ইসলাম ও আধুনিকতা by ফরহাদ জাকারিয়া
আধুনিকতা কী? সহজ কথায় বললে, চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধি ও মানসিকতায় অগ্রসরতা। মানুষ সামাজিক জীব। বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। সমাজ পরিবর্তনশীল। দৃশ্যমান না হলেও এ কথা সত্য যে, সমাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। অনেক দিন পর এই পরিবর্তন যখন একটা বৃহৎ রূপ লাভ করে, তখন তা আমাদের সামনে দৃশ্যমান হয়। সমাজ পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে আজ যা আধুনিক কাল তা পুরনো।
সমাজে ঘটে যাওয়া নিত্যদিনের পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে যারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে তারাই আধুনিক। যারা বুদ্ধিমান এবং উন্নত চেতনার অধিকারী সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে তারা খুব সহজে খাপ খাইয়ে নেয়। আর এ কারণেই অন্য মানুষদের তুলনায় তারা থাকে এগিয়ে।
কিন্তু শুধু চিন্তা-চেতনা এবং মানসিকতায় এগিয়ে থাকায় বিশেষ কোনো লাভ নেই। কেননা, তাতে পরকালীন মুক্তি সম্ভব নয়। পরকালীন মুক্তি অর্জন ছাড়া মানবজীবনের সব অর্জনই ব্যর্থ। ইসলামী জীবনের উদ্দেশ্য হলো, ইহকালীন কল্যাণ এবং পরকালীন মুক্তি। তাই চিন্তা-চেতনায় আধুনিক হওয়ার পাশাপাশি ইহকালীন কল্যাণের জন্য আত্মিক উৎকর্ষ সাধনও গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামী জীবন মানুষকে দুটি সুযোগই দিয়েছে।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। মানবজীবনের উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিজ্ঞানীরা নিত্যনতুন আবিষ্কার করছেন। বিজ্ঞানের এসব আবিষ্কার জীবনকে করেছে সহজ ও সুন্দর। ইসলাম বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম। তাই এসব আবিষ্কারের কল্যাণ থেকে ইসলাম মানুষকে বিরত থাকতে বলেনি। অন্যদিকে নতুন কোনো আবিষ্কার ও পদক্ষেপের ব্যাপারেও ইসলাম আপত্তি তোলেনি বরং বৈধ সীমারেখার মধ্য থেকে উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নতুন আবিষ্কার ও আধুনিকতাপ্রীতিকে ইসলাম উৎসাহিত করেছে। আগেই বলা হয়েছে, সমাজ পরিবর্তনশীল। পরিবর্তনশীল সমাজে টিকে থাকার জন্য আধুনিকতাকে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকা অপরিহার্য। ইসলাম আধুনিকতাকে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি বলেই এটি চিরন্তন ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আধুনিক মানুষের আরেকটি আকাঙ্ক্ষা থাকে শান্তিপূর্ণ ও সুখী জীবনযাপন। নৈতিক চেতনার উন্মেষও আত্মিক উৎকর্ষ সাধনের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে ইসলাম মানুষের জন্য দুটি সুযোগই অবারিত করেছে। মানুষের মধ্যে নৈতিকতার উন্মেষ ঘটিয়ে যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় তা স্থায়ী রূপ লাভ করে। ইসলাম যে এটা করতে সক্ষম তা ইতিহাসে প্রমাণিত। তাই ইসলামী সমাজ ব্যবস্থাকে সার্থকরূপে আধুনিক ও প্রগতিশীল এই স্বীকৃতি দিয়ে জর্জ বার্নার্ড শ বলেন, আমি বিশ্বাস করি হজরত মোহাম্মদের (সা.) মতো লোক যদি বর্তমান বিশ্বের একচ্ছত্র শাসন গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি এর সমস্যাবলি এমনভাবে সমাধান করতে পারবেন, যার ফলে একান্ত প্রয়োজনীয় শান্তি ও সুখ প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসলামী জীবনযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্মিক উৎকর্ষ সাধন। আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনার মাধ্যমেই আত্মিক উৎকর্ষ সাধিত হয়। জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নতি যতই হোক না কেন আত্মিক উৎকর্ষ ছাড়া মানবীয় সত্তার সার্থক স্ফুরণ কিছুতেই সম্ভব নয়। কেননা পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করল সে সফলকাম হলো। আর যে নিজেকে দূষিত করল সে ব্যর্থ হলো। আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনের মধ্যেই মানব জীবনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ নিহিত। এ ছাড়া স্থায়ী শান্তি অর্জন সম্ভব নয়। আত্মিক উৎকর্ষ ছাড়া শান্তি মরীচিকা মাত্র। আর আধুনিকতাও পরিপূর্ণ নয়। ইসলামী জীবনযাপনে রয়েছে আত্মিক উৎকর্ষ ও আধুনিকতা উভয়েরই সম্মিলন। তাই ইসলামী জীবনযাপনই হচ্ছে পরিপূর্ণ আধুনিকতা।
কিন্তু শুধু চিন্তা-চেতনা এবং মানসিকতায় এগিয়ে থাকায় বিশেষ কোনো লাভ নেই। কেননা, তাতে পরকালীন মুক্তি সম্ভব নয়। পরকালীন মুক্তি অর্জন ছাড়া মানবজীবনের সব অর্জনই ব্যর্থ। ইসলামী জীবনের উদ্দেশ্য হলো, ইহকালীন কল্যাণ এবং পরকালীন মুক্তি। তাই চিন্তা-চেতনায় আধুনিক হওয়ার পাশাপাশি ইহকালীন কল্যাণের জন্য আত্মিক উৎকর্ষ সাধনও গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামী জীবন মানুষকে দুটি সুযোগই দিয়েছে।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। মানবজীবনের উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিজ্ঞানীরা নিত্যনতুন আবিষ্কার করছেন। বিজ্ঞানের এসব আবিষ্কার জীবনকে করেছে সহজ ও সুন্দর। ইসলাম বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম। তাই এসব আবিষ্কারের কল্যাণ থেকে ইসলাম মানুষকে বিরত থাকতে বলেনি। অন্যদিকে নতুন কোনো আবিষ্কার ও পদক্ষেপের ব্যাপারেও ইসলাম আপত্তি তোলেনি বরং বৈধ সীমারেখার মধ্য থেকে উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নতুন আবিষ্কার ও আধুনিকতাপ্রীতিকে ইসলাম উৎসাহিত করেছে। আগেই বলা হয়েছে, সমাজ পরিবর্তনশীল। পরিবর্তনশীল সমাজে টিকে থাকার জন্য আধুনিকতাকে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকা অপরিহার্য। ইসলাম আধুনিকতাকে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি বলেই এটি চিরন্তন ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আধুনিক মানুষের আরেকটি আকাঙ্ক্ষা থাকে শান্তিপূর্ণ ও সুখী জীবনযাপন। নৈতিক চেতনার উন্মেষও আত্মিক উৎকর্ষ সাধনের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে ইসলাম মানুষের জন্য দুটি সুযোগই অবারিত করেছে। মানুষের মধ্যে নৈতিকতার উন্মেষ ঘটিয়ে যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় তা স্থায়ী রূপ লাভ করে। ইসলাম যে এটা করতে সক্ষম তা ইতিহাসে প্রমাণিত। তাই ইসলামী সমাজ ব্যবস্থাকে সার্থকরূপে আধুনিক ও প্রগতিশীল এই স্বীকৃতি দিয়ে জর্জ বার্নার্ড শ বলেন, আমি বিশ্বাস করি হজরত মোহাম্মদের (সা.) মতো লোক যদি বর্তমান বিশ্বের একচ্ছত্র শাসন গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি এর সমস্যাবলি এমনভাবে সমাধান করতে পারবেন, যার ফলে একান্ত প্রয়োজনীয় শান্তি ও সুখ প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসলামী জীবনযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্মিক উৎকর্ষ সাধন। আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনার মাধ্যমেই আত্মিক উৎকর্ষ সাধিত হয়। জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নতি যতই হোক না কেন আত্মিক উৎকর্ষ ছাড়া মানবীয় সত্তার সার্থক স্ফুরণ কিছুতেই সম্ভব নয়। কেননা পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করল সে সফলকাম হলো। আর যে নিজেকে দূষিত করল সে ব্যর্থ হলো। আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনের মধ্যেই মানব জীবনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ নিহিত। এ ছাড়া স্থায়ী শান্তি অর্জন সম্ভব নয়। আত্মিক উৎকর্ষ ছাড়া শান্তি মরীচিকা মাত্র। আর আধুনিকতাও পরিপূর্ণ নয়। ইসলামী জীবনযাপনে রয়েছে আত্মিক উৎকর্ষ ও আধুনিকতা উভয়েরই সম্মিলন। তাই ইসলামী জীবনযাপনই হচ্ছে পরিপূর্ণ আধুনিকতা।
No comments