বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের চিঠির জবাব দিয়েছেঃ দুর্নীতির বিষয়ে ছাড় নেই
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজে দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ কথা আবার জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিত হওয়া সম্পর্কে সরকারের চিঠির জবাবে বিশ্বব্যাংক এ কথা বলেছে। জবাবটি এখন অর্থ মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। পদ্মা সেতু বিষয়ে সরকারি প্রেসনোট জারির পরদিন গত ২১ অক্টোবর সরকারের পক্ষ থেকে দুটি চিঠি পাঠানো হয় বিশ্বব্যাংকের কাছে।
একটি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে অর্থমন্ত্রীর লেখা, অপরটি লেখা বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টেগ্রিটি ভাইস প্রেসিডেন্সি (আইএনটি) বরাবর প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমানের। ৪ নভেম্বর প্রধান কার্যালয় থেকে সরকারের উভয় চিঠির জবাব পাঠিয়েছে বিশ্বব্যাংক, যা এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আছে। এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যালেইন গোল্ডস্টেইনের সঙ্গে। কিন্তু তিনি নেপালে অবস্থান করায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরীন আহমেদ মাহবুব গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংককে দেওয়া দুটি চিঠির জবাবই সরকারকে দেওয়া হয়েছে। জবাবে বলা হয়েছে, একটি বড় প্রকল্প হিসেবে পদ্মা সেতুর অর্থ ব্যবহারে স্বচ্ছতা আশা করে বিশ্বব্যাংক এবং এ প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তবে সেতুতে অর্থায়ন বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলবে।’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিগগিরই এ চিঠির বিষয়ে সরকারের বক্তব্য দেবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে।
গত ৩১ অক্টোবর সচিবালয়ে অ্যালেইন গোল্ডস্টেইনের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের কাছে যে চিঠি পাঠিয়েছিলাম, তার জবাব এখনো আসেনি। জবাব পাওয়ার পর আপনাদের ডেকে এনে জানাব।’
যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সাকো ইন্টারন্যাশনাল এবং কানাডীয় একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পদ্মা সেতুর তিনটি কার্যক্রমে প্রতিশ্রুত অর্থায়ন স্থগিত রেখেছে বিশ্বব্যাংক।
উভয় চিঠিতেই পদ্মা সেতুর স্থগিত হয়ে যাওয়া সব কার্যক্রম চালু করতে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়। কার্যক্রমগুলো হচ্ছে: তদারকি কাজের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ, নদী-শাসন প্রাক-যোগ্যতার কাজের দরপত্র মূল্যায়ন এবং সেতুর মাওয়া দিকের অ্যাপ্রোচ রোডের দরপত্র।
চিঠিতে তদারকি কাজের পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে কানাডীয় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়েই ঠিকাদার নিয়োগ, নদী শাসন প্রাক-যোগ্যতার জন্য কাজের দরপত্র মূল্যায়নের ব্যাপারে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং মাওয়া দিকের অ্যাপ্রোচ রোডের দরপত্রের ব্যাপারে কার্যক্রম চালু করার জন্য বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করা হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ যেসব কার্যক্রম শুরু ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেসব ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে বিশ্বব্যাংককে জানানো হয়।
মূল সেতুর নির্মাণকাজের ঠিকাদারদের প্রাক-যোগ্যতা মূল্যায়ন সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগ সরকারের কাছে দিয়েছে, সেই অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে এবং দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে উভয় চিঠিতেই উল্লেখ করা হয়।
২৯০ কোটি ডলার ব্যয়ের পদ্মা সেতুতে ১২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা বিশ্বব্যাংকের। কিন্তু সংস্থাটি এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, যোগাযোগমন্ত্রী ও তাঁর মালিকানাধীন কোম্পানির দুর্নীতির বিষয়টি সুরাহা না হলে এ প্রকল্পে তারা অর্থায়ন করবে না।
সরকারের কাছে দাখিল করা বিশ্বব্যাংকের এক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেতু নির্মাণ শুরুর আগেই ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন চেয়েছে মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠান সাকো।
দুদকের চিঠির জবাব নেই: পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনিয়ম বিষয়ে বিশ্বব্যাংক এখনো দুদকের চিঠির জবাব দেয়নি। দুদকের মহাপরিচালক ফররুখ আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের জবাব পাওয়ার পর এবং এ বিষয়ে অনিয়মের সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফররুখ আহমেদ বলেন, কয়েক মাস আগে পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনো জবাব পাওয়া যায়নি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিগগিরই এ চিঠির বিষয়ে সরকারের বক্তব্য দেবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে।
গত ৩১ অক্টোবর সচিবালয়ে অ্যালেইন গোল্ডস্টেইনের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের কাছে যে চিঠি পাঠিয়েছিলাম, তার জবাব এখনো আসেনি। জবাব পাওয়ার পর আপনাদের ডেকে এনে জানাব।’
যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সাকো ইন্টারন্যাশনাল এবং কানাডীয় একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পদ্মা সেতুর তিনটি কার্যক্রমে প্রতিশ্রুত অর্থায়ন স্থগিত রেখেছে বিশ্বব্যাংক।
উভয় চিঠিতেই পদ্মা সেতুর স্থগিত হয়ে যাওয়া সব কার্যক্রম চালু করতে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়। কার্যক্রমগুলো হচ্ছে: তদারকি কাজের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ, নদী-শাসন প্রাক-যোগ্যতার কাজের দরপত্র মূল্যায়ন এবং সেতুর মাওয়া দিকের অ্যাপ্রোচ রোডের দরপত্র।
চিঠিতে তদারকি কাজের পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে কানাডীয় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়েই ঠিকাদার নিয়োগ, নদী শাসন প্রাক-যোগ্যতার জন্য কাজের দরপত্র মূল্যায়নের ব্যাপারে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং মাওয়া দিকের অ্যাপ্রোচ রোডের দরপত্রের ব্যাপারে কার্যক্রম চালু করার জন্য বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করা হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ যেসব কার্যক্রম শুরু ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেসব ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে বিশ্বব্যাংককে জানানো হয়।
মূল সেতুর নির্মাণকাজের ঠিকাদারদের প্রাক-যোগ্যতা মূল্যায়ন সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগ সরকারের কাছে দিয়েছে, সেই অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে এবং দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে উভয় চিঠিতেই উল্লেখ করা হয়।
২৯০ কোটি ডলার ব্যয়ের পদ্মা সেতুতে ১২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা বিশ্বব্যাংকের। কিন্তু সংস্থাটি এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, যোগাযোগমন্ত্রী ও তাঁর মালিকানাধীন কোম্পানির দুর্নীতির বিষয়টি সুরাহা না হলে এ প্রকল্পে তারা অর্থায়ন করবে না।
সরকারের কাছে দাখিল করা বিশ্বব্যাংকের এক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেতু নির্মাণ শুরুর আগেই ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন চেয়েছে মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠান সাকো।
দুদকের চিঠির জবাব নেই: পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনিয়ম বিষয়ে বিশ্বব্যাংক এখনো দুদকের চিঠির জবাব দেয়নি। দুদকের মহাপরিচালক ফররুখ আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের জবাব পাওয়ার পর এবং এ বিষয়ে অনিয়মের সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফররুখ আহমেদ বলেন, কয়েক মাস আগে পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনো জবাব পাওয়া যায়নি।
No comments