মইনুল রোডের সেই জমিতে উঠে গেছে বহুতল ভবন-অন্য ভবনের কাজ শুরু হওয়ার পথে by কাজী হাফিজ
ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ মইনুল সড়কে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন এখন অনেক দূর থেকেও দৃশ্যমান। সেনানিবাসের প্রধান সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ ও শহীদ লে. আনোয়ারা গার্লস কলেজের কাছাকাছি এসে অনেকেই পূর্বদিকে চোখ রাখে। এ সময় নির্মাণাধীন সুউচ্চ ভবনটি সহজেই চোখে পড়ে। কারণ ওই এলাকায় এ রকম বহুতল ভবন একটাই। প্রথমবারের মতো ভবনের চূড়ায় চোখ রেখে অনেকে বিস্ময়ে বলে ওঠে, এত তাড়াতাড়ি এমন বড় একটি ভবন তৈরি হয়ে গেল!
গত বছরের ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কে প্রায় তিন একর জমিজুড়ে দাঁড়িয়ে ছিল বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার তিন তলা বাড়িটি। আজ সেখানেই সেনা কর্মকর্তাদের সপরিবারে বসবাসের জন্য একটি ১৪ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে। খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদের পর জায়গাটি ধুধু মাঠ হতে তিন মাসও লাগেনি। মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস (এমইএস) বাড়িটি গত জানুয়ারিতেই নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। পরের ১০ মাসে প্রতিদিনই পাল্টেছে দৃশ্যপট। মাটি খুঁড়ে বহুতল ভবনের ভিত্তি তৈরি হয়েছে, মাটির ওপরে দৃশ্যমান হয়েছে নতুন ভবনের কাঠামো। বর্তমানে একটি ভবনের কাঠামো নির্মাণের কাজ ১৩ তলা পর্যন্ত সম্পন্ন। বাকি এক তলাও দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার পথে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ওই জায়গায় দুটি বহুতল ভবন হবে। প্রতি তলায় চারটি ইউনিট করে ১৪ তলা ভবন দুটির প্রতিটিতে ৫২ জন মেজর পদবির মোট ১০৪ জন সেনা কর্মকর্তা সপরিবারে বসবাস করতে পারবেন। এ জন্য বাসাগুলো হচ্ছে 'ডি' টাইপের। ভবনের নিচতলাটি ব্যবহার হবে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য।
একটি ভবনের পুরো কাজ চলতি অর্থবছরেই শেষ হবে। অন্য ভবনটির নির্মাণও ২০১২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। ভবনটির কাজ এখনো শুরু হয়নি। এ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে ইউনাইটেড কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিডেট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
সূত্র জানায়, শহীদ মইনুল সড়কের বহুল আলোচিত ৬ নম্বর বাড়িটি খালি হওয়ার পর একসময় সেখানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কর্নেল ও লে. কর্নেল পদবির সেনা কর্মকর্তাদের জন্য 'বি' অথবা 'সি' টাইপ কোয়ার্টার নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা হয়। পরে মেজর পদবির সেনা কর্মকর্তাদের আবাসন সংকটের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে শেষ পর্যন্ত 'ডি' টাইপ কোয়ার্টার নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়।
প্রসঙ্গত, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে নিহত হওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিশেষ সুবিধা দিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার সেনানিবাসের মইনুল রোডের ওই বাড়িটি খালেদা জিয়াকে লিজ দেন। ২ দশমিক ৭২ একর জমির ওপর স্থাপিত বাড়িটি বছরে এক টাকা খাজনা দেওয়ার শর্তে লিজ দেওয়া হয়। অবশ্য এর আগে থেকেই খালেদা জিয়া তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভা খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের এই বাড়ির ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দীর্ঘসময় ধরে চলা আইনি লড়াইয়ে হেরে যান খালেদা জিয়া। গত বছরের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে ওই বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং ডিসেম্বরেই সেনা সদর বাড়িটি ভেঙে সেখানে সেনা কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পায়।
কালের কণ্ঠের এক প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন ক্যান্টনমেন্ট এঙ্িিকউটিভ অফিসার (সিইও) মো. নাজমুস সাদাত সেলিম গত জুনে জানিয়েছিলেন, ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ কাজের তদারকিতে রয়েছে এমইএস। গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে টেলিফোনে বর্তমান সিইও আখতার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর পক্ষ থেকে বলা হয়, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ওই জায়গায় দুটি বহুতল ভবন হবে। প্রতি তলায় চারটি ইউনিট করে ১৪ তলা ভবন দুটির প্রতিটিতে ৫২ জন মেজর পদবির মোট ১০৪ জন সেনা কর্মকর্তা সপরিবারে বসবাস করতে পারবেন। এ জন্য বাসাগুলো হচ্ছে 'ডি' টাইপের। ভবনের নিচতলাটি ব্যবহার হবে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য।
একটি ভবনের পুরো কাজ চলতি অর্থবছরেই শেষ হবে। অন্য ভবনটির নির্মাণও ২০১২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। ভবনটির কাজ এখনো শুরু হয়নি। এ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে ইউনাইটেড কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিডেট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
সূত্র জানায়, শহীদ মইনুল সড়কের বহুল আলোচিত ৬ নম্বর বাড়িটি খালি হওয়ার পর একসময় সেখানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কর্নেল ও লে. কর্নেল পদবির সেনা কর্মকর্তাদের জন্য 'বি' অথবা 'সি' টাইপ কোয়ার্টার নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা হয়। পরে মেজর পদবির সেনা কর্মকর্তাদের আবাসন সংকটের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে শেষ পর্যন্ত 'ডি' টাইপ কোয়ার্টার নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়।
প্রসঙ্গত, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে নিহত হওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিশেষ সুবিধা দিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার সেনানিবাসের মইনুল রোডের ওই বাড়িটি খালেদা জিয়াকে লিজ দেন। ২ দশমিক ৭২ একর জমির ওপর স্থাপিত বাড়িটি বছরে এক টাকা খাজনা দেওয়ার শর্তে লিজ দেওয়া হয়। অবশ্য এর আগে থেকেই খালেদা জিয়া তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভা খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের এই বাড়ির ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দীর্ঘসময় ধরে চলা আইনি লড়াইয়ে হেরে যান খালেদা জিয়া। গত বছরের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে ওই বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং ডিসেম্বরেই সেনা সদর বাড়িটি ভেঙে সেখানে সেনা কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পায়।
কালের কণ্ঠের এক প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন ক্যান্টনমেন্ট এঙ্িিকউটিভ অফিসার (সিইও) মো. নাজমুস সাদাত সেলিম গত জুনে জানিয়েছিলেন, ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ কাজের তদারকিতে রয়েছে এমইএস। গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে টেলিফোনে বর্তমান সিইও আখতার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর পক্ষ থেকে বলা হয়, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।
No comments