প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি-কুয়েতি পার্লামেন্টে জনতার বিক্ষোভ
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের আল-মোহাম্মদ আল-সাবাহর পদত্যাগের দাবিতে গত বুধবার কয়েক হাজার মানুষ পার্লামেন্টের ভেতরে-বাইরে বিক্ষোভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত পার্লামেন্টের সামনে অবস্থানের অঙ্গীকার করেছে তারা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের চেষ্টার সময় দাঙ্গা পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। এতে পাঁচ বিক্ষোভকারী আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠক করে।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসার পর থেকেই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে আছেন শেখ নাসের। এ পর্যন্ত ছয়বার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এ কারণে পাঁচ বছরের মধ্যে তিনবার নির্বাচন আয়োজন করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ বিদেশে নিজের ব্যাংক হিসাবে পাচারসহ দুর্নীতির বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহামেদ আল-সাবাহর ভাতিজা। আমির পার্লামেন্ট বা মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার সর্বময় ক্ষমতা ভোগ করেন।
পার্লামেন্ট সদস্যদের দুর্নীতি নিয়ে কুয়েতে প্রায় তিন মাস ধরে অস্থিরতা চলছে। অভিযোগ রয়েছে, পার্লামেন্টে ভোট দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ১৬ এমপি প্রায় ৩৫ লাখ ডলার ঘুষ পেয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ ব্যাপারে তদন্ত করছেন। ওই দুর্নীতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীদলীয় কয়েকজন এমপি। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরেই কুয়েতের রাস্তায় আন্দোলন করছে বিরোধীদলীয় এমপিসহ কয়েকশ বিক্ষোভকারী। বুধবার বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টের ফটক ভেঙে ভবনের মূল কক্ষে ঢুকে পড়ে। সেখানে জাতীয় সংগীত গায় তারা। আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী মুসাল্লাম আল-বারাক বলেন, 'অবশেষে আমরা জনগণের ভবনে ঢুকেছি।' তবে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা পার্লামেন্ট থেকে বের হয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার আগ পর্যন্ত পার্লামেন্টের সামনে অবস্থানের অঙ্গীকার করেছে বিক্ষোভকারীরা। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ারও দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা।
পার্লামেন্টে ঢুকে পড়ার পর নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের আর বাধা দেয়নি বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। কয়েকজন এমপিও এ বিক্ষোভে অংশ নেন। পার্লামেন্টে বিক্ষোভের আগে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় 'জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে চায়' বলে স্লোগান দেয় তারা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দাঙ্গা পুলিশ লাঠিপেটা করে। এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়।
দুর্নীতির অভিযোগে সরকার প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে রাজি না হওয়ায় গত বুধবার কুয়েতের বিরোধীদলীয় প্রায় ২০ এমপি পার্লামেন্টে একটি অধিবেশন বর্জন করেন।
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল কুয়েতি মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠক করে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, আমির শেখ সাবাহ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বুধবারের বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি মূল্যায়নে বিরোধীদলীয় এমপিদেরও গতকাল রাতে বৈঠকের কথা ছিল। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহামেদ আল-সাবাহর ভাতিজা। আমির পার্লামেন্ট বা মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার সর্বময় ক্ষমতা ভোগ করেন।
পার্লামেন্ট সদস্যদের দুর্নীতি নিয়ে কুয়েতে প্রায় তিন মাস ধরে অস্থিরতা চলছে। অভিযোগ রয়েছে, পার্লামেন্টে ভোট দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ১৬ এমপি প্রায় ৩৫ লাখ ডলার ঘুষ পেয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ ব্যাপারে তদন্ত করছেন। ওই দুর্নীতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীদলীয় কয়েকজন এমপি। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরেই কুয়েতের রাস্তায় আন্দোলন করছে বিরোধীদলীয় এমপিসহ কয়েকশ বিক্ষোভকারী। বুধবার বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টের ফটক ভেঙে ভবনের মূল কক্ষে ঢুকে পড়ে। সেখানে জাতীয় সংগীত গায় তারা। আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী মুসাল্লাম আল-বারাক বলেন, 'অবশেষে আমরা জনগণের ভবনে ঢুকেছি।' তবে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা পার্লামেন্ট থেকে বের হয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার আগ পর্যন্ত পার্লামেন্টের সামনে অবস্থানের অঙ্গীকার করেছে বিক্ষোভকারীরা। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ারও দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা।
পার্লামেন্টে ঢুকে পড়ার পর নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের আর বাধা দেয়নি বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। কয়েকজন এমপিও এ বিক্ষোভে অংশ নেন। পার্লামেন্টে বিক্ষোভের আগে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় 'জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে চায়' বলে স্লোগান দেয় তারা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দাঙ্গা পুলিশ লাঠিপেটা করে। এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়।
দুর্নীতির অভিযোগে সরকার প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে রাজি না হওয়ায় গত বুধবার কুয়েতের বিরোধীদলীয় প্রায় ২০ এমপি পার্লামেন্টে একটি অধিবেশন বর্জন করেন।
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল কুয়েতি মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠক করে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, আমির শেখ সাবাহ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বুধবারের বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি মূল্যায়নে বিরোধীদলীয় এমপিদেরও গতকাল রাতে বৈঠকের কথা ছিল। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments