টাকা দিতে চেয়েছিলেন রোবাক!
বিখ্যাত ক্রিকেট লেখক পিটার রোবাকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য শুধু বাড়ছেই। পুলিশের তদন্তে এখনও কোনো রহস্য উম্মোচিত হয়নি; বরং ভিন্ন ভিন্ন সূত্রের খবরে জটিলতা বাড়ছে। রোবাকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন যিনি, ২৬ বছর বয়সী সে জিম্বাবুইয়ান ইতাই গনডো মুখ খুলেছেন। মুখ খুলেই রোবাকের আত্মহত্যার রহস্য আরও বাড়িয়ে দেন। তিনি দাবি করেন, 'পিটার রোবাক আমাকে অর্থ দিতে চেয়েছিলেন। বিনিময়ে তিনি আমার সঙ্গে সমকামিতা করতে চেয়েছিলেন।'
জিম্বাবুয়ের একজন রিফিউজি শিক্ষার্থী ইতাই গনডো, থাকতেন কেপটাউনে। তার সঙ্গে পিটার রোবাকের পরিচয় ফেসবুকে। সেখানেই বেশ কিছুদিন চ্যাট করেন দু'জন। ফেসবুকে রোবাক গনডোকে বলতেন, আমি তোমার ড্যাড (বাবা)। ফেসবুকে গনডোর সঙ্গে চ্যাট করতে করতেই একটি ইউনিভার্সিটি স্পন্সরশিপ চুক্তি সম্পর্কে দু'জন সম্মত হন। কথা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ চলাকালেই দু'জন দেখা করবেন। ওই সময়ও গনডো জানতেন না, রোবাক তাকে কুকর্মের প্রস্তাব দিতে পারেন; বরং বাবা-ছেলের সম্পর্কের মতোই রোবাক তাকে বলেছিলেন, 'ওকে মাই বয়, তুমি আসার সময় একটি বেত নিয়েও আসবে। যেন প্রয়োজনে তোমাকে পেটাতে পারি!' সে হিসেবেই কেপটাউনের নিউল্যান্ডস হোটেলে রোবাকের রুমে আসেন গনডো। সেখানেই নাকি রোবাক তার সঙ্গে সমকামিতার প্রস্তাব দেন। গনডো বলেন, 'সমকামিতার প্রস্তাব দেওয়ার আগে তিনি আমার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন; কিন্তু যখন তিনি আমাকে কুপ্রস্তাব দেন তখন আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি খুবই শকড হয়েছি। তাকে কুকাজ থেকে বাধা দেওয়ার জন্য আমার হাতে তখন মোবাইল ছাড়া আর কিছুই ছিল না।' যেভাবেই হোক গনডো রোবাকের আগ্রাসন থেকে বের হতে সক্ষম হন। পরদিনই ফেসবুকে গনডোকে রোবাক মেসেজ (বার্তা) পাঠান। লেখেন, 'তোমার আচরণে আমি দুঃখ পেয়েছি। তবে তুমি ভালো থেকো।' গনডো উল্টো বার্তা পাঠান রোবাককে, 'একদিন আসবে যেদিন আইনের হাতে ধরা পড়বেন আপনি এবং আপনার কুকর্ম প্রকাশ হবে।' গনডো বলেন, 'এ ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের কাছে সব তুলে ধরেছি। কারণ তিনি আমার জীবনটাই দুর্বিষহ করে তুলতে চেয়েছিলেন।'
No comments