ব্রাভোর সেঞ্চুরি তবু ইনিংস হার ওয়েস্ট ইন্ডিজের
ইডেন গার্ডেনসে কোনো দল ফলোঅন করলে অবধারিতভাবে ফিরে আসে ২০০১ সালের স্মৃতি। ভিভিএস লক্ষ্মণ-রাহুল দ্রাবিড়ের সেই বীরত্বগাথা, হরভজন সিংয়ের সেই রুদ্ররূপ_ফলশ্রুতিতে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসে ভারতের অস্ট্রেলিয়াবধ। নাহ্, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার তেমন কিছু করতে পারেনি। ইনিংস ও ১৫ রানে হেরে এক টেস্ট বাকি থাকতেই সিরিজ খুইয়েছে তারা। এর পরও ইডেন গার্ডেনস টেস্ট থেকে তাদের প্রাপ্তি খুব কম নয়।
হবে না? কে ভেবেছিল প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া ক্যারিবীয়রা দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে ফেলবে ৪৬৩ রান! ফলোঅন করার পর এটি যে তাদের ইতিহাস-সর্বোচ্চ স্কোর। এই প্রতিরোধের মিশন আলো করে রেখেছে ড্যারেন ব্রাভোর ঝলমলে সেঞ্চুরি, মারলন স্যামুয়েলসের দৃষ্টিনন্দন প্রায় সেঞ্চুরি আর শিবনারায়ণ চন্দরপলের ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকা প্রায় ফিফটি। সিরিজ হারা সারা হলেও শেষ টেস্টে আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলতে নামবে তারা।
আর ভারত তো আত্মবিশ্বাসে টগবগিয়ে ফুটছেই। ম্যাচের প্রথমার্ধেই খেলার ফল পকেটে পুরে ফেলে তারা। এরপর শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই যে কাল ইডেনের চতুর্থ দিনে অমন দুর্দান্ত খেলল ক্যারিবীয়রা, তাতেও কি ম্লান হচ্ছে ভারতের কৃতিত্ব! কাজের কাজ যে আগেই করে রেখেছিল স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৯৫ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রাভোর আক্রমণ ও চন্দরপলের রক্ষণের মিশেলে সেখান থেকে তারা এগিয়েছে তরতর করে। চতুর্থ উইকেটে ১০৮ রান জুড়ে দেওয়ার পর ভাঙে তাদের প্রতিরোধ। ৯৪ বলে ৪৭ রান করা চন্দরপলকে ফিরিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির মুখে হাসি ফোটান উমেশ যাদব।
এহেন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি আস্থা যাঁর ব্যাটে, সেই চন্দরপলের বিদায়ে ভেঙে পড়ার শঙ্কা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হয়নি তা। ব্রাভোর সঙ্গে স্যামুয়েলসের ব্যাটের নাচনে ছোটে রানের ফোয়ারা। সাবলীল, স্বচ্ছন্দ ব্যাটিংয়ে পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৩২ রান। ম্যাচের ফল নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা তাতে তৈরি হয়নি। তবে খেলাটি পঞ্চম দিনে যাওয়ার সব সম্ভাবনাই ছিল।
এরই মধ্যে ড্যারেন 'লারা' ব্রাভো তুলে নেন তাঁর দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। ৫৪ রানের সময় রান আউটের সুযোগ দিয়ে বেঁচেছিলেন। এর আগে-পরে খেলেছেন বিখ্যাত পূর্বসূরি ব্রায়ান লারাকে মনে করিয়ে দেওয়ার মতোই এক ইনিংস। যাদবকে কাভার ও থার্ডম্যান দিয়ে দুটো বাউন্ডারি মেরে পেঁৗছান সেঞ্চুরিতে। শেষ পর্যন্ত প্রজ্ঞান ওঝার বলে স্লিপে ধরা পড়েন রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে। ততক্ষণে ২৩০ বলে ১৩৬ রানের ছবির মতো সুন্দর এক ইনিংস ব্রাভোর নামের পাশে। যার হাইলাইটস ১৬টি বাউন্ডারি এবং চারটি ছক্কা। লারার সঙ্গে স্টান্স, ব্যাক লিফট, ফুটওয়ার্ক কিংবা পুল-হুক-ড্রাইভ অথবা সেঞ্চুরির উদ্যাপন ভঙ্গিতেই শুধু মিল নেই ব্রাভোর, পরিসংখ্যানের পাতাতেও আশ্চর্য সহাবস্থান। ক্যারিয়ারের প্রথম ১২ টেস্ট শেষে লারা-ব্রাভো দুজনেরই রান ৯৪১, গড় ৪৭.০৫!
ব্রাভোর বিদায়ের পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয় প্রতিরোধ। ৬২ রানে হারায় তারা শেষ ৬ উইকেট। এর মধ্যে সবচেয়ে হতাশাজনক স্যামুয়েলসের উইকেট। ১১১ বলে ৮৪ রান করা এই স্টাইলিশ ডানহাতির সেঞ্চুরি মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। অথচ রবিচরণ আশ্বিনের নিচু হয়ে ঢোকা বলে এলবিডাবি্লউ হয়ে যান তিনি। শেষ দিকে ড্যারেন সামি ২৮ বলে ৩২ রান তুলে অবধারিত পরাজয়ের ক্ষণকে কেবল প্রলম্বিত করেছেন খানিক। টানা দুই বলে তাঁকে ও দেবেন্দ্র বিশুকে আউট করে যাদব ক্যারিবীয়দের থামিয়ে দেন ৪৬৩ রানে। ইনিংস ও ১৫ রানের জয়ে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯৭৮ ও ২০০২ সালের পর তৃতীয় সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ভারত। ক্রিকইনফো
ভারত : ১৫১.২ ওভারে ৬৩১/৭ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৫৩ এবং ১২৬.৩ ওভারে ৪৬৩/১০ (ব্রাভো ১৩৬, স্যামুয়েলস ৮৪, এডওয়ার্ডস ৬০; যাদব ৪/৮০, ইশান্ত ২/৯৫, ওঝা ২/১০৪)।
ফল : ভারত ইনিংস ও ১৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ভিভিএস লক্ষ্মণ।
আর ভারত তো আত্মবিশ্বাসে টগবগিয়ে ফুটছেই। ম্যাচের প্রথমার্ধেই খেলার ফল পকেটে পুরে ফেলে তারা। এরপর শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই যে কাল ইডেনের চতুর্থ দিনে অমন দুর্দান্ত খেলল ক্যারিবীয়রা, তাতেও কি ম্লান হচ্ছে ভারতের কৃতিত্ব! কাজের কাজ যে আগেই করে রেখেছিল স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৯৫ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রাভোর আক্রমণ ও চন্দরপলের রক্ষণের মিশেলে সেখান থেকে তারা এগিয়েছে তরতর করে। চতুর্থ উইকেটে ১০৮ রান জুড়ে দেওয়ার পর ভাঙে তাদের প্রতিরোধ। ৯৪ বলে ৪৭ রান করা চন্দরপলকে ফিরিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির মুখে হাসি ফোটান উমেশ যাদব।
এহেন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি আস্থা যাঁর ব্যাটে, সেই চন্দরপলের বিদায়ে ভেঙে পড়ার শঙ্কা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হয়নি তা। ব্রাভোর সঙ্গে স্যামুয়েলসের ব্যাটের নাচনে ছোটে রানের ফোয়ারা। সাবলীল, স্বচ্ছন্দ ব্যাটিংয়ে পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৩২ রান। ম্যাচের ফল নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা তাতে তৈরি হয়নি। তবে খেলাটি পঞ্চম দিনে যাওয়ার সব সম্ভাবনাই ছিল।
এরই মধ্যে ড্যারেন 'লারা' ব্রাভো তুলে নেন তাঁর দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। ৫৪ রানের সময় রান আউটের সুযোগ দিয়ে বেঁচেছিলেন। এর আগে-পরে খেলেছেন বিখ্যাত পূর্বসূরি ব্রায়ান লারাকে মনে করিয়ে দেওয়ার মতোই এক ইনিংস। যাদবকে কাভার ও থার্ডম্যান দিয়ে দুটো বাউন্ডারি মেরে পেঁৗছান সেঞ্চুরিতে। শেষ পর্যন্ত প্রজ্ঞান ওঝার বলে স্লিপে ধরা পড়েন রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে। ততক্ষণে ২৩০ বলে ১৩৬ রানের ছবির মতো সুন্দর এক ইনিংস ব্রাভোর নামের পাশে। যার হাইলাইটস ১৬টি বাউন্ডারি এবং চারটি ছক্কা। লারার সঙ্গে স্টান্স, ব্যাক লিফট, ফুটওয়ার্ক কিংবা পুল-হুক-ড্রাইভ অথবা সেঞ্চুরির উদ্যাপন ভঙ্গিতেই শুধু মিল নেই ব্রাভোর, পরিসংখ্যানের পাতাতেও আশ্চর্য সহাবস্থান। ক্যারিয়ারের প্রথম ১২ টেস্ট শেষে লারা-ব্রাভো দুজনেরই রান ৯৪১, গড় ৪৭.০৫!
ব্রাভোর বিদায়ের পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয় প্রতিরোধ। ৬২ রানে হারায় তারা শেষ ৬ উইকেট। এর মধ্যে সবচেয়ে হতাশাজনক স্যামুয়েলসের উইকেট। ১১১ বলে ৮৪ রান করা এই স্টাইলিশ ডানহাতির সেঞ্চুরি মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। অথচ রবিচরণ আশ্বিনের নিচু হয়ে ঢোকা বলে এলবিডাবি্লউ হয়ে যান তিনি। শেষ দিকে ড্যারেন সামি ২৮ বলে ৩২ রান তুলে অবধারিত পরাজয়ের ক্ষণকে কেবল প্রলম্বিত করেছেন খানিক। টানা দুই বলে তাঁকে ও দেবেন্দ্র বিশুকে আউট করে যাদব ক্যারিবীয়দের থামিয়ে দেন ৪৬৩ রানে। ইনিংস ও ১৫ রানের জয়ে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯৭৮ ও ২০০২ সালের পর তৃতীয় সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ভারত। ক্রিকইনফো
ভারত : ১৫১.২ ওভারে ৬৩১/৭ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৫৩ এবং ১২৬.৩ ওভারে ৪৬৩/১০ (ব্রাভো ১৩৬, স্যামুয়েলস ৮৪, এডওয়ার্ডস ৬০; যাদব ৪/৮০, ইশান্ত ২/৯৫, ওঝা ২/১০৪)।
ফল : ভারত ইনিংস ও ১৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ভিভিএস লক্ষ্মণ।
No comments