পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে শতকোটি টাকায় নতুন বি্লচিং প্লান্ট by তৌফিকুল ইসলাম বাবর,
রাষ্ট্রায়ত্ত একমাত্র কাগজকল কর্ণফুলী পেপার মিলে (কেপিএম) হরিলুট চলছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিবিএ নেতাদের শক্তিশালী একটি চক্র এ লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিআইসির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ যোগসাজশে বেড়ে উঠেছে দুর্নীতির এ দুষ্ট চক্র। সর্বশেষ কেপিএমে প্রায় ২০০ কোটি টাকায় সম্পন্ন করা বিএমআরই প্রকল্পে ধরা পড়েছে বড় ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা।
প্রকল্পের আওতায় বিল্গচিং পল্গান্ট নির্মাণ, দেশ-বিদেশ থেকে রাসায়নিক দ্রব্য ও কাঁচামালসহ আনুষঙ্গিক মালপত্র সংগ্রহে এ অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি কেপিএম নিয়ে দীর্ঘ একটি তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএনডি)। তাদের এ তদন্ত রিপোর্টে প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতির এই চিত্র বেরিয়ে আসে। আইএনডির পক্ষ থেকে রিপোর্টটি শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। রিপোর্টের ভিত্তিতে বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে কাপ্তাইয়ের কেপিএম সরেজমিনে অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে দুর্নীতির বহুমুখী চিত্র দেখে হতবাক হয়ে যান তদন্ত দলের সদস্যরা। এখন তারা বিএমআরই প্রকল্পের পাশাপাশি কারখানার সার্বিক অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখছেন। এতেও মিলছে লুটপাটের প্রায় অভিন্ন চিত্র। বেসরকারি মালিকানাধীন কাগজকলগুলো লাভ করলেও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে প্রতি বছরই লোকসান দিচ্ছে কেপিএম। সর্বশেষ গত দুই বছরে প্রতিষ্ঠানটি লোকসান দেয় প্রায় ৩৪ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, বিএমআরই প্রকল্পের আওতায় ৯৩ কোটি টাকায় স্থাপন করা হয়েছে ১০০ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিল্গচিং পল্গান্ট। কাপ্তাইয়ে কেপিএম কারখানা চত্বরে স্থাপিত এ পল্গান্ট নির্মাণে বড়
ধরনের কারসাজি ও অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মারুবেনি করপোরেশন কেপিএমের সংশিল্গষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বেশ কিছু পরিত্যক্ত পুরনো ও নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে জোড়াতালি দিয়ে স্থাপন করেছে পল্গান্ট। বিদেশ থেকে আনা যন্ত্রপাতি দিয়ে পল্গান্ট নির্মাণ করার কথা থাকলেও তারা চুক্তি ভঙ্গ করে পল্গান্টে এসব পুরনো, পরিত্যক্ত যন্ত্রপাতি ও মালপত্র পল্গান্টে সংযোগ করে। আবার এগুলো তারা সংগ্রহও করে কেপিএম থেকে। শুধু বিল্গচিং পল্গান্টই নয়, কেপিএমে সংগৃহীত দেশি-বিদেশি কাঁচামাল, রাসায়নিক দ্রব্য ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
কেপিএমের বিএমআরই প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে সত্যতা পাওয়া গেছে_ জানিয়েছেন তদন্ত দলের প্রধান ও শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান মানিক এমপি। তিনি সমকালকে বলেন, 'যেভাবে বিল্গচিং পল্গান্ট নির্মাণ করার কথা সেভাবে করা হয়নি। এটি নির্মাণে অনেক শর্ত ভঙ্গ করেছে জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন সংশিল্গষ্ট কর্মকর্তারা। প্রাথমিক তদন্তে পল্গান্টে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পল্গান্টে অনেক পুরনো জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে।' তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল হক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাফাই গেয়ে সমকালকে বলেন, 'পল্গান্টে খুব সামান্যই পুরনো সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ পল্গান্টে অনেক কাজ করতে হয়েছে যা চুক্তিতে নেই। চুক্তি অনুযায়ী আমরাও অনেক কিছু তাদের সরবরাহ করতে পারিনি।'
আইএনডি তদন্তে উলেল্গখ করা হয়, কেপিএম বিল্গচিং পল্গান্ট নির্মাণে বড় ধরনের কারচুপি হয়েছে। এ পল্গান্টে ব্যবহার করা বেশিরভাগ সামগ্রী নিম্নমানের।
আইএনডি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিল্গচিং পল্গান্ট নির্মাণে ছিল গোড়াতেই গলদ। এটির ডিজাইন সঠিক হয়নি। সবচেয়ে বড় অনিয়ম হয়েছে এটির যন্ত্রপাতি নিয়ে। পল্গান্টটিতে শুধু নিম্নমানের সামগ্রীই ব্যবহার করা হয়নি, গুরুত্বপূর্ণ মেশিন, পাইপলাইন ও ট্যাঙ্ক স্থাপনে ব্যবহার করা হয়েছে মিলের পুরনো যন্ত্রপাতি। তাই এ পল্গান্ট কাজে নাও আসতে পারে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন আইএনডি মহাপরিচালক।
সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার থেকে শুরু করা ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান মানিক এমপি। বাকি সদস্যরা হলেন_ এসএম আবদুল মান্নান এমপি, মোঃ আলী আজগর এমপি, আনোয়ারুল আশরাফ খান এমপি, মোঃ সিরাজ উদ্দিন মোল্লা এমপি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবিএম খুরশিদ আলম, বিসিআইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর খুরশিদ আনোয়ারসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা। টিমের বিশেষজ্ঞ সদস্যরা হলেন_ বুয়েটের চার শিক্ষক অধ্যাপক ড. দিল আফরোজ বেগম, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মিয়া আবদুর রশিদ সরকার ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মামুন।
সূত্র জানায়, বিএমআরই প্রকল্পের আওতায় ৯৩ কোটি টাকায় স্থাপন করা হয়েছে ১০০ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিল্গচিং পল্গান্ট। কাপ্তাইয়ে কেপিএম কারখানা চত্বরে স্থাপিত এ পল্গান্ট নির্মাণে বড়
ধরনের কারসাজি ও অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মারুবেনি করপোরেশন কেপিএমের সংশিল্গষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বেশ কিছু পরিত্যক্ত পুরনো ও নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে জোড়াতালি দিয়ে স্থাপন করেছে পল্গান্ট। বিদেশ থেকে আনা যন্ত্রপাতি দিয়ে পল্গান্ট নির্মাণ করার কথা থাকলেও তারা চুক্তি ভঙ্গ করে পল্গান্টে এসব পুরনো, পরিত্যক্ত যন্ত্রপাতি ও মালপত্র পল্গান্টে সংযোগ করে। আবার এগুলো তারা সংগ্রহও করে কেপিএম থেকে। শুধু বিল্গচিং পল্গান্টই নয়, কেপিএমে সংগৃহীত দেশি-বিদেশি কাঁচামাল, রাসায়নিক দ্রব্য ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
কেপিএমের বিএমআরই প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে সত্যতা পাওয়া গেছে_ জানিয়েছেন তদন্ত দলের প্রধান ও শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান মানিক এমপি। তিনি সমকালকে বলেন, 'যেভাবে বিল্গচিং পল্গান্ট নির্মাণ করার কথা সেভাবে করা হয়নি। এটি নির্মাণে অনেক শর্ত ভঙ্গ করেছে জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন সংশিল্গষ্ট কর্মকর্তারা। প্রাথমিক তদন্তে পল্গান্টে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পল্গান্টে অনেক পুরনো জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে।' তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল হক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাফাই গেয়ে সমকালকে বলেন, 'পল্গান্টে খুব সামান্যই পুরনো সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ পল্গান্টে অনেক কাজ করতে হয়েছে যা চুক্তিতে নেই। চুক্তি অনুযায়ী আমরাও অনেক কিছু তাদের সরবরাহ করতে পারিনি।'
আইএনডি তদন্তে উলেল্গখ করা হয়, কেপিএম বিল্গচিং পল্গান্ট নির্মাণে বড় ধরনের কারচুপি হয়েছে। এ পল্গান্টে ব্যবহার করা বেশিরভাগ সামগ্রী নিম্নমানের।
আইএনডি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিল্গচিং পল্গান্ট নির্মাণে ছিল গোড়াতেই গলদ। এটির ডিজাইন সঠিক হয়নি। সবচেয়ে বড় অনিয়ম হয়েছে এটির যন্ত্রপাতি নিয়ে। পল্গান্টটিতে শুধু নিম্নমানের সামগ্রীই ব্যবহার করা হয়নি, গুরুত্বপূর্ণ মেশিন, পাইপলাইন ও ট্যাঙ্ক স্থাপনে ব্যবহার করা হয়েছে মিলের পুরনো যন্ত্রপাতি। তাই এ পল্গান্ট কাজে নাও আসতে পারে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন আইএনডি মহাপরিচালক।
সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার থেকে শুরু করা ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান মানিক এমপি। বাকি সদস্যরা হলেন_ এসএম আবদুল মান্নান এমপি, মোঃ আলী আজগর এমপি, আনোয়ারুল আশরাফ খান এমপি, মোঃ সিরাজ উদ্দিন মোল্লা এমপি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবিএম খুরশিদ আলম, বিসিআইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর খুরশিদ আনোয়ারসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা। টিমের বিশেষজ্ঞ সদস্যরা হলেন_ বুয়েটের চার শিক্ষক অধ্যাপক ড. দিল আফরোজ বেগম, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মিয়া আবদুর রশিদ সরকার ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মামুন।
No comments