পরাজয়েও উজ্জ্বল সালমা
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে একটা করে উপহারের বাক্স তুলে দেওয়া হলো বাংলাদেশ দলের মেয়েদের হাতে। বাক্সের ভেতরে হীরার নাকফুল। অধিনায়ক সালমা খাতুন পেলেন আংটি। ১০০ রানে অলআউট হয়ে ৬ উইকেটে ম্যাচ হারার পর এ ধরনের উপহার সম্ভবত ক্রিকেট ইতিহাসেই প্রথম।
হীরার নাকফুল আসলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। পৃষ্ঠপোষকদের পক্ষ থেকে এটা নিতান্তই মহিলা ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার একটা চেষ্টা। আর মিরপুরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে ফেলবে, এমন স্বপ্ন অতি আশাবাদীও করেছে কি না সন্দেহ। বাংলাদেশের আসল লক্ষ্যপূরণের খেলা তো কাল! বিকেএসপিতে প্লে-অফ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে পারলে মিলে যাবে আরাধ্য ওয়ানডে মর্যাদা। বিশ্বকাপ বাছাই থেকে বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য সেটাই হবে বড় অর্জন। এমন ম্যাচ সামনে থাকলে উৎসাহ দেওয়াই উচিত।
সালমা আশাবাদী, লক্ষ্য পূরণ হবেই। কাল ম্যাচ শেষে বললেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, আমরা পারব।’ প্রতিপক্ষ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশ হারলে সেটাই বরং হবে অঘটন। তাই বলে অতি আত্মবিশ্বাসীও হওয়া যাচ্ছে না। হতে দিচ্ছে না এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং।
কালই যেমন্র৩২ রান করে ওই সালমাই যা একটু মান রাখলেন, নইলে বাকিদের কেউ ২০ রানও করতে পারেননি। ২৬.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছাতে শ্রীলঙ্কা দল যে ৪ উইকেট হারাল, সেখানেও সালমার ২ উইকেট। এত বড় ব্যবধানে হারার পরও সালমাই তাই ম্যাচ-সেরা।
সালমা অবশ্য এই প্রতিযোগিতা থেকে অর্জন দেখছেন আরও, ‘শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তানের মতো বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলে অনেক কিছুই শেখার আছে। তাদের বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং দেখে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’ কিন্তু গত দেড় মাসে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পাঁচটি ম্যাচ খেলার পরও বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এসে তাদের বিপক্ষে ১০০ রানে অল আউট হয়ে যাওয়াতে কি আদৌ প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশ কিছু শিখছে? অধিনায়কের ব্যাখ্যা, শ্রীলঙ্কার বোলিং বেশি ভালো। তা ছাড়া শ্রীলঙ্কায় মেয়েদের ক্রিকেট হচ্ছে প্রায় ২০ বছর ধরে, বাংলাদেশের মেয়েরা খেলছে মাত্র বছর ছয়েক। অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকাটাকেও কালকের পরাজয়ের একটা কারণ মনে করেন অধিনায়ক।
দুই দলের ক্রিকেটের গুণগত পার্থক্য এতটাই বেশি যে, কাল বাংলাদেশ লক্ষ্যের চেয়ে করল ঠিক ১০০ রান কম। সালমাই বলেছেন, ২০০ রান করতে পারলে শ্রীলঙ্কাকে আটকানো সম্ভব ছিল। সকালের শিশিরভেজা উইকেটেও তাই টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন। পরিকল্পনামতো কাজ না হওয়াতেও অবশ্য তাঁর মনে হচ্ছে না সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল, ‘এ রকম হতেই পারে। টপ অর্ডারে রান আসেনি, বড় জুটিও হয়নি। আমাদের দুর্ভাগ্য।’
বাংলাদেশের দুর্ভাগ্যের দিনটা শ্রীলঙ্কার জন্য হয়ে এল উৎসবের। হীরার নাকফুল পেয়ে পান্না-রুমানারা যতটা না আনন্দিত, তার চেয়ে বেশি উজ্জ্বল মনে হচ্ছিল পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রীলঙ্কার মেয়েদের হাসিই। খেলা শেষে দলের অধিনায়ক দিলানি মানোদারার মধ্যেও সেই খুশির ছটা, ‘এই টুর্নামেন্টের আগে আমরা অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে পাঁচবার হারিয়েছি। বাংলাদেশ এখানে অনেক ভালো খেললেও আমরা তাই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
বাংলাদেশ টুর্নামেন্টে ভালো খেলছে? হীরার নাকফুলের সঙ্গে একটু প্রশংসাও তাহলে পাওয়া গেল! ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার ম্যাচে শ্রীলঙ্কান অধিনায়কের কথাটা প্রমাণ করতে পারলেই হয়।
হীরার নাকফুল আসলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। পৃষ্ঠপোষকদের পক্ষ থেকে এটা নিতান্তই মহিলা ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার একটা চেষ্টা। আর মিরপুরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে ফেলবে, এমন স্বপ্ন অতি আশাবাদীও করেছে কি না সন্দেহ। বাংলাদেশের আসল লক্ষ্যপূরণের খেলা তো কাল! বিকেএসপিতে প্লে-অফ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে পারলে মিলে যাবে আরাধ্য ওয়ানডে মর্যাদা। বিশ্বকাপ বাছাই থেকে বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য সেটাই হবে বড় অর্জন। এমন ম্যাচ সামনে থাকলে উৎসাহ দেওয়াই উচিত।
সালমা আশাবাদী, লক্ষ্য পূরণ হবেই। কাল ম্যাচ শেষে বললেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, আমরা পারব।’ প্রতিপক্ষ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশ হারলে সেটাই বরং হবে অঘটন। তাই বলে অতি আত্মবিশ্বাসীও হওয়া যাচ্ছে না। হতে দিচ্ছে না এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং।
কালই যেমন্র৩২ রান করে ওই সালমাই যা একটু মান রাখলেন, নইলে বাকিদের কেউ ২০ রানও করতে পারেননি। ২৬.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছাতে শ্রীলঙ্কা দল যে ৪ উইকেট হারাল, সেখানেও সালমার ২ উইকেট। এত বড় ব্যবধানে হারার পরও সালমাই তাই ম্যাচ-সেরা।
সালমা অবশ্য এই প্রতিযোগিতা থেকে অর্জন দেখছেন আরও, ‘শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তানের মতো বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলে অনেক কিছুই শেখার আছে। তাদের বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং দেখে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’ কিন্তু গত দেড় মাসে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পাঁচটি ম্যাচ খেলার পরও বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এসে তাদের বিপক্ষে ১০০ রানে অল আউট হয়ে যাওয়াতে কি আদৌ প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশ কিছু শিখছে? অধিনায়কের ব্যাখ্যা, শ্রীলঙ্কার বোলিং বেশি ভালো। তা ছাড়া শ্রীলঙ্কায় মেয়েদের ক্রিকেট হচ্ছে প্রায় ২০ বছর ধরে, বাংলাদেশের মেয়েরা খেলছে মাত্র বছর ছয়েক। অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকাটাকেও কালকের পরাজয়ের একটা কারণ মনে করেন অধিনায়ক।
দুই দলের ক্রিকেটের গুণগত পার্থক্য এতটাই বেশি যে, কাল বাংলাদেশ লক্ষ্যের চেয়ে করল ঠিক ১০০ রান কম। সালমাই বলেছেন, ২০০ রান করতে পারলে শ্রীলঙ্কাকে আটকানো সম্ভব ছিল। সকালের শিশিরভেজা উইকেটেও তাই টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন। পরিকল্পনামতো কাজ না হওয়াতেও অবশ্য তাঁর মনে হচ্ছে না সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল, ‘এ রকম হতেই পারে। টপ অর্ডারে রান আসেনি, বড় জুটিও হয়নি। আমাদের দুর্ভাগ্য।’
বাংলাদেশের দুর্ভাগ্যের দিনটা শ্রীলঙ্কার জন্য হয়ে এল উৎসবের। হীরার নাকফুল পেয়ে পান্না-রুমানারা যতটা না আনন্দিত, তার চেয়ে বেশি উজ্জ্বল মনে হচ্ছিল পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রীলঙ্কার মেয়েদের হাসিই। খেলা শেষে দলের অধিনায়ক দিলানি মানোদারার মধ্যেও সেই খুশির ছটা, ‘এই টুর্নামেন্টের আগে আমরা অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে পাঁচবার হারিয়েছি। বাংলাদেশ এখানে অনেক ভালো খেললেও আমরা তাই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
বাংলাদেশ টুর্নামেন্টে ভালো খেলছে? হীরার নাকফুলের সঙ্গে একটু প্রশংসাও তাহলে পাওয়া গেল! ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার ম্যাচে শ্রীলঙ্কান অধিনায়কের কথাটা প্রমাণ করতে পারলেই হয়।
No comments