২৬ হাজার টন সরকারি গম নিয়ে প্রথম জাহাজ বন্দরে by আসিফ সিদ্দিকী,
সরকারিভাবে আমদানি করা ২৬ হাজার টন গমের প্রথম জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পেঁৗছেছে। সরকারের খাদ্যশস্য মজুদের অংশ হিসেবে ইউক্রেন থেকে এক লাখ টন গম আমদানির চুক্তি করেছে সরকার। মঙ্গলবার এর প্রথম চালানটি বন্দরে এল। দ্বিতীয় চালানে ৫৫ হাজার টন গম নিয়ে আরো একটি জাহাজ ইউক্রেন থেকে বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। বাকি ১৯ হাজার টন গম
নিয়ে এ মাসের মধ্যে আসবে তৃতীয় একটি জাহাজ।১৮০ মিটার দীর্ঘ ও প্রায় ১১ মিটার গভীরতার বিদেশি পতাকাবহী 'কেইট' জাহাজটি বন্দরে সহজে প্রবেশ করতে পারবে না। বন্দরে ১৯০ মিটারের বেশি এবং ৯ মিটার গভীরতার ঊধর্ে্বর কোনো জাহাজ প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই এই জাহাজ থেকে কিছু পণ্য লাইটারিংয়ের মাধ্যমে গভীরতা কমিয়ে বন্দরে প্রবেশের উপযোগী করা হয়। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেরিন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, '২৬ হাজার ৮২৬ টন নিয়ে আসা জাহাজটিকে বন্দরের জেটিতে ভেড়ার উপযোগী করতে পাঁচ থেকে আট হাজার
টন গম ছোট জাহাজে খালাস বা লাইটারিং করতে হবে।'
কবে নাগাদ জাহাজটি জেটিতে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত হবে_জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এক সপ্তাহের মধ্যে প্রবেশের উপযোগী হবে; কিন্তু এর আগে আরো একটি জাহাজ সরকারি গম খালাসের জন্য সাইলো জেটি ব্যবহার
করবে। এর পরই আমাদের শিডিউল দেওয়া হতে পারে।'
জানা গেছে, বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার টন সরকারি গম নিয়ে দেশীয় পতাকাবাহী 'জে কে মনোয়ারা' জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা এক লাখ টন গম সরবরাহের শেষ চালান এটি। গত ৫ নভেম্বর থেকে বন্দরের বহির্নোঙরে সাগরে অবস্থান করে জাহাজটি থেকে গম ছোট জাহাজে খালাস বা লাইটারিংয়ের কাজ চলছে। এই জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট গ্লোব লিংকের মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গতকাল পর্যন্ত আড়াই হাজার টন গম লাইটারিং করা হয়েছে। ১০ হাজার টন লাইটারিং করার পর জাহাজটি বন্দরে প্রবেশ ও জেটিতে ভেড়ার উপযোগী হবে। এতে অন্তত সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।'
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের বড় গম উৎপাদনকারী দেশ ইউক্রেন থেকে এক লাখ টন গম আমদানির জন্য গত ১৬ আগস্ট চুক্তি করে সরকার। প্রতি টন ৩২০ ইউএস ডলারে এই গম সরকারি গুদামে সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। কাস্টমস সূত্র জানায়, মার্চ মাসে গম খালাসের জন্য শুল্কায়ন হয়েছে পাকিস্তানের গম প্রতি ক টন ৩৬৬ ডলারে, আর্জেন্টিনা ৩৬৮ ডলারে, কানাডা ৩১৫ ডলারে, ব্রাজিল ৩৫৯ ডলারে, ইউক্রেন ৩২৪ ডলারে।
ইউএসডিএ মার্কেটের হিসাবমতে, জানুয়ারিতে প্রতি টন ছিল ৩২৬ দশমিক ৬৬ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে প্রতি টন বিক্রি হয়েছিল ৩৪৮ দশমিক ১৫ ডলার। ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিলের হিসাবমতে, গত ১৫ নভেম্বর গমের আন্তর্জাতিক রপ্তানি মূল্য (এফওবি) ৩০৩ ডলার। ৯ নভেম্বর এই মূল্য ৩১৫ ডলারে পেঁৗছেছিল। বিশ্বে এবার সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদন হওয়ায় গমের দাম এখন নিম্নমুখী বলে জানা গেছে।
খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমানে সরকারের কাছে ৩০ লাখ টন গমের মজুদ রয়েছে। ইউক্রেন, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে এসব গম সংগ্রহ করা হয়েছে। দেশে খাদ্যশস্য মজুদ গড়ে তুলে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে খাদ্য কর্মকর্তারা জানান।
টন গম ছোট জাহাজে খালাস বা লাইটারিং করতে হবে।'
কবে নাগাদ জাহাজটি জেটিতে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত হবে_জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এক সপ্তাহের মধ্যে প্রবেশের উপযোগী হবে; কিন্তু এর আগে আরো একটি জাহাজ সরকারি গম খালাসের জন্য সাইলো জেটি ব্যবহার
করবে। এর পরই আমাদের শিডিউল দেওয়া হতে পারে।'
জানা গেছে, বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার টন সরকারি গম নিয়ে দেশীয় পতাকাবাহী 'জে কে মনোয়ারা' জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা এক লাখ টন গম সরবরাহের শেষ চালান এটি। গত ৫ নভেম্বর থেকে বন্দরের বহির্নোঙরে সাগরে অবস্থান করে জাহাজটি থেকে গম ছোট জাহাজে খালাস বা লাইটারিংয়ের কাজ চলছে। এই জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট গ্লোব লিংকের মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গতকাল পর্যন্ত আড়াই হাজার টন গম লাইটারিং করা হয়েছে। ১০ হাজার টন লাইটারিং করার পর জাহাজটি বন্দরে প্রবেশ ও জেটিতে ভেড়ার উপযোগী হবে। এতে অন্তত সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।'
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের বড় গম উৎপাদনকারী দেশ ইউক্রেন থেকে এক লাখ টন গম আমদানির জন্য গত ১৬ আগস্ট চুক্তি করে সরকার। প্রতি টন ৩২০ ইউএস ডলারে এই গম সরকারি গুদামে সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। কাস্টমস সূত্র জানায়, মার্চ মাসে গম খালাসের জন্য শুল্কায়ন হয়েছে পাকিস্তানের গম প্রতি ক টন ৩৬৬ ডলারে, আর্জেন্টিনা ৩৬৮ ডলারে, কানাডা ৩১৫ ডলারে, ব্রাজিল ৩৫৯ ডলারে, ইউক্রেন ৩২৪ ডলারে।
ইউএসডিএ মার্কেটের হিসাবমতে, জানুয়ারিতে প্রতি টন ছিল ৩২৬ দশমিক ৬৬ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে প্রতি টন বিক্রি হয়েছিল ৩৪৮ দশমিক ১৫ ডলার। ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিলের হিসাবমতে, গত ১৫ নভেম্বর গমের আন্তর্জাতিক রপ্তানি মূল্য (এফওবি) ৩০৩ ডলার। ৯ নভেম্বর এই মূল্য ৩১৫ ডলারে পেঁৗছেছিল। বিশ্বে এবার সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদন হওয়ায় গমের দাম এখন নিম্নমুখী বলে জানা গেছে।
খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমানে সরকারের কাছে ৩০ লাখ টন গমের মজুদ রয়েছে। ইউক্রেন, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে এসব গম সংগ্রহ করা হয়েছে। দেশে খাদ্যশস্য মজুদ গড়ে তুলে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে খাদ্য কর্মকর্তারা জানান।
No comments