স্বেচ্ছাসেবী দলের হয়ে কাজ করতেন। তখন থেকেই তাঁর ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে মানুষের জন্য কিছু করবেন। সেসব মানুষ যারা বঞ্চিত, অসহায়। যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছেন তাই সেখানেই জড়িয়েছেন দাতব্য কাজের সঙ্গে। স্বপ্ন দেখেন একেবারে শান্তিপূর্ণ এক পৃথিবীর। এ ক্ষেত্রে তাঁর সবচেয়ে বড় আদর্শ দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। এই তো গত বছর বিশ্বকাপের সময় যখন দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন তখন শত ব্যস্ততার মাঝেও দেখা করতে ভোলেননি 'মদিবা'র সঙ্গে। 'আমরা কত জন ব্যক্তিগত পর্যায়ে কত কিছু অর্জন করেছি, অথচ এ মানুষটা শুধু একটা দেশের নয়, পুরো আফ্রিকার ইতিহাসই বদলে দিয়েছেন। আমি চাই তাঁর মতো মানুষের জন্য কিছু করতে'_ফিরে এসে জানিয়েছিলেন বুফন। জীবনভর শান্তির জন্য কাজ করে যাওয়া ম্যান্ডেলার কাছ থেকে নিয়েছিলেন কিছু মূল্যবান উপদেশও। ইতালির বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক নিজেও হয়ে উঠতে চান ম্যান্ডেলার মতো একজন শান্তির দূত, 'যদি পারি তাহলে এটাই হবে আমার ৩৩ বছরের জীবনে সবচেয়ে সুখের প্রাপ্তি।'
এমন মহৎ ইচ্ছেটা কি অপূর্ণ থেকে যাবে বুফনের? ওয়েবসাইট
নিজের ভুলগুলোর কথা দিয়ে লেখা শুরু করেছিলেন। তারপর এক সময় লিখতে শুরু করলেন ভুল-শুদ্ধ মিলিয়ে নিজের সব কথাই। ঠিক যেমনটা মা ছোটবেলায় বলেছিলেন_যেমন ইচ্ছে লেখার খাতা! মায়ের দেওয়া সেই ডায়েরির পাতা কবেই শেষ হয়েছে। তারপর নিজেও কিনেছেন। প্রথমে ডায়েরি এবং তারপর যুগ পাল্টে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গা করে নেয় কম্পিউটার। এখন তো রীতিমতো নোটবুকে লিখেন ইতালিয়ান এ গোলরক্ষক। মোটকথা লেখার অভ্যাসটা আছে। কী লিখেছেন এত? ক্রীড়া দৈনিকের কাছে একবার বুফন জানিয়েছিলেন এ লেখাগুলোতে তাঁর জীবনের কথা আছে। প্রথম ফুটবল খেলা, প্রথম ক্লাব আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া, বিশ্বকাপ জয় থেকে শুরু করে প্রথম প্রেম_সবই! এ তো রীতিমতো আত্মজীবনী, যেকোনো প্রকাশক পেলে লুফে নেবেন! হ্যাঁ, কথাটা জানা আছে চারবার বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হওয়া জুভেন্টাস তারকার। কিন্তু আপাতত নিজের যেমন ইচ্ছে লেখাগুলো প্রকাশকের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো ইচ্ছেই নাকি নেই তাঁর। যা তাঁর একান্ত নিজস্ব সেটা এখনো সবাইকে জানানোর ব্যাপারে মনস্থির করেননি তিনি!
নিভৃতে লেখালেখি ছাড়াও আরো একটা অভ্যাস আছে তাঁর। ছোটবেলায় স্কুলের স্বেচ্ছাসেবী দলের হয়ে কাজ করতেন। তখন থেকেই তাঁর ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে মানুষের জন্য কিছু করবেন। সেসব মানুষ যারা বঞ্চিত, অসহায়। যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছেন তাই সেখানেই জড়িয়েছেন দাতব্য কাজের সঙ্গে। স্বপ্ন দেখেন একেবারে শান্তিপূর্ণ এক পৃথিবীর। এ ক্ষেত্রে তাঁর সবচেয়ে বড় আদর্শ দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। এই তো গত বছর বিশ্বকাপের সময় যখন দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন তখন শত ব্যস্ততার মাঝেও দেখা করতে ভোলেননি 'মদিবা'র সঙ্গে। 'আমরা কত জন ব্যক্তিগত পর্যায়ে কত কিছু অর্জন করেছি, অথচ এ মানুষটা শুধু একটা দেশের নয়, পুরো আফ্রিকার ইতিহাসই বদলে দিয়েছেন। আমি চাই তাঁর মতো মানুষের জন্য কিছু করতে'_ফিরে এসে জানিয়েছিলেন বুফন। জীবনভর শান্তির জন্য কাজ করে যাওয়া ম্যান্ডেলার কাছ থেকে নিয়েছিলেন কিছু মূল্যবান উপদেশও। ইতালির বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক নিজেও হয়ে উঠতে চান ম্যান্ডেলার মতো একজন শান্তির দূত, 'যদি পারি তাহলে এটাই হবে আমার ৩৩ বছরের জীবনে সবচেয়ে সুখের প্রাপ্তি।'
এমন মহৎ ইচ্ছেটা কি অপূর্ণ থেকে যাবে বুফনের? ওয়েবসাইট
No comments