আন্দামানের বিপন্ন চার ভাষা অভিধানভুক্ত হলো
আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের বিপন্ন চার উপজাতীয় ভাষাকে প্রথমবারের মতো অভিধানভুক্ত করলেন ভারতের ভাষাবিজ্ঞানী আনভিতা আবি্ব। ছয় বছরের গবেষণা শেষে লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের (এসওএএস) ভাষাতত্ত্বের এই অধ্যাপক 'গ্রেট আন্দামানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ' শীর্ষক অভিধানটির কাজ শেষ করেছেন।অধ্যাপক আবি্বর এ অভিধানে ঠাঁই পাওয়া চারটি ভাষার অন্তত দুটি এরই মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
সেগুলোর নাম_বো ও খোরা। অভিধানে চার ভাষার শব্দগুলো ইংরেজি ও হিন্দিতে অনুবাদ করে দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো কয়েকটি ভাষার শব্দও অভিধানটিতে সংযোজিত হয়েছে। ধারণা করা হয়, আন্দামানের উপজাতিরা আফ্রিকা থেকে গিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করে। তাদের ব্যবহৃত কিছু ভাষা হয়তো ৭০ হাজার বছরেরও পুরনো।
ভারতের দক্ষিণ ভাগে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপকে প্রায়ই 'নৃতত্ত্ববিদদের স্বপ্নপুরী' বলে অভিহিত করা হয়। ভাষার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় অঞ্চল এটি। নৃতত্ত্ববিদরা আন্দামানের উপজাতিদের মূলত চারটি প্রধান দলে বিভক্ত করে থাকেন। সেগুলো হলো_দ্য গ্রেট আন্দামানিজ, দ্য জারাওয়া, দি ওনগে ও দ্য সেনটিনেলেজ।
অভিধান রচনায় আগ্রহী হওয়ার কারণ সম্পর্কে অধ্যাপক আবি্ব জানান, আন্দামানিরা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার পরিচয় বহন করে। তাই তাদের ভাষাকে বাঁচাতে অভিধান রচনায় মনোযোগী হন তিনি।
বিপন্নের তালিকায় থাকা ভাষা নিয়ে কাজ করেন পিটার অস্টিন। এনডেঞ্জারড ল্যাংগুয়েজেস একাডেমিক প্রোগ্রামের এই কর্মকর্তা বলেন, 'অসম্ভব পরিশ্রম করেছেন আবি্ব। এই শ্রমের সঙ্গে ছিল ভালোবাসাও।' বিশ্লেষকরা মনে করছেন, 'গ্রেট আন্দামানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ' কেবল একটি অভিধান নয়, ভাষাতত্ত্ব ও নৃতত্ত্বের বিচারেও এর মূল্য অনেক।
সূত্র : বিবিসি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো কয়েকটি ভাষার শব্দও অভিধানটিতে সংযোজিত হয়েছে। ধারণা করা হয়, আন্দামানের উপজাতিরা আফ্রিকা থেকে গিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করে। তাদের ব্যবহৃত কিছু ভাষা হয়তো ৭০ হাজার বছরেরও পুরনো।
ভারতের দক্ষিণ ভাগে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপকে প্রায়ই 'নৃতত্ত্ববিদদের স্বপ্নপুরী' বলে অভিহিত করা হয়। ভাষার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় অঞ্চল এটি। নৃতত্ত্ববিদরা আন্দামানের উপজাতিদের মূলত চারটি প্রধান দলে বিভক্ত করে থাকেন। সেগুলো হলো_দ্য গ্রেট আন্দামানিজ, দ্য জারাওয়া, দি ওনগে ও দ্য সেনটিনেলেজ।
অভিধান রচনায় আগ্রহী হওয়ার কারণ সম্পর্কে অধ্যাপক আবি্ব জানান, আন্দামানিরা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার পরিচয় বহন করে। তাই তাদের ভাষাকে বাঁচাতে অভিধান রচনায় মনোযোগী হন তিনি।
বিপন্নের তালিকায় থাকা ভাষা নিয়ে কাজ করেন পিটার অস্টিন। এনডেঞ্জারড ল্যাংগুয়েজেস একাডেমিক প্রোগ্রামের এই কর্মকর্তা বলেন, 'অসম্ভব পরিশ্রম করেছেন আবি্ব। এই শ্রমের সঙ্গে ছিল ভালোবাসাও।' বিশ্লেষকরা মনে করছেন, 'গ্রেট আন্দামানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ' কেবল একটি অভিধান নয়, ভাষাতত্ত্ব ও নৃতত্ত্বের বিচারেও এর মূল্য অনেক।
সূত্র : বিবিসি।
No comments